টনসিলের সমস্যার কারণে গলা ব্যথায় ভুগে থাকে অনেক শিশু। সব ধরনের টনসিলাইটিসই একজন থেকে অন্যজনে ছড়াতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তির গলা ও নাকের তরল নিস্বরণ সুস্হ ব্যক্তির গলা ও নাকের অভ্যন্তরে ঢুকলে সুস্হ ব্যক্তিও আক্রান্ত হয়ে পড়তে পারে। এ কারণে আক্রান্তের গ্লাস, থালা, বাসন পৃথক রাখা উচিত।
টনসিলের চিকিৎসা নির্ভর করে কারণের ওপর। যদি ব্যাকটেরিয়াজনিত কারণে হয়ে থাকে তাহলে রোগীকে যথাযথ এন্টিবায়োটিক দিতে হয়। ভাইরাসের জন্য হলে ৫/৭ দিনের মধ্যে এমনিতেই সেরে যায়, সেক্ষেত্রে উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা করা হয়। চিকিৎসার পর উপসর্গ চলে গেলেও টনসিলের আকৃতি ছোট হতে কিছুটা সময় নেয়। কয়েক মাস পর্যন্ত টনসিল বাড়তি আকৃতিতে থাকতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে ওষুধে না সারলে সেক্ষেত্রে রোগের তীব্রতা ও আক্রমণের হার বিবেচনা করে অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বারবার টনসিলের ইনফেকশনের কারণে টনসিলের আশপাশের এলাকা বিশেষ করে ঊর্ধ্বশ্বাস নালী, গলবিল, সাইনাস, মধ্যকর্ণ ইত্যাদিতে ইনফেকশন হয়ে থাকে।
টনসিল খুব বড় হলে সেক্ষেত্রে শিশুর খাবার গ্রহণ ও শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়, শিশু নাক ডাকে। শিশু নিয়মিত অসুস্হ থাকার এই প্রভাব শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়।
রিউমেটিক ফিভার বা বাতজ্বরের কারণ হিসেবেও অনেক সময় বিটা হেমোলাইটিক স্ট্রেপটোকক্কাস নামক ব্যাকটেরিয়াজনিত টনসিলের সংক্রমণকে দায়ী করা হয়।
কাজেই টনসিলের ইনফেকশন হলে শিশুকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া উচিত।
————————–
ডা. সজল আশফাক ২০০৮-০৫-২৭
লেখকঃ সহযোগী অধ্যাপক, নাক কান গলা বিভাগ হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল।
আমার দেশ, ২৭ মে ২০০৮
Leave a Reply