ঢাকার অভিজাত অধিবাসীদের একটু ভিন্ন স্বাদের ফ্যাশন জগতের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে যাত্রা শুরু হয় ফ্যাশন হাউজ অহং-এর। গুলশানে মাত্র একটি শাখা দিয়ে যাত্রা শুরু করলেও অহং এখন দু’টি শাখায় বিস্তৃত। পুরো পরিবারের ফ্যাশন আয়োজন নিয়ে সম্প্রতি গুলশানে অহং তার মূল শাখাটি সরিয়ে আনে। এবারের স্টাইলশপে উঠে এসেছে অহং-এরই ঐশ্বর্য।
প্রায় তিন হাজার স্কয়ার ফিট জায়গা জুড়ে অহং-এর এই নতুন শাখাটি। এখানে রয়েছে পুরো পরিবারের সবার জন্য পোশাক আয়োজন। প্রবেশ মুখে মুগ্ধ করে দেয় অহং-এর ভেতরকার ইন্টেরিয়র সাজ। নিপুণ আলোক সজ্জায় অভিজাত ফ্যাশন পণ্যগুলো যেন ফুটে উঠেছে নক্ষত্রের মত। এখানে মেয়েদের জন্য পাওয়া যাবে শাড়ি, সালোয়ার কামিজ এবং ওড়না। বিয়ের শাড়ি হিসেবে ঢাকাই মেয়েদের এখন অন্যতম পছন্দ অহং-এর জমকালো শাড়ি। বিয়ের এইসব শাড়ি অধিকাংশ আসে ভারত থেকে। কিন্তু তাই বলে ভাববেন না এর ডিজাইন থিমগুলো ভারতীয়। অহং-এর ডিজাইনার মারজান হাদী ঝুমা এ সব শাড়ি ডিজাইন করে থাকেন। আর শাড়িগুলো তৈরি হয় ভারতের পুনা, গুজরাট, লক্ষৌ, জয়পুর, মাদ্রাজ আর কলকাতায়। বিয়ের জন্য কিংবা পাটিতে ব্যবহারের শাড়িগুলো অহং-এ মাস্টার পিস হিসেবে বিক্রি হয়। শাড়ির দাম শুরু হয় ২২০০ টাকা থেকে। পাওয়া যাবে ৩ লাখ টাকা দামের শাড়িও। এখানে লেহেঙ্গা কিনতে যেতে পারেন, দাম পড়বে ১৫০০০ থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত। নিখুঁত ডিজাইনের এসব শাড়ি এক এক পিস তৈরি হতে সময় লাগবে প্রায় তিন মাস। আর তাই দামে একটু বেশি হলেও অহং-এর শাড়ি প্রতিটাই সাজিয়ে রাখার মত। এখানে প্রসঙ্গক্রমে বলতে হয়, ‘অহং’ এই নামটার পেছনেও আছে গল্প। অহং-এর চেয়ারম্যান এম এ হাদী জানান, অহং তার যাত্রা শুরু করে এমন একটি ধারণা নিয়ে যেখানে অহং-এর প্রতিটি পণ্য কিনে ক্রেতা যেন গর্ববোধ করে। অহং-এর পোশাক যেন সাজিয়ে রাখার মত হয় সে বিষয়টি মাথায় রেখেই অহং তার ফ্যাশনের ডালা সাজিয়েছে।
নতুন এই শাখাটিতে পুরুষদের ফেব্রিক্স, টেইলারিং, রেডিমেইড শার্ট, আন্ডার গার্মেন্টস সবই পাওয়া যাবে। মেয়েদের জন্য শাড়ি, চুড়ি, গয়না, জুতো, কসমেটিক্স, আন্ডার গার্মেন্টস সবই মিলবে অহং-এর এক এক ছাদের নিচে। পাওয়া যাবে এক্সক্লুসিভ পার্টি পার্টস। বৈচিত্র্য, আধুনিকতা আর ফ্যাশনের নিপুণ বুনটে অহং প্রতিনিয়ত জয় করে চলেছে অসংখ্য মানুষের মন। ঢাকাতে অহং-এর ঠিকানা : বাড়ি-৮/বি, রোড-১, গুলশান-১, ঢাকা। এছাড়া বনানীতে রয়েছে অহং-এর আরেকটি শাখা। তবে ভবিষ্যত পরিকল্পনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এম এ হাদী জানান, খুব শীঘ্রই অহং ফ্যাশন স্টোরের রূপ ভেঙ্গে একটি পূর্ণাঙ্গ ফ্যাশন মলের রূপ নিতে যাচ্ছে। আর তাই অচীরেই হয়ত অহং তার সবগুলো শাখা বন্ধ করে ফ্যাশন মল হিসেবে ঢাকাতে আস্তানা গড়বে।
লেখা ও ছবি এমএইচ মিশু
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, আগস্ট ১১, ২০০৯
Leave a Reply