বিদ্যুৎনির্ভর এ সভ্যতায় ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের সময়ে আরাম পেতে ব্যবহার করা যেতে পারে আইপিএস (ইনস্টান্ট পাওয়ার সিস্টেম) বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ হওয়ায় এতে কোনো ঝামেলা নেই। আইপিএসের মাধ্যমে টিউব লাইট, ফ্যান, ফ্রিজ, কম্পিউটার, টিভি, ভিডিও প্লেয়ার প্রভৃতি ইলেকট্রিক যন্ত্র চালানো যায়। চার্জ দেওয়ার ব্যবস্থা থাকায় আইপিএস ব্যবহারে কোনো ফুয়েল বা লুব্রিকেন্টের প্রয়োজন হয় না। এর ব্যাকআপ সময় দুই ঘণ্টা। বিভিন্ন খ্যাতনামা ব্র্যান্ড ও দেশীয় প্রযুক্তিতে প্রস্তুতকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আইপিএস বাজারে রয়েছে। সনি, ফিলিপস, স্যামসাং ব্র্যান্ডের আইপিএস বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। কিন্তু রহিম আফরোজের আইপিএস বাংলাদেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তা ছাড়া নিজস্ব প্রযুক্তিতে বিভিন্ন ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান আইপিএস প্রস্তুত করছে।
ওয়াট বা কার্যক্ষমতা ভিন্নতায় আইপিএসের দামও ভিন্ন। গ্রাহকের চাহিদার প্রতি লক্ষ রেখে আইপিএস প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তৈরি করছে বিভিন্ন কার্যক্ষমতাসম্পন্ন আইপিএস। ২৮০ ওয়াটের আইপিএসের দাম ১৭,৭১১ টাকা। এটি দিয়ে দুটি টিউব লাইট ও দুটি ফ্যান চলবে।
৫০০ ওয়াটের আইপিএসের দাম ৩০,৪৭০ টাকা। এর মাধ্যমে চারটি টিউব লাইট, দুটি ফ্যান ও একটি টেলিভিশন চলবে।
১২০০ ওয়াটের আইপিএসের দাম ৫৯,০৭৮ টাকা। এর মাধ্যমে নয়টি টিউব লাইট, সাতটি ফ্যান, একটি টেলিভিশন চালানো সম্ভব। তা ছাড়া সমন্বয় করে সমশক্তিসম্পন্ন যেকোনো বৈদ্যুতিক যন্ত্র ব্যবহার করা যায়। ব্যক্তিমালিকানাধীন আইপিএস প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের তৈরি আইপিএসের দাম তুলনামূলক অনেক কম। ৬০০ ওয়াটের দাম ৬,৫০০ এবং ৫০০ ওয়াটের দাম ৫,৭০০ টাকা।
সনি, ফিলিপস, স্যামসাংয়ের যেকোনো শোরুমে নিজ নিজ কোম্পানির আইপিএস পাওয়া যায়। রহিম আফরোজের আইপিএস পাওয়া যাবে মতিঝিল, মহাখালী, কলাবাগানের মিরপুর রোড-সংলগ্ন মার্কেটে। নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি ননব্র্যান্ডের আইপিএস পাওয়া যাবে পাটুয়াটুলীর ফাতেমা মার্কেট, মুন কমপ্লেক্স এবং মতিঝিলের পাওয়ার টেকনোটেক প্রতিষ্ঠানে।
নাজমুল হুদা
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মে ২৬, ২০০৯
Leave a Reply