বর্ষায় বাতাসের আর্দ্রতা একটু বেশিই থাকে। আবহাওয়া হয়ে ওঠে স্যাঁতসেঁতে। এমন দিনে বৈদ্যুতিক বিভিন্ন যন্ত্রে কিছুটা সমস্যা দেখা দিতে পারে। ট্রান্সকম ডিজিটালের প্রদর্শনী ব্যবস্থাপক মেহেদী হাসান জানান, এ রকম আবহাওয়ায় যত্নের অভাবে বৈদ্যুতিক যন্ত্রসমূহ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই এ সময় এসব যন্ত্রের বিশেষ যত্ন নিতে হয়।
নিত্যব্যবহার্য বৈদ্যুতিক যন্ত্রের তালিকায় রয়েছে ফ্রিজ, শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি), টেলিভিশন, কম্পিউটার, বৈদ্যুতিক পাখা প্রভৃতি।
বর্ষাকালে সাধারণত ফ্রিজের বাইরের আবরণ ঘেমে যায়। এ ক্ষেত্রে এই ঘাম শুকানো কাপড় দিয়ে মুছে ফেলতে হবে। আর যেহেতু আবহাওয়া কিছুটা ঠান্ডাই থাকে, তাই ফ্রিজের ভেতরের তাপমাত্রা কিছুটা কমিয়ে দিতে হবে।
ফ্রিজের নিচের দিকে স্যাঁতসেঁতে হয়ে যেতে পারে। এ জন্য এর নিচে শক্ত কোনো কাগজ, কাঠ কিংবা টুলজাতীয় কিছু দেওয়া যেতে পারে।
দেয়াল ভেজা বা স্যাঁতসেঁতে থাকার কারণে বর্ষাকালে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রে ত্রুটিপূর্ণ পাওয়ার লাইন থেকে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। যেমন পুরো ঘর বিদ্যুতায়িত হয়ে যেতে পারে। তাই বর্ষাকালের শুরুতে পাওয়ার লাইন পরীক্ষা করতে হবে। সমস্যা থাকলে দ্রুত সারিয়ে নিতে হবে। বর্ষাকালে এসির ব্যবহার কিছুটা কমই থাকে। এর ফলে খোলা অবস্থায় থেকে এসিতে ধুলাবালি জমে যেতে পারে। তাই এ সময় এসিতে কাপড়ের তৈরি ঢাকনি ব্যবহার করা যেতে পারে।
টেলিভিশন ও কম্পিউটার ব্যবহারেও বর্ষাকালে থাকতে হবে বিশেষ সচেতন। আকাশে বিদ্যুৎ চমকালে এসব যন্ত্র বন্ধ রাখাই ভালো। আর ব্যবহারের পর বিশেষ করে রাতে মেইন সুইচ বন্ধ রাখতে হবে। এতে কোনো বিপদের ঝুঁকি থাকে না।
বর্ষাকালের স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় সব বৈদ্যুতিক যন্ত্র ব্যবহার করতে হবে সচেতনভাবে।
খেয়াল রাখতে হবে, যেন কোনোভাবেই এগুলো পানির সংস্পর্শে না আসে।
মোছাব্বের রিবন
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জুলাই ১৪, ২০০৯
Leave a Reply