কিছুদিন আগের ঘটনা। আমার এক বান্ধবীর বিয়ের কথা প্রায় পাকা হওয়ার শেষ মুহূর্তে এসে ভেঙে যায়। যতটুকু শুনেছি, পাত্র সুশিক্ষিত, সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত ও ভদ্র পরিবারের সন্তান। বান্ধবীটির পাত্র পছন্দ হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ কী কারণে বিয়ে ভাঙল এ কথা জিজ্ঞেস করলে সে যা বলল, তা হলো, তাদের দুজনকে আরও ভালোভাবে নিজেদের জানার জন্য পরিবার থেকে মেলামেশার সুযোগ দেওয়া হলো। একে অপরকে জানার জন্য তারা ফোনে কথা বলত।
ফোনে কথা বলার তিন দিনের মাথায় ছেলেটি তাকে ‘ফোন শারীরিক মিলনের’ প্রস্তাব দেয়।
রক্ষণশীল পরিবারের মানুষ হওয়া আমার বান্ধবীটি এ কারণে বিয়েতে অমত প্রকাশ করে। তার মতামত হলো, এমন সুরুচিসম্পন্ন (!) ভদ্র পরিবারের ছেলের বউ হওয়ার যোগ্যতা তার নেই।
গত বছর জুলাই মাসে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে ঢাকার একটি মহিলা কলেজে। এক শিক্ষক তার এক বিবাহিত ছাত্রীকে সেশনাল মার্কস দেওয়ার অজুহাতে ফোন শারীরিক মিলনের প্রস্তাব দেয়, যেই শিক্ষক কিনা সেই কলেজের একজন নীতিবান ও আদর্শ শিক্ষক হিসেবে জনপ্রিয়।
ওই ছাত্রী যখন এই ঘটনার প্রতিবাদ করে, তখন সেই আদর্শবান (!) শিক্ষক বলেন, ‘মোবাইলে করতে চেয়েছি, বাস্তবে তো নয়।’
নবম শ্রেণীর ছাত্রী দিয়া (ছদ্মনাম) যখন থেকে মুঠোফোনের ব্যবহার শুরু করে তখন থেকেই তার এক নিকটাত্মীয়ের কাছ থেকে এ রকম বিকৃত প্রস্তাব আসত। একসময় সেই লোকটিকে খুব শ্রদ্ধা করত মেয়েটি, তার কাছ থেকে এ ধরনের প্রস্তাব পেয়ে সে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
ওপরের ঘটনাগুলোর মতো, মেয়েরা প্রায়শই মুঠোফোনে এই ধরনের আচরণের শিকার হয়ে থাকে। আজকাল অনেক কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া তরুণ রাত ১২টার পর মুঠোফোনের ‘অফ-পিক আওয়ার’কে কাজে লাগিয়ে এ ধরনের বিকৃত রুচির মাধ্যমে বিনোদন লাভ করে। অচেনা হলে অন্য কথা, কিন্তু চেনা পরিচিত মানুষের কাছ থেকে যখন এ ধরনের বিকৃত রুচিহীন প্রস্তাবগুলো আসে, তখন একটা মেয়ের মানসিক অবস্থা যে কী হয়, তা কেবল সেই ভুক্তভোগী মেয়েটিই জানে।
সে মুখে কাউকে কিছু না পারে বলতে, না পারে প্রতিবাদ করতে। কারণ মুখ ফুটে প্রতিবাদ করতে গেলেই যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা হয়, তার মন্তব্য, ‘কী প্রমাণ আছে যে তোমার সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করেছি?’
মাদক, এইডস, এসিড সন্ত্রাসকে ‘না’ বলে আমরা আমাদের সামাজিক অবক্ষয়গুলোকে দূর করার চেষ্টা করছি। কিন্তু মানুষের নৈতিক মূল্যবোধের এই অবক্ষয় আমরা কীভাবে দূর করব?
যেখানে কিনা সমাজের সুপ্রতিষ্ঠিত সুশিক্ষিত লোকেরাই মোবাইল ফোনে যৌন হয়রানি করে, তখন আর কী বলার থাকে!
বিপাশা রায়
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মে ২৭, ২০০৯
জান্নাত
আমি আদমজিনগর থাকি বয়স প্রায় 27 দীর্ঘদিন খুলনার এক ছেলের সাথে আমার সম্পর্ক হয় আমারা দুজনে দুজনকে খুবই মিস করতাম প্রায় আমাদের ফোন সেক্স হত এর পর আমরা লুকিয়ে বিয়ে করি প্রায় দু মাস সংসার করার পর আমার অভিভাবকদের চক্রান্তে বিচ্ছেদ ঘটে কিন্তু ও আজও আমাকে চায়..
Bangla Lifestyle
স্যাড স্টোরি!