দোকানটিতে ঢুকতেই শুনবেন ঘুঙ্গুরের আওয়াজ। ভেতরে গিয়ে দাঁড়াতেই বোঝা যাবে এর বিশেষত্ব। চারদিকে সাজানো নাচের গয়না, নাচের পোশাক আরও অনেক পণ্য-সবই নাচের। নাচের জন্য দরকারি পোশাক-আশাক আর নানা উপকরণ নিয়েই যাত্রা শুরু করল সালংকারা। এ উপলক্ষে ৭ জুলাই আয়োজন করা হয় এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। বসুন্ধরা সিটির দ্বিতীয় তলায় সালংকারার সামনে সেদিন ভিড় করেছিলেন নৃত্যাঙ্গনের শিল্পী ও শুভানুধ্যায়ীরা।
নৃত্যশিল্পী ওয়ার্দা রিহাব এবং অরুপ কুমার সাহার উদ্যোগে চালু হয়েছে এ দোকানটি।উদ্দেশ্য ওড়িষী, মণিপুরি, কথাকলি, রবীন্দ্র নৃত্যের পোশাক, গয়নাসহ অন্যান্য সামগ্রী সহজলভ্য করা। কারণ, এসব নাচের সামগ্রী বাংলাদেশে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। পাওয়া যায় ভারতের শান্তিনিকেতনে। সুতরাং এখানে শিল্পীদের অপেক্ষায় থাকতে হয়। কখন কে যাবে এবং দরকারি বস্তুটি নিয়ে আসবে। এ ঝামেলা থেকে রেহাই দিতেই গড়ে তোলা হয়েছে সালংকারা।
এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নৃত্যশিল্পী লুবনা মরিয়ম ও লায়লা হাসান।
লুবনা মরিয়ম জানান, এটি সৃজনশীল একটি উদ্যোগ, যে পেশায় নিজেকে গড়ে তোলা, সেটি নিয়েই সাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা। পাশাপাশি পূরণ করবে সবার নাচের সামগ্রীর চাহিদাও।
লায়লা হাসান বলেন, সময়মতো আমরা নাচের সামগ্রীগুলো পাই না। নৃত্যশিল্পীদের জন্য এ উদ্যোগটি খুবই প্রশংসনীয়। সবাই উপকৃত হবে।
দোকানটির বৈশিষ্ট্য প্রসঙ্গে ওয়ার্দা রিহাব জানান, নাচের সামগ্রীর পাশাপাশি এখানে পাওয়া যাবে নাচসংলগ্ন বই, দেওয়া হবে নাচের নানা বিষয়ে দিকনির্দেশনা। নাচের জন্য সংগীত নির্বাচনেও করা হবে সহায়তা। এমনকি নৃত্যানুষ্ঠানের জন্য দরকারি অনুষঙ্গ (প্রপস) ও সেটও পাওয়া যাবে।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জুলাই ১৪, ২০০৯
Leave a Reply