ছিমছাম পরিপাটি বসার ঘর। নান্দনিকতার ছোঁয়া রয়েছে প্রতিটি আসবাবপত্রে। পর্দা থেকে শুরু করে মেঝের শতরঞ্জি পর্যন্ত। সবকিছুই সাজানো গোছানো। এমন বসার ঘরকে আরেকটু ভিন্ন মাত্রা দেওয়া যায় ফুলদানির মাধ্যমে। এর ব্যবহার ঘরকে বাড়তি সৌন্দর্য এনে দেয়। সঙ্গে চোখ-মন সবই জুড়িয়ে যায়। আজকাল কমবেশি প্রায় সবারই ঘরে ছোটবড় ফুলদানি থাকতে দেখা যায়। কেউবা সোফার টেবিলে, কেউবা ঘরের কোণে বড় আকারের ফুলদানি রাখেন। এসব ফুলদানিতে সতেজ ফুল, আবার কৃত্রিম ফুলও রাখা হয়। অনেক সময় শো-পিস হিসেবেও এটিকে ব্যবহার করা হয়।
বাজারে ফুলদানিগুলোর নকশায় রয়েছে বৈচিত্র্যতার ছোঁয়া। নানা আকৃতির এসব ফুলদানির কোনোটাতে কাচের ওপর রং করা, কোনোটাতে রুপার কারুকাজ করা, কুন্দন, পুঁতি, গ্লিটার, কাচ ও চুমকির ব্যবহার রয়েছে। আপনি চাইলে রংবিহীন মাটির ফুলদানি কিনে মনের মাধুরী মিশিয়ে তা রঙিয়ে নিতে পারেন। বাজারে ছোট, মাঝারি ও বড় আকারের ফুলদানি পাওয়া যায়। মনোরম কারুকাজ ও চোখ ধাঁধানো নকশার ক্রিস্টালের ফুলদানির প্রতিও ক্রেতাদের বিশেষ চাহিদা থাকে সব সময়।
এবার জেনে নেওয়া যাক এর দরদাম।
বাজারে নানা রকমের মনোরম নকশার ফুলদানি পাওয়া যায়। দেশীয় ফুলদানি ছাড়াও ইরানি, থাই, চাইনিজ, জাপানিজ ফুলদানির চাহিদা বেশি। সিরামিক, ক্রিস্টাল, কাচ, কৃত্রিম তন্তু, শক্ত প্লাস্টিক এবং মাটি দিয়ে তৈরি এগুলো-জানান গুলশান-২-এর এক বিক্রেতা। ‘ক্রেতার সামর্থ্য ও রুচির ওপর নির্ভর করে দাম। এ ছাড়া উপাদান, নকশার তারতম্যের জন্য এর দামেও তারতম্য ঘটতে দেখা যায়’-জানান নিউ মার্কেটের বিক্রেতা রিপন।
এসব ফুলদানির মধ্যে ক্রিস্টালের বড়গুলোর দাম পড়বে ৬০০০ টাকার ঊর্ধ্বে। ইরানিয়ানগুলো পাবেন ১০০০-৩৫০০ টাকায়। চাইনিজগুলোর দাম পড়বে ৫০০-২০০০ টাকার মধ্যে। প্রিন্টের ফুলদানির দাম পড়বে ৮৫০-১২৫০ টাকা। জাপানিজ ফুলদানির দাম ৬০০-৪০০০ টাকা। সিরামিকের ফুলদানি পাবেন ২০০-৩৫০০ টাকার মধ্যে। তুলনামূলকভাবে মাটির তৈরি ফুলদানিগুলোর দাম কম। ৫০-৫০০০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন এসব ফুলদানি। রংবিহীন হলে দামটাও কিছুটা কম পড়বে। ফুলদানি কিনতে চাইলে চলে যান নিউমার্কেট, কার্জন হলের সামনে, ধানমন্ডি-৬, বসুন্ধরা সিটি, গুলশান-২ নম্বর মার্কেটে। এ ছাড়া বড় বড় শপিং মলে আপনি পেয়ে যাবেন পছন্দের ফুলদানিটি।
দেরি না করে, ঘরকে পরিপূর্ণভাবে সাজিয়ে তুলতে আজই ফুলদানি কিনে আনুন। তা মনের মতো করে সাজিয়ে নিন। আর যদি কাউকে উপহার হিসেবে দিতে চান তাতেও মন্দ হয় না।
মনে রাখবেন
— মাটির তৈরি ফুলদানি শুকনো কাপড় দিয়ে মুছুন। যাতে ধুলা না জমে।
— মাটি ছাড়া অন্য উপাদানেরগুলো সাবান বা ডিটারজেন্ট গুলানো পানিতে ব্রাশ বা কাপড় ভিজিয়ে মুছুন।
— সতেজ ফুল রাখতে চাইলে দোকানেই পরীক্ষা করে নিন তা পানি সহনশীল কি না।
তৌহিদা শিরোপা
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মে ২৬, ২০০৯
Leave a Reply