ঈদুল ফিতরে জাকাত হিসেবে অনেকেই কাপড় দান করেন। বিক্রেতারা জানান, জাকাত দেওয়ার জন্য সবচেয়ে প্রচলিত পোশাক হচ্ছে শাড়ি ও লুঙ্গি। তবে এখন অনেকে পাঞ্জাবি, তৈরি শার্ট, প্যান্ট, ছোটদের রকমারি পোশাক জাকাত হিসেবে দিয়ে থাকেন।
দরদাম কেমন
জাকাতের জন্য বিভিন্ন শাড়ি পাওয়া যাবে ১৫০-৩০০ টাকার মধ্যে। লুঙ্গি ৭০-২০০, পাঞ্জাবি ১৫০-৪০০, শার্ট ১৫০-২৫০ ও ছোটদের কাপড় পাওয়া যাবে ৫০-১৫০ টাকার মধ্যে। বাজার হিসেবে এসব পণ্যের দামের তারতম্য হয়ে থাকে।
কিনবেন কোথায়
জাকাতের কাপড় পাওয়া যাবে ঢাকার বিভিন্ন মার্কেটে। ফুলবাড়িয়ার বঙ্গবাজার বিকল্প হকার্স মার্কেটের রিটন লুঙ্গি স্টোর, মালঞ্চ শাড়ি ঘর, সারিয়া শাড়ি বিতান, সুমাইয়া শাড়ি হাউস, আরিফ শাড়ি বিতান, জিদনী শাড়ি বিতানসহ বেশ কিছু দোকানে জাকাতের কাপড় পাওয়া যায়। এ ছাড়া আহছানিয়া মিশনের বিক্রয়কেন্দ্রে জাকাতের কাপড় পাওয়া যায়।
কাপড়ের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার হিসেবে পরিচিত স্থান হলো ইসলামপুর। এখানকার আমিন ভবন মার্কেটের স্ট্যান্ডার্ড লুঙ্গি সেন্টার, মিস্টার লুঙ্গি ও শাড়ি বিতান, মেসার্স ওহাব অ্যান্ড সন্স স্কাড বস্ত্র বিতান, মেসার্স হেলাল অ্যান্ড ব্রাদার্সসহ বেশ কিছু দোকানে জাকাতের কাপড় বিক্রি হয়।
গুলিস্তানের পীর ইয়ামেনী মার্কেটের সেলিম অ্যান্ড ব্রাদার্স ও মাহাবুব অ্যান্ড ব্রাদার্সে জাকাতের কাপড় পাওয়া যায়।
এসব কাপড় পাবনা, কুষ্টিয়া ও সিরাজগঞ্জে তৈরি হয়, এরপর ঢাকায় আসে।
একটু বেশি পরিমাণে জাকাতের কাপড় কিনতে চাইলে যেতে পারেন ঢাকার অদূরে শেখের চর বাবু বাজারে। এসব স্থান জাকাতের কাপড় কেনার জন্য উপযুক্ত হিসেবে পরিচিত।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, সেপ্টেম্বর ০১, ২০০৯
Leave a Reply