যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধে গত ১৪ মে হাইকোর্টে একটি নির্দেশনামূলক রায় দেওয়া হয়। হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ যুগান্তকারী রায়টি দেন। সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং কর্মক্ষেত্রে নারী ও শিশুদের প্রতি যৌন হয়রানি প্রতিরোধে জনস্বার্থে দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির পক্ষে এ রায়টি দেওয়া হয়। কিন্তু এ রায় নিয়ে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই বিভ্রান্তি বন্ধের জন্য সচেতনতা তৈরি করতে হবে। ২০ জুন জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি (বিএনডব্লিউএলএ) এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধে হাইকোর্টের রায়ের কপি বিতরণ করা হয়। এ সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনডব্লিউএলএর সভাপতি ফাওজিয়া করিম। তিনি বলেন, সংবিধানের ১১১ ধারা অনুযায়ী এ রায়টি সবাইকে গ্রহণ করতে হবে এবং মেনে চলতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং গবেষক ড· মালেকা বেগম বলেন, ভবিষ্যতে এসব মামলা যেন মিথ্যা মামলা হিসেবে পরিগণিত না হয়। কারণ, আইন তৈরির আগে সবাই তৎপর থাকলেও পরে তা দেখা যায় না। সর্বসাধারণের কাছে এই বিনামূল্যে সচেতনতা পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন উইমেন ফর উইমেনের সভাপতি সালমা খান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক মিজানুর রহমান ও বিএনডব্লিউএলএর উপপরিচালক কৌহিনূর বেগম।
তৌহিদা শিরোপা
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জুন ২৪, ২০০৯
Leave a Reply