‘সকাল থেকেই ঠিক করে নিই আজকের দিনে কী হবে আমার স্টাইল। ব্যাপারটা পুরোপুরি নির্ভর করে ব্যক্তিত্বের ওপর। আর ফ্যাশন ও স্টাইলের ব্যাপারটা একেকজনের কাছে একেক রকম।’ বললেন অভিনেত্রী তারিন। সম্প্রতি নকিয়ার আয়োজনে এবারের ঈদ ফ্যাশন নিয়ে তারকাদের ভাবনা বিষয়ে এক আড্ডা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। আড্ডায় আরও উপস্থিত ছিলেন মডেল নোবেল, বিন্দু ও শিল্পী জন। আড্ডার মূল বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিল নকিয়ার ছবি নিয়ে বিশেষ প্রতিযোগিতা ‘ক্লিক! শেয়ার! উইন!’ বিষয়টি। ঈদ উপলক্ষে ফ্যাশন কেমন হবে কিংবা কেমন হওয়া উচিত, এ বিষয়ে চলে আলোচনা। সঙ্গে চলতে থাকে কীভাবে নিজস্ব স্টাইল সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া যায়। ‘ফ্যাশন আর স্টাইলের ব্যাপারটা আলাদা। স্টাইলটা নিজেকে জানতে হবে।’ বললেন নোবেল। তিনি আরও যোগ করলেন, ‘ফ্যাশনটা কাউকে অনুসরণ করে হয়। তা যে-কেউ হতে পারে।’ তারিন বলেন, ‘সৌন্দর্য বিষয়টা নিজের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়। নিজেকে কোনটা মানাচ্ছে সে ব্যাপারটা গুরুত্বপূর্ণ। যে জিনিসটা ব্যবহার করব সেটা যে অনেক দামি হতে হবে তা কিন্তু নয়। বড় ব্যাপার হচ্ছে, নিজেকে কতটা মানিয়ে নেওয়া যায়। নিজেকে তুলে ধরতে হলে নিজের ব্যাপারগুলো তুলে ধরতে হবে। এ ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনটির কথা বলা যায়। বর্তমান সময়ে অতিপ্রয়োজনীয় এই ক্ষেত্রে ফ্যাশনের ব্যাপারটা লক্ষ রাখা উচিত।’ শিল্পী জন বলেন, ‘যারা যে বিষয়টি তুলে ধরতে চায় তাতেই ফ্যাশন হয়। যেহেতু মিউজিক নিয়ে আমরা কাজ করি তাই এর বিষয়গুলোই আমরা কাছে ফ্যাশন। কীভাবে সুন্দরভাবে মানিয়ে কাজ করা যায় এবং তুলে ধরা যায়, সেটিই গুরুত্বপূর্ণ।’ ফ্যাশন, স্টাইল শেয়ার বিষয় নিয়ে নোবেল বলেন, ‘ফ্যাশন, স্টাইলকে শেয়ার করতে হবে, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি নিজেও সব সময় চেষ্টা করি নিজের ফ্যাশন আর স্টাইল সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে।’
বিন্দু বলেন, ‘দেশের সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে আর সে অনুযায়ী ফ্যাশনকে এগিয়ে নিতে শেয়ারের বিষয়টি বাড়াতে হবে। আর এর মাধ্যমেই আমাদের নিজস্ব বিষয়টি ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব।’
নুরুন্নবী হাছিব
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, সেপ্টেম্বর ০১, ২০০৯
Leave a Reply