এ বিভাগে পেশাসংক্রান্ত যেকোনো প্রশ্ন পাঠাতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা সেসবের উত্তর দেবেন। এ বিভাগে চিঠি পাঠানোর ঠিকানাঃ ‘পেশা পরামর্শ’, কাজের খবর, প্রথম আলো, ১০০ কাজী নজরুলইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫। এ ছাড়া ই-মেইল পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
প্রকৌশলবিদ্যা
আমি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং চতুর্থ বর্ষে পড়ছি। আমার জানামতে, ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়াসর, বাংলাদেশে (আইইবি) প্রকৌশলবিদ্যায় স্মাতক কোর্স রয়েছে। কিন্তু কখনো ভর্তি বিজ্ঞপ্তি চোখে পড়েনি। এখানে কখন ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং উচ্চতর ডিগ্রির সুযোগ কেমন?
মো· আনোয়ারুল ইসলাম, বাংলামোটর, ঢাকা
পরামর্শঃ আইইবিতে প্রকৌশলবিদ্যার চারটি বিভাগ আছে। জানুয়ারি ও জুলাইয়ে ভর্তি পরীক্ষার ফরম বিতরণ করা হয়। ফেব্রুয়ারি ও আগস্টে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
ডিপ্লোমা অথবা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পরে এখানে ভর্তি হওয়া যাবে। তবে উচ্চমাধ্যমিকে রসায়ন ও পদার্থবিজ্ঞানের প্রতিটিতে জিপিএ-২ থাকতে হবে। এ ছাড়া উচ্চমাধ্যমিক পাস করার পরে প্রযুক্তিগত কোনো কাজের দুই বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। চাকরির প্রত্যয়নপত্রটি আইইবির কোনো সদস্যকে দিয়ে সত্যায়িত করাতে হবে। কোনো পরীক্ষায় অংশগ্রহণ বাদ না গেলে দুই বছরেই এখানে পড়া সম্পন্ন করা যাবে। প্রথম বছরে সেকশন ‘এ’-তে আটটি বিষয় পড়ানো হয়। দ্বিতীয় বছর সেকশন ‘বি’-তে আটটি বিষয়ে পড়ানো হয়। মোট ১৬০০ নম্বরের ওপর পরীক্ষা নেওয়া হয় এখানে। এখান থেকে পাস করে যেকোনো প্রতিষ্ঠানে ক্যাডার সার্ভিস পরীক্ষা, সরকারনিয়ন্ত্রিত যেকোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা যাবে। এ ছাড়া বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতেও চাকরি পাওয়া সম্ভব।
পরামর্শ দিয়েছেন-মেসবাহুর রহমান, সাম্মানিক সাধারণ সম্পাদক, ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ।
ডেটা এন্ট্রি
কাজের খবরে ‘ডেটা এন্ট্রি’ বিষয়ে ৭ ফেব্রুয়ারি যেসব তথ্য দেওয়া হয়েছে, তা আমার খুব ভালো লেগেছে। সেখানে দেওয়া ওয়েবসাইটগুলোর মাধ্যমে আমরা ঘরে বসে আয় করতে পারব বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু আমার প্রশ্ন, কীভাবে আমরা কাজটি শুরু করব এবং ওই সব প্রতিষ্ঠান আমাদের কীভাবে বেতন দেবে? সেখানে আমাদের করণীয় কাজ কী হবে?
এ কে এম আহসান হাবিব, রংপুর
পরামর্শঃ ইন্টারনেটে অনেক ওয়েবসাইট আছে, যেগুলোতে আপনি ঘরে বসেই কাজ করতে পারবেন। যেকোনো ব্যক্তি এখানে নিবন্ধন করতে পারবে। দরকার শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, কোন কোন কাজে দক্ষ-সবকিছু নিয়ে একটি প্রোফাইল তৈরি করা। এ ছাড়া অংশ নিতে হবে অনলাইন পরীক্ষায়। ৪০ মিনিটে আপনাকে ৪০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। পরীক্ষাটিতে উত্তীর্ণ হলে আপনি কিছুক্ষণের মধ্যেই ফলাফল পেয়ে যাবেন। বিভিন্ন দেশ থেকে ক্ষেত্র অনুযায়ী চাকরির বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় এখানে। আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী এসব ক্ষেত্রে পরীক্ষা দেবেন। ক্রেতারা যখন সেবাদাতা খুঁজবেন কোনো কাজের জন্য, তখন তাঁদের প্রোফাইলসহ এ নম্বরগুলোও দেখবেন। ওয়েবসাইটে করা কাজগুলো হয় ঘণ্টা হিসেবে অথবা নির্দিষ্ট কাজ অনুযায়ী। একটি কাজের জন্য টাকার অঙ্ক উল্লেখ করে চাহিদা পাঠাতে হয় ক্রেতার কাছে। ক্রেতা কয়েক হাজার চাহিদা থেকে যোগ্যতা ও টাকার পরিমাণ দেখে আপনাকে পছন্দ করবে। এরপর ক্রেতার দেওয়া একটি নির্দিষ্ট সময়ে আপনাকে অনলাইন পরীক্ষায় বসতে হতে পারে। আপনি কী কাজ করছেন ১০ মিনিট পর পর আপনার ক্রেতা তা দেখতে পাবেন। আপনার কাজ অনুযায়ী আপনাকে টাকা দেওয়া হবে। ওডেস্ক প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব একটি ক্রেডিট কার্ডের মতো আছে। বাংলাদেশে ব্যাংকের অনুমোদিত যেসব ব্যাংকের অনলাইনে সেবা প্রদানব্যবস্থা আছে, সেখানে আপনার হিসাব থাকতে হবে। অথবা মানি বুকারসের মাধ্যমেও আপনি আপনার টাকা সাত দিনের মধ্যে পেয়ে যাবেন।
পরামর্শ দিয়েছেন-জাভেদ আহমেদ, নির্বাহী পরিচালক, অরেঞ্জ সিস্টেমস, ঢাকা।
সূত্রঃ প্রথম আলো, জুন ২৭, ২০০৯
Leave a Reply