ঈদের আর বাকি মাত্র কয়েক দিন। পোশাক কেনার পাশাপাশি ভিড় জমছে গয়নার দোকানগুলোতেও। এবারের ঈদের গয়নার ফ্যাশন কেমন জেনে নেওয়া যাক।
মায়াসিরের কর্ণধার ও ডিজাইনার মাহিন খান বলেন, ‘গয়নার ফ্যাশন এখন নানা রকম। একটি বা দুটি ধারায় তা আর সীমাবদ্ধ নেই। আমরা এমন কিছু কিনতে চাই, যা সব সময়ই পরা যাবে। মুক্তার গয়না সেদিক দিয়ে পুরোপুরি গ্রহণযোগ্য।’
ঈদের বাজারের ফ্যাশনে এগিয়ে আছে পাথরের গয়না। ছোট কিংবা বড় ঝুমকা, টপস বা শেনডেলিয়ার দুল করছে রাজত্ব।
ফ্যাশনে পুঁতির গয়না এখনো চলছে। ছোট কিংবা বড় নানা রঙের পুঁতির বাহার কলেজপড়ুয়া মেয়েদের কাছেই বেশি। সকাল-বিকেলে তো পরা যায়ই, অনায়াসে চলে যাবে ঈদের বিশেষ সাজসজ্জাও।
খালি থাকবে কেন হাত। হাতে পরুন মোটা বালা। এক রং বা বিভিন্ন নকশায় পাওয়া যাচ্ছে বালাগুলো। গলায় ও কানে কিছু না পরে শুধু এক হাতে পরতে পারেন, দেখতে মন্দ লাগবে না। একটি নয়, পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে তিন-চারটি গয়না পরুন। তবে সকালে কাচের চুড়ির রিনিঝিনিই ঈদের উৎসবটাকে বেশি মনে করিয়ে দেবে। এমনটি মনে করছেন মাহিন খান।
বাজারজুড়ে আছে গোল্ড প্লেটেড গয়নাও। শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ এবং পাশ্চাত্য পোশাকের সঙ্গে এগুলো চমৎকার মানাবে বলে জানালেন মাহিন খান। ঈদের ফ্যাশন ট্রেন্ডে এবার চলছে বেশ। খুব সাধারণ রিং-জাতীয় দুল থেকে জমকালো ঝুমকা, পাশার নকশায়ও পাওয়া যাচ্ছে এসব। তবে ঈদের গয়নায় অন্যতম ফ্যাশনেবল হিসেবে জায়গা করে নিতে পারে আংটি-জানালেন মাহিন খান।
একেবারে হারিয়ে যায়নি সোনার গয়না। জমকালো গয়নাগুলো তুলে রাখা হোক রাতের জন্য। সকাল বা দুপুরে হালকা একটা লকেট, কানে পরলেন ছোট একটা দুল। সোনার দোকানে ঘুরতে আসা গ্রাহকদের কাছ থেকে এ ধারণাই পাওয়া গেল। হালকা সোনার গয়নাই এ গরমের জন্য উপযুক্ত হবে বলে সেগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে জানালেন বিক্রেতারা।
বাজারে দরদাম
নিউমার্কেট-গাউসিয়াঃ এ এলাকায় গয়নার দাম কিছুটা কম। হাতের মোটা বালার দাম ২০ টাকা থেকে শুরু। বিদেশি নকশার পাথর বসানো কানের দুল ১০০ টাকার ওপর। গলার ও কানের সেট ৩০০ টাকার ওপর। পুঁতির মালার দাম পড়বে ৮০ টাকার ওপর।
মায়াসিরঃ রুপার দুল ১৫০ থেকে তিন হাজার ৫০ টাকা। রুপার ওপর সোনার পলিশ করা তিন হাজার ৫০ থেকে সাত হাজার ৫০০ টাকা। মালার সেট রুপার অক্সি ৪৫০ থেকে তিন হাজার ৫০ টাকা। সোনার পলিশ তিন হাজার ৫০ থেকে শুরু। হাতের আংটি ১০০ থেকে এক হাজার ২৫০ টাকা। বালা এক হাজার ৬৫০ থেকে পাঁচ হাজার ৬৫০ টাকা। ব্রেসলেট দুই হাজার ৫০ থেকে চার হাজার ৫০ টাকা।
আড়ংঃ অক্সিডাইজড সিলভার ও সিলভারের দুল এখানে পাওয়া যাবে ১০০ থেকে চার হাজার টাকার মধ্যে। সোনার দুল দুই হাজার ২০০ টাকার ওপর। সোনার সেট ৩৪ হাজার টাকার ওপর। সোনার হালকা লকেটের দাম পড়বে এক হাজার টাকার ওপর। মুক্তার তৈরি দুল ১০০ থেকে ২২৫ টাকা। মুক্তার সেট ৬৬৫ থেকে আট হাজার টাকা পড়বে।
পিরান, মাদুলি ও বিবিয়ানাঃ কাঠের, সুতার, মেটালের, কড়ির, রুপা দিয়ে বাঁধানো ও মাটির বিভিন্ন ধরনের বালা এখানে পাওয়া যায়। শুধু তা-ই নয় পুঁতির মালাও পাবেন।
রয়া মুনতাসীর
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০০৯
Leave a Reply