প্রতিটি রঙের একটি নিজস্ব ভাষা আছে এবং দেহের ওপর রঙের প্রভাব আছে। গবেষণা থেকে জানা যায়, লাল রঙ ব্লাডপ্রেশার বৃদ্ধি করে এবং নীল রঙ তা কমিয়ে দেয়। নীল রঙ আথ্রাইটিসের ব্যথাও কমিয়ে দেয়। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, ক্লাসরুমের রঙ যদি হলুদ, কমলা ও লাল হয়, তবে শিক্ষার্থীদের উদ্দীপনা বৃদ্ধি পায়।
লালঃ শক্তি, কর্মোদ্যোগ ও পরিবর্তনের প্রতীক। মানুষ যখন মনে করে তার শক্তি কমে যাচ্ছে, তখন বাড়ানোর জন্য লাল রঙ বেছে নেয়।
কমলাঃ আনন্দ ও সুখের রঙ। এই রঙ মনে উদ্দীপনা জাগায় এবং যারা বিষণ্নতায় ভোগে তাদের জন্য উপকারী। যারা কমলা রঙ পছন্দ করে তারা আত্মনির্ভরশীল, একা চলতে সক্ষম ও ধৈর্যশীল। অনেকেই অল্পতেই অস্থির বা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। তাদের উচিত কমলা রঙ পছন্দ করা এবং এই রঙের ফলমূল ও সবজি খাওয়া, কারণ এই রঙ মনে শান্তি আনে।
হলুদঃ মনের ও বুদ্ধির রঙ হলুদ। নিরপেক্ষতা ও নির্লিপ্ততার রঙ হলুদ। এই রঙ ব্যবহার করে আমরা কিছু ধারণা ও অভ্যাস থেকে মুক্তি পেতে পারি। যেমন- বেশি খাওয়া, নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে হলুদ রঙের খাবার কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
সবুজঃ ঐক্য ও সমবেদনার রঙ। এই রঙ প্রশান্তি আনে ও সাম্যতা বিধান করে। যারা সবুজ রঙ পছন্দ করে তারা সাধারণত সহজে অন্যকে বিশ্বাস করে না এবং শান্তিপূর্ণ জীবন পছন্দ করে। যদি কেউ শারীরিক ও মানসিকভাবে অস্থির বা চাপের মধ্যে থাকে তবে এই রঙ পছন্দ করতে পারে। এছাড়া সবুজ রঙ দেহের ওজন কমিয়ে দেহকে সুস্থ রাখে।
নীলঃ শান্তির রঙ। রাতে ভালো ঘুমে সাহায্য করে। নীল রঙের ডায়েট শরীর ঠিক রাখতে উপকারী। তবে মনে রাখা উচিত চারপাশে গাঢ় নীল রঙ না রাখাই ভালো, কারণ এতে বিষণ্নতা সৃষ্টি হয়।
আসমানীঃ শক্তিশালী রঙ। অবসাদ দূর করে। কল্পনা ও অনুমানশক্তি বৃদ্ধি করে। যারা এ রঙ পছন্দ করে তারা খুব অনুভূতিশীল হয়।
বেগুনিঃ এ রঙও আসমানীর মতো কিন্তু অমায়িক বা নম্র প্রকৃতির। এই রঙ সংবেদনশীল ও মনে শান্তি আনে। যদি আপনি সৃষ্টিশীল, অনুভূতিশীল ও শিল্পীমনা হন তবে এই রঙ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এই রঙের খাবারও আমাদের জন্য উপকারী।
———————-
পরামর্শঃ ডা· আলমগীর মতি, হারবাল গবেষক ও চিকিৎসক
গ্রন্থনাঃ ডা· ফাহিম আহমেদ রুপম
যুগান্তর, ২৫ মে ২০০৮
Leave a Reply