জীবনে চলতে-ফিরতে যেসব আইনি জটিলতায় পড়তে হয়, পাঠকের উকিল বিভাগে ১৫ দিন পরপর তারই সমাধান পাওয়া যাবে।এখন থেকে পাঠকের উকিল বিভাগে আইনি সমস্যার সমাধান দেবেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নাহিদ মাহতাব। স্পষ্ট করে নিজের সমস্যাটি লিখে পাঠান। প্রয়োজনীয় কাগজের অনুলিপি দিন।
খামের ওপর লিখুন :
পাঠকের উকিল, নকশা, দৈনিক প্রথম আলো
সিএ ভবন, ১০০ কাজী নজরুলইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা
আমার বয়স ২০ বছর। স্নাতক (সম্মান) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। দুই বছর হলো আমার বিয়ে হয়েছে। স্বামী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা। আমার বিয়ে মা-বাবার সম্মতিতে হয়েছে। আমার মত ছিল না, কিন্তু আমি তাঁদের মুখের দিকে তাকিয়ে তখন কিছু বলতে পারিনি। আমি তাঁর কাছে সুখী নই। তাঁর সঙ্গে আমার অনেক কিছুতেই মিল হয় না, সে জন্য মানসিক যন্ত্রণায় আছি। আমি আমার পড়ালেখা চালিয়ে যেতে চাই। আমি ডিভোর্স চাই। কিন্তু আমার পরিবার জানলে অনেক সমস্যা হবে। পরিবারকে না জানিয়ে কি তা সম্ভব? যদি তাঁর কাছে আমি ডিভোর্স চাই, তবে কি সে রাজি হবে?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
চট্টগ্রাম।
মুসলিম আইনে নারীরা তালাক-ই-তাওফিজ বা ‘অর্পিত ক্ষমতা’ বলে ডিভোর্স ফাইল করতে পারেন। কিন্তু এই অর্পিত ক্ষমতা কাবিননামায় উল্লেখ থাকতে হবে। কাবিননামায় এই ক্ষমতার উল্লেখ না থাকলে আপনি স্বেচ্ছায় সরাসরি তালাক দিতে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে আপনি পারিবারিক আদালতে বিবাহবিচ্ছেদ আইন, ১৯৬১ অনুযায়ী বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করতে পারেন। এই আইনে উল্লিখিত বিভিন্ন কারণে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করা সম্ভব। আপনি চিঠিতে যে কারণের কথা উল্লেখ করেছেন, তা ওই আইনের আওতায় পড়ে না। বৈবাহিক সম্পর্ক যদিও আইন দ্বারা নির্ধারিত, তবুও পারস্পরিক মানসিক সমঝোতা ও ভালোবাসা না থাকলেও শুধু আইন দিয়ে এই সম্পর্ক বজায় রাখা যায় না। সে ক্ষেত্রে সমঝোতার মাধ্যমে বিবাহবিচ্ছেদ বাঞ্ছনীয়। আপনি আপনার স্বামীর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বৈবাহিক সম্পর্কের পরিসমাপ্তি ঘটাতে পারেন।
২০০২ সালের সেপ্টেম্বরে বিয়ে করি। বিয়ের আড়াই বছর পর আমি নিরাপত্তারক্ষীর চাকরি করতে ঢাকায় যাই। দু-এক মাস অন্তর ছুটিতে বাড়ি আসতাম। কিন্তু চাকরির ছয় মাস পর আমার স্ত্রী আমাদের বাড়ি থেকে একদিন রাতে হারিয়ে যায়। ওই রাতে আমার বাড়ির সদস্য ও প্রতিবেশীরা অনেক খোঁজাখুঁজির পর রাত সাড়ে ১২টায় পাশের বাড়ির এক ছেলের ঘরে ওকে খুঁজে পায়। এর পরদিন সকালেই আমার স্ত্রীকে তার বড় ভাই বাড়ি নিয়ে যায়। এ দিকে আমি খবর পেয়ে ঢাকা থেকে বাড়ি চলে আসি। এসে জানলাম, ঘটনাটি সত্য। ঘটনার পাঁচ দিন পর ওই ছেলে অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করে। পরের ছয় মাস স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করিনি। ২০০৬ সালের ২১ মে কাজি অফিস থেকে তালাকের নোটিশ স্ত্রীর কাছে ডাকযোগে পাঠিয়ে দিই। স্ত্রী আমার বিরুদ্ধে ওই বছরের ২০ জুলাই যৌতুক নিরোধক আইনের ৪ ধারা ও দেনমোহর খোরপোশের দুটি মামলা করেন। মামলার সাত দিন আগে আমার স্ত্রীকে আনতে গিয়েছিলাম। কিন্তু সে আসতে চায়নি। ২০ জুলাই হাজিরা দিলে আদালত আমাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। এখন মামলা দুটি বিচারাধীন। আমি আর স্ত্রীকে কখনো গ্রহণ করব না। তাই ২০০৮ সালের ৩ মার্চ তিন তালাক রেজিস্ট্রি করে কপি নিজের কাছে রাখি। আমি একটি টাকাও যৌতুক নিইনি।
যৌতুক মামলায় যদি আমার পরাজয় হয়, তাহলে কেমন সাজা হতে পারে? ৪০ হাজার এক টাকা দেনমোহরে আমার বিয়ের কাবিন হয়। এই কাবিনের পুরো টাকা কি দিতে হবে? খোরপোশ কী পরিমাণ দিতে হবে? আমি অন্য কোনো মেয়েকে বিয়ে করতে পারব কি?
মো. আশা
যশোর।
আপনার চিঠির প্রথম প্রশ্নের উত্তরে বলা যায়, যৌতুক নিরোধ আইন, ১৯৮০-এর ধারা ৪-এ সর্বোচ্চ শাস্তি পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা জরিমানা অথবা কারাদণ্ড ও জরিমানা উভয়ই হতে পারে। এই আইনের আওতায় ন্যূনতম শাস্তি এক বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
দ্বিতীয় প্রশ্নের জবাব হলো, আপনাকে কাবিননামার পুরো ৪০ হাজার টাকা আপনার স্ত্রীকে পরিশোধ করতে হবে। যদি না আগে আপনি দেনমোহরের অংশবিশেষ পরিশোধ করে থাকেন। মুসলিম আইন অনুযায়ী বৈবাহিক সম্পর্ক বিচ্ছেদের পর পরবর্তী তিন মাস পর্যন্ত খরপোশ প্রদানযোগ্য। ওই খরপোশের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয় স্বামী ও স্ত্রীর সামাজিক অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে।
আপনি চিঠিতে তালাকের নোটিশের কথা উল্লেখ করেছেন, কিন্তু মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ ১৯৬১-এর বিধান অনুযায়ী তালাকের নোটিশ সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা সিটি করপোরেশনের মেয়রকে পাঠাতে হবে। ওই নোটিশ পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে চেয়ারম্যান অথবা মেয়র দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা চালাবেন। সমঝোতায় ব্যর্থ হলে সেই ৯০ দিন পর তালাক কার্যকর হবে। তালাক কার্যকর হওয়ার পর আপনার দ্বিতীয় বিয়েতে আর কোনো বাধা নেই। চিঠির বক্তব্য অনুযায়ী আপনার তালাক এখনো কার্যকর হয়নি। এ অবস্থায় আরবিট্রেশন কাউন্সিলের অনুমতি ছাড়া যদি আপনি বিয়ে করেন, তবে আপনার স্ত্রী আপনার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেন এবং সে ক্ষেত্রে এক বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
আমরা চার ভাই সাত বোন। আমাদের বাবা কিছু সম্পত্তি চার ছেলের নামে, কিছু মায়ের নামে এবং কিছু নিজের নামে কিনেছিলেন। কিন্তু মেয়েদের নামে কোনো সম্পত্তি কেনেননি এবং টাকাপয়সা দিয়ে যাননি। বাবা-মা দুজনই মারা গেছেন। আমরা ভাই ও বোনেরা বাবা ও মায়ের রেখে যাওয়া সম্পত্তি ভাগাভাগি করতে বসলে ভাইয়েরা শুধু বাবা ও মায়ের নামে যে সম্পত্তি আছে তা-ই ইসলামি আইনমতে (এক ছেলে যা যাবে এক বোন তার অর্ধেক) দিতে চায় এবং বাবার কেনা তাদের নামে যে সম্পত্তি তার ভাগ বোনেরা পাবে না বলে জানাচ্ছে। যদিও আমার ভাইয়েরা ছোট থাকতে এই সম্পত্তি বাবা তাদের নামে কিনেছিলেন, যা আইনত বেনামি ক্রয়ের মধ্যে পড়ে। বাবার কেনা ভাইদের নামের সম্পত্তির ভাগ বোনেরা পাবে কি না?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
খুলনা।
যদি আপনার বাবা ১৯৮৪ সালের ২৪ জানুয়ারির আগে বেনামিতে আপনার ভাইদের নামে সম্পত্তি কিনে থাকেন, তাহলে আপনি আদালতে মামলা করে প্রমাণ করতে পারেন যে আপনার বাবা আপনার ভাইদের নামে বেনামিতে সম্পত্তি কিনেছিলেন। সে ক্ষেত্রে আপনি আপনার বাবার উত্তরাধিকারী হিসেবে ওই সম্পত্তির অংশ দাবি করতে পারেন। কিন্তু সম্পত্তি ১৯৮৪ সালের ২৪ জানুয়ারির পর বেনামে কেনা হলে আপনার উত্তরাধিকারের দাবি গ্রহণযোগ্য হবে না। উল্লেখ্য, ভূমি সংস্কার আইন ১৯৮৪ প্রণয়নের মাধ্যমে বেনামিতে লেনদেন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আমার বয়স যখন মাত্র নয় মাস, তখনই আমার বাবার বিভিন্ন অসত্সঙ্গের কারণে আমার মাকে তালাক দেন। তাই আজ পর্যন্ত বাবার আদর কী জিনিস তা আমি জানি না। পরে আমার বাবা আবারও বিয়ে করেন এবং ওই সংসারে এখন তাঁর তিন ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। আজ পর্যন্ত আমি নানাবাড়িতেই আছি। আমার বয়স এখন ৩০ বছর। আমি বিবাহিত ও তিন বছরের একটি ছেলে আছে। আমি ছোটখাটো একজন স্বর্ণকার এবং বাবার সম্পত্তি থাকার পরও ভোগ করতে না পারার কারণে আর্থিক সংকটে ভুগছি। আমার বাবা বর্তমানে জীবিত। তিন-চার বিঘা জমি ও ভিটেবাড়ি আছে। বাবা আমাকে বলেছেন, আমি যদি স্ত্রী-সন্তানসহ তাঁর কাছে এখনো ফিরে যাই, তাহলে আমাকে তাঁর সম্পত্তির ভাগসহ বাড়ি বানিয়ে দেবেন। তিনি আমাকে খুব ভালোবাসেন, কিন্তু আমার মায়ের সঙ্গে অন্যায় আচরণের কারণে বর্তমানে তাঁর সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক নেই। যখন আমি বুঝতে শিখেছি, তখন থেকেই বাবার প্রতি আমার একটা ঘৃণাবোধ কাজ করে। তাই আমি শেষ পর্যন্ত আমার নানাবাড়িতেই থাকতে চাই।
আমি বাবার সম্পত্তির ভাগ চাই; কিন্তু তাঁর কাছে যেতে চাই না। এ অবস্থায় আমি কি বাবার সম্পত্তির ভাগ পাব না? তিনি যদি আমাকে ত্যাজ্যপুত্র ঘোষণা করেন, তাহলে সম্পত্তির ভাগ পাওয়ার উপায় কী?
মো. মাহাবুবার রহমান
দিনাজপুর।
মুসলিম আইনে ত্যাজ্য করার কোনো বিধান নেই। অতএব, আইন মোতাবেক আপনি আপনার বাবার সম্পত্তির হকদার। কিন্তু আপনার বাবা জীবিত অবস্থায় যদি তাঁর পুরো সম্পত্তি হিবা, উইল অথবা অন্য কোনো মাধ্যমে বিলি-বণ্টন করেন, তাহলে আপনি বাবার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হবেন। সে ক্ষেত্রে আপনি আইনগতভাবে কোনো প্রতিকার পাবেন না। চিঠিতে আপনি উল্লেখ করেছেন, আপনার বাবা আপনাকে অনেক ভালোবাসেন। সে ক্ষেত্রে আমার পরামর্শ হলো, বাবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা। সামাজিক রীতিনীতি অনুযায়ী বাবা-মাকে সম্মান-শ্রদ্ধা করাই নিয়ম এবং তাঁরাও সন্তানকে নিঃশর্তভাবে ভালোবাসেন। অতএব, আপনার উচিত বাবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা। সম্পত্তি আপনি পান আর না পান, বাবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা আপনার কর্তব্য।
আমার বয়স ৩০ বছর। আমি একটি টেক্সটাইল মিলে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত এবং ভালো বেতন পাই। একটি মেয়েকে পছন্দ করি এবং পারিবারিকভাবে ২০০৮ সালের ১৮ জানুয়ারি বিয়ে করি। বিয়ের সময় চার লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করা হয়। এর মধ্যে ১০-১২ হাজার টাকা উশুল করা হয়। বিয়ের পর আমি জানতে পারি, একটি ছেলের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। তিন মাস ভালোই চলছিল। হঠাত্ আমার চাকরি চলে যায়। কিছুদিন পর একটি কম বেতনের চাকরি পাই। এর পর থেকেই আমার স্ত্রী ও শ্বশুর-শাশুড়ি আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতে থাকেন। আমার স্ত্রী বিকম প্রথম বর্ষে পড়ে। সে আমার কাছে দামি অলংকার চাইত, কিন্তু আমি দিতে পারতাম না। এসব নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া হতো। একদিন শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে আমার ঝগড়া হয় এবং তাঁরা বলেন, তাঁদের মেয়েকে আমার কাছে আর থাকতে দেবেন না। সময়মতো তালাকনামা পাঠিয়ে দেবেন। গত মে মাস থেকে তাঁরা আমাকে স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে দেন না। বলেন, সে তোমার সামনে আসবে না। তখন আমি তালাকনামা চাইলে শ্বশুর বলেন, সময় হলে পাঠিয়ে দেব। তারপর অনেক দিন হলো, এখন পর্যন্ত তালাকনামা পাঠায়নি। আমার বাবা-মা গিয়েছিলেন বউকে আনার জন্য, কিন্তু তাঁরা আমার স্ত্রীকে আসতে দেননি, বরং আমার বাবা-মায়ের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন। এখন আমি কী করব?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
আপনি পারিবারিক আদালতে দাম্পত্য সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের মামলা করতে পারেন। সেই মামলায় আপনাকে প্রমাণ করতে হবে, আপনার স্ত্রীকে তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাঁর বাবা-মায়ের কাছে রাখা হয়েছে। বৈবাহিক সম্পর্কে পারস্পরিক সমঝোতা খুবই জরুরি। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আপনার স্ত্রী যদি স্বেচ্ছায় আপনার সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে না চান, আপনি আইন প্রয়োগ করে তাঁকে বৈবাহিক সম্পর্কে বাধ্য করতে পারেন না।
আমার নাম বৃষ্টি। উচ্চমাধ্যমিকে পড়ছি। বয়স ১৯-২০ বছর। যখন আমার বয়স চার-পাঁচ বছর, তখন আমার বাবা মারা যান। আমার বাবার বড় ভাইয়ের হিংসাত্মক আচরণের জন্য আমার মা আমাকে নিয়ে মামার বাড়ি আশ্রয় নেন। আমি আমার বাবার একমাত্র সন্তান। আমার মা এখন দ্বিতীয় সংসার করছেন। আমার বাবা মারা যাওয়ার আগে সম্পত্তির বিপরীতে ব্যাংক থেকে ঋণ নেন। এখনো সেই ঋণ শোধ করতে পারেননি। আমাদের ঘর ও সম্পত্তিতে বর্তমানে আমার বাবার বড় ভাই বসবাস করছেন। আমি হিন্দু মেয়ে। শুনেছি, হিন্দু মেয়েরা পৈতৃক সম্পত্তির অধিকার পায় না। আমার সম্পত্তি বিক্রি করে ঋণ পরিশোধ করলে আমার বাবার বড় ভাই আইনগত কোনো বাধা সৃষ্টি করতে পারবেন কি না?
ঠিকানা প্রকাশে অনিচ্ছুক
অবিবাহিত মেয়ে হিসেবে আপনি আপনার বাবার সম্পত্তি থেকে ভরণ-পোষণ পাওয়ার অধিকারী। যদিও দায়ভাগা আইন অনুযায়ী আপনি বিয়ের পর বাবার সম্পত্তির কোনো অংশ পাবেন না। জীবনস্বত্বের অধিকারী হিসেবে আপনি আপনার বাবার আগের দায়দেনা পরিশোধের উদ্দেশ্যে বাবার সম্পত্তি বিক্রি করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনার বাবার বড় ভাই কোনো আইনগত সমস্যার সৃষ্টি করতে পারবেন না।
আমার বাবা তিনটা বিয়ে করেছেন। আমরা প্রথম ঘরের সন্তান। আমরা এক ভাই ও এক বোন। দ্বিতীয় ঘরে এক ভাই এবং তৃতীয় ঘরে এক বোন। আমি নতুন বিয়ে করেছি। সংসারে সব সময় অশান্তি লেগেই আছে। আমি ছোট্ট একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। মাসে পাঁচ হাজার টাকা বেতন পাই। এখন বাবা আমাকে আমার মাসহ আমার স্ত্রীকে আলাদা খেতে বলছেন। আমার বাবা মাসে ২০ হাজার টাকা বেতন পান। তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী বর্তমানে বিদেশে আছেন। সেই ঘরের সন্তানকে সাত মাস বয়স থেকে আমার মা লালন-পালন করছেন। আমার বোনটি এসএসসি পরীক্ষার্থী। আমার দাদা-দাদি বর্তমানে বেঁচে আছেন। আমার বাবাও তাঁদের খোঁজখবর নেন না। এ অবস্থায় আমার পক্ষে মা, বোন ও দাদা-দাদি— সবাইকে ভরণ-পোষণ দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ আমার বেতন অল্প। আমি ঢাকায় থাকি। মাসে আমার প্রায় আড়াই হাজার টাকা খরচ হয়। আমাদের বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এখন যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। এ অবস্থায় আমি কী করব? তার নামে কি কোনো মামলা করব?
জাহিদ হাসান
আপনার চিঠিতে উল্লিখিত সমস্যাগুলো পারিবারিক। আইনগতভাবে এর সমাধান দেওয়া সম্ভব নয়। তবে আপনার মা আইনগতভাবে আপনার বাবার কাছ থেকে খোরপোশ পাওয়ার অধিকারী। সে ক্ষেত্রে আপনার মা খোরপোশ দাবি করে পারিবারিক আদালতে মামলা করতে পারেন। সাবালক ছেলে হিসেবে আপনি বাবার বিরুদ্ধে মামলা করার অধিকারী নন। উল্লেখ্য, শুধু আইন দিয়ে পারিবারিক সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। সামাজিকভাবে বিষয়গুলোর নিষ্পত্তি করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আপনি আত্মীয়স্বজনের সহায়তায় আপনার সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করতে পারেন।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, অক্টোবর ২০, ২০০৯
urmi
Ami ek muslim nari,hons 1st year er student.bohu koste tuitioni kore nejar porar khoroch chalai.amr tuition fees etoi kom j ta die amr nejar e chola kostokor.tobuo ami majhe moddhe ja pari family k dei.amr baba kaj kormo korena.tobe unar ja samanno property ache,ta die konomote amader songsar chole jay.but kichudin jabot ami lokkho korchi,jekhane amr beton 5000tk,sekhane tara amr kache 7000tk chay.ami tader bujhay boli.but goto 2 din age amr jonmodata baba amak bole tk dite na parle tui suicide kor,toke gonmer somoy mere fela uchit chilo.erokom r o onek aghat dea kotha barta bole shudhumatro tkr jonno.ami sojjo korte na pere kichuta protibad korle ek porjaye amr parents amak mardhor kore.amr obak lage,jei ma baba choto theke amak eto ador jonto korche,tara emon preasure kivabe create korte pare?kono step parents o to emon kore na.tobe amr sathe emon keno holo?sediner ghotonar por theke amak ekghore alada kore dey tara.emonki amr choto vai keo amr kache aste dey na.r o ki j manosik ottachar amr upor cholche bujhate parbo na.kanna chara r kono goti paina.jodi relative ache tader kache jabo?ami sob sotti bolar agei tara sob relative k mittha kotha banay bole amakei doshi banay.ami ei jibon nea thakte parbo na.pls amar problem bibechona kore amak ekta aingoto poramorsho dile khushi hobo.