সেই আদিকালের কথা। যখন মানুষ বনে জঙ্গলে থাকত। পশুর হাড়, দাঁতহর নানা কিছু দিয়ে গয়না বানিয়ে পরত। তখন থেকেই গয়নার আবেদন রয়েছে মানুষের কাছে। হাল ফ্যাশনেও এই আবেদন এতটুকু কমেনি। স্কার্ট, ফতুয়া, ক্যাপ্রির এই ফ্যাশনে এটি আরও বেশি আবেদনময় হয়ে উঠেছে।
আজকাল যেকোনো বয়সের মেয়েরা স্কার্ট, ফতুয়া বা ক্যাপ্রি যাই পরুক না কেন এর সঙ্গে মানানসই গয়না পরে। বিশেষ করে অ্যান্টিক ও ধাতব গয়নার চাহিদা বেশি। স্কার্ট-টপসের সঙ্গে লম্বা ঝুলানো কানের দুল, অনেক ক্ষেত্রে তা ঘাড় অবধি পড়ে। কানে বড় দুল পরলে অবশ্য গলায় কিছু না পরলেও চলে। হাতে পিতলের, মাটির, রুপার, হাড়ের ব্রেসলেট অথবা বালা বেশি মানানসই। ক্যাপ্রি, ফতুয়ার সঙ্গে গলায় লম্বা মালা, পায়ে মেটাল বিডসের পায়েল, খাড়ু পরলে ভালো লাগবে। এক পায়ে বিভিন্ন রকমের পায়েল ও আঙ্গুলে বড় আকৃতির আংটি পরা যেতে পারে। হাতেও চুড়ি, বালা একসঙ্গে অনেকগুলো পরলে নজর কাড়বে। কথাগুলো বলছিলেন পিরানের স্বত্বাধিকারী ও ডিজাইনার হোসনা বানু। তিনি আরও জানান, বিভিন্ন আকৃতির এই গয়না পরার ক্ষেত্রে একটি বিষয় খেয়াল রাখা উচিত। গয়নাটি যেন পোশাকের সঙ্গে মানানসই হয়। হাত-পা, কান-গলায় একসঙ্গে গয়না পরলে সৌন্দর্য ম্লান হয়ে যায়। আপনি যদি কানে বড় দুল পরেন, তাহলে শুধু পায়ে গয়না পরবেন। হাতে বেশি পরলে গলায় ছোট আকৃতির লকেট পরতে পারেন। গয়নার মাধ্যমে যেকোনো একটি অংশকে ফুটিয়ে তুলুন। তবেই সৌন্দর্য অন্যের চোখে ধরা দেবে। বিভিন্ন আকৃতি ও উপাদানের গয়না বাজারে পাওয়া যায়। মাদুলির স্বত্বাধিকারী তমিজউদ্দীন জানান, ‘ফতুয়ার সঙ্গে পরার জন্য পিতল, কাঠ, কড়ি, সুতার কানের দুল তৈরি করে থাকি। হাতের ব্রেসলেট, চুড়ি, বালা, গলায় অক্সিডাইজ ও পিতলের নেকলেস বেশি জনপ্রিয়। সঙ্গে পায়েল, খাড়ু তো রয়েছেই। এ ছাড়া হাত ও পায়ের আংটিও হাল ফ্যাশনের যেকোনো পোশাকের সঙ্গে মানানসই।’ মাটি, পিতল, কাঠ ও সুতার কানের দুলের দাম ২০-৫০০ টাকা। হাতের ব্রেসলেট পাবেন ৩০-৩০০ টাকায়, খাড়ু পাবেন ২৫০-১০০০ টাকায়। হাতের বালার দাম ২৫০-৫০০ টাকা। এসব উপাদানের গলার গয়নার দাম পড়বে ৫০-১৫০০ টাকা। পায়েলের দাম পড়বে ২০-২৫০ টাকা। হাত, পায়ের আংটির দাম পড়বে ১০-৩০০ টাকা। গাউছিয়া ও নিউমার্কেটে এসব গয়নার দাম তুলনামূলক কম। জেনেটিক প্লাজায় রয়েছে গয়নার বিশাল সম্ভার। এ ছাড়া আড়ং, যাত্রা, রঙ, নন্দনকুটির, নগরদোলা, নিত্য উপহারসহ ছোট-বড় ফ্যাশন হাউস ও দোকানে এসব গয়না পাওয়া যায়।
তৌহিদা শিরোপা
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জুন ০২, ২০০৯
Leave a Reply