একটা সময় ছিলো যখন ক্যারিয়ার ডেভলপমেন্টের জন্য যে কোন কোচিং করা দরকার, সে ধারণাটাই সমাজে প্রচলিত ছিল না। আইইএলটিএস, জিমেট, জিআরই, কিংবা জব প্রস্তুতি নেযার জন্য ইন্টারভিউর প্রস্তুতি, প্রভৃতির জন্য নির্ভরযোগ্য কোন প্রতিষ্ঠান ছিলো না। এমনকি বিবিএ, এমবিএ ভর্তির বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্যও যে কোথাও কোচিং করা দরকার সেটার ও কোন ধারনা আমাদের ছিল না। সর্বপ্রথম যে প্রতিষ্ঠানটি এই সমস্ত অভাব পূরণে এগিয়ে এলো সেটা হলো ‘সাইফুর’স’। আর যার প্রতিষ্ঠাতা সাইফুর রহমান খান। যিনি বুয়েট থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কমপ্লিট করে জাপান থেকে মনোবসু স্কলারশীপের অধীনে এমবিএ করে পরবর্তীতে আইবিএ-তে শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। সুষ্ঠু গাইড লাইনের অভাবে বহু মেধাবী শিক্ষার্থী তার কাঙ্খিত ‘ক্যারিয়ার’ গড়ে তুলতে পারেন না। ফলে অকালেই তাদের জীবন হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। একজন সচেতন নাগরিক ও শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ববোধ থেকেই তিনি এ ধরনের একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেন। আর যার ফলশ্রুতিতেই আজকের এই ‘সাইফুর’স’।
সাইফুর’স-এ আছে বিভিন্ন ধরনের কোর্স। যেমন- আইএলটিএস, জিমেট, জিআরই, ন্যাচারাল স্পোকেন, ভার্সিটির বিসিডি ইউনিট ভর্তি কোচিং, বিবিএ, এমবিএ, ভর্তি কোচিং, কোরিয়ান, চাইনিজ, বিসিএস, ইত্যাদি।
তাছাড়া ২০০৬ থেকে সাইফুর’স শুরু করে বিশ্বখ্যাত ব্রিটিস সিএ ডিগ্রী ‘এসিসিএ’ এবং ‘সিএটি’। এই ডিগ্রী দুটি হচ্ছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ একাউন্টিং বডির ডিগ্রী। যে কোন ডিসিপ্লিন থেকে গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করেই ‘এসিসিএ’ শুরু করা যায়। কিংবা বয়স ২১ বৎসর হলেও শুরু করা যায়। আর যাদের গ্র্যাজুশেন হয়নি কিংবা বয়স ২১ বৎসর হয়নি কেবলমাত্র এসএসসি বা এইচএসসি শেষ করেছে তারা প্রথমে সিএটির মাধ্যমে এসিসিএ-তে যাত্রা শুরু করবে। দেড় বৎসর সিএটি শেষ করে সরাসরি ‘এসিসিএ পার্ট-২’-এ চলে যাবে। পরবর্তী দেড় বছরে ‘এসসিএ পার্ট-২’ শেষ করলে বিখ্যাত অক্সফোর্ড ব্রুকস্ ইউনিভার্সিটি’তে একটি থিসিস জমা দিলে পরে এপ্লাইড একাউন্টিং-এ অনার্স ডিগ্রীটি হয়ে যাবে। অর্থাৎ দেড়+দেড়=তিন বৎসরেই যে কেউ দেশে বসেই ইংল্যান্ডের দুটি ডিগ্রী (সিএটি+অনার্স ইন এপ্লাইড একাউন্টিং) অর্জন করতে পারবে। সমস্ত পরীক্ষাগুলোই হবে ব্রিটিশ কাউন্সিলে। প্রশ্নপত্র ইংল্যাড থেকে আসবে এবং পরীক্ষার খাতাও চলে যাবে ইংল্যান্ডে। সেখানেই দেখা হবে এবং পরবর্তীতে রেজাল্ট আসবে। বাংলাদেশে ব্রিটিশ কাউন্সিলে বসে যে পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে আর যে পরীক্ষার্থী ইংল্যান্ডে বসে পরীক্ষা দিচ্ছে তাদের দু’জনের মধ্যে শিক্ষাগত যোগ্যতার কোন তফাৎ নেই। এসিসি-এ পার্ট-২ শেষ করার পর পরবর্তী ১ বৎসরে পার্ট-৩ শেষ করলে যে কেউ হবেন ইংল্যান্ডের একজন কোয়ালিফাইড চাটার্ড একাউন্টেন্ট। যে ডিগ্রীটি বিশ্বের ১৭০টি দেশে স্বীকৃত।
বাংলাদেশে যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এই ডিগ্রীটি পড়াচ্ছে তাদের মধ্যে অন্যতম হলো এই ‘সাইফুর’স’ তাদের রেজান্টও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের চেয়ে বেশ ভাল। ডিসেঃ ০৮-এ ২০০৯ জন সিএটি পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৭৯ জন এবং ৮৬ জন এসিসি-এ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬২ জন অত্যন্ত কৃতিত্বের সাথে পাশ করেছে। পাসের হার সিএটি তে ৮৬% এবং এসিসি তে ৭২%। প্রতিষ্ঠানটির এই আশাতীত সাফল্যের কারণ জানতে চাইলে পরিচালক সৌমিত্র দেব বলেন যে তাদের নিজস্ব ‘পাশ গ্যারান্টি স্কীমের’ আওতায় পরীক্ষার্থীকে ‘শতভাগ নিশ্চিত পাশের’ উপযোগী করে গড়ে তোলা হয়। তাছাড়া সাইফুর’স থেকে যে সব পরীক্ষার্থী সর্বোচ্চ মার্কস পেয়ে পাস করেছে তারাই এখন সাইফুর’স-এর শিক্ষক। তাছাড়া বেশ কয়েকজন শিক্ষক আছেন যারা এসিসি-এ ইউকে থেকে পাশ করে এসেছেন। তাছাড়া ইংরেজীতে দূর্বল ছাত্রদের জন্য আছে ‘ফ্রি ইংলিশ’ ক্লাস। অমনোযোগী ও অনিয়মিত স্টুডেন্টদের জন্য আছে স্পেশাল কেয়ার। রেগুলার ক্লাস টেস্ট, চ্যাপ্টার ভিত্তিক পরীক্ষা, ফাইনাল পরীক্ষার আদলে ফুল লেংথ মক টেষ্ট, সল্ভ ক্লাস, ফিডব্যাক ক্লাস, ইত্যাদির মাধ্যমে একজন পরীক্ষার্থীকে সম্পূর্ণভাবে পাশের উপযোগী করে গড়ে তোলা হয়। প্রতিষ্ঠানটির সাফল্য ধরে রাখা এবং উত্তরোত্তর উন্নয়নের জন্য এখানে নিযুক্ত রয়েছেন দক্ষ পরিচালক এবং এসিসি-এ কোয়ালিফায়েড প্রোগ্রাম ও কোর্স এডভাইজার যারা সার্বক্ষণিক এখানে কাজ করছে। ফোন: ০১৯১২১০১৪৭৩, ০১১৯৯৯৮২২০১।
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, আগস্ট ০১, ২০০৯
Leave a Reply