ভাঙা দোলনা
রমনা পার্কের ভেতরে ঘুরতে ঘুরতে চোখে পড়ল বিষয়টা। পার্কের এক পাশে বিভিন্ন বিনোদন সরঞ্জামের মধ্যে বেশ কটি দোলনা রয়েছে, অথচ একটারও অবস্থা ভালো নয়। কোনোটার শিকল ছিঁড়ে গেছে, কোনোটার বসার জায়গাটা ভাঙা। ছবি তুলতে দেখে পার্কের একজন নিরাপত্তাকর্মী এগিয়ে এলেন। বললেন, ‘কী করেন ভাই?’ কী করি সেটা বলতেই তিনি ঠোঁট উল্টে মন্তব্য ছুড়লেন, ‘লেইখ্যা লাভ কী, বলেন? এই দোলনায় শুধু ছোটরা বসলে এত খারাপ অবস্থা হইত না। ছোটদের জন্য বানানো দোলনায় বড়রাও বসে। টিকবে ক্যামনে? না করলেও শোনে না। সেই জন্য দোলনা নষ্ট, ছিঁড়া। মাঝে-মইধ্যে মনে হয় বড়রা ছোটগুলানের চেয়েও অবুঝ।’ বড়দের ওপর রাগ করেই বোধহয় এখন আর দোলনা সারতে খুব একটা গরজ দেখায় না রমনা কর্তৃপক্ষ। এতে ছোটরা বঞ্চিত হচ্ছে তাদের বিনোদন থেকে।
ইংরেজিতে ভিক্ষা
‘দাদু, আই অ্যাম হাংরি, প্লিজ গিভ মি টু টাকা।’ হলিক্রস কলেজের সামনে এক বুড়ো ভিক্ষুক বাংলা বাদ দিয়ে ইংরেজিতে ভিক্ষা করছিল। মিষ্টি কথায় চিঁড়া না ভিজলেও ইংরেজি কথায় ভালোই পকেট ভরছিল বেচারা। পথিকদের মধ্যে বিভিন্নজন বিভিন্ন মন্তব্য করছিল। একজন বলল, ‘হায়রে! কী অবস্থা! ভিক্ষাতেও ইংরেজি, আমরা সবাই ইংরেজি নিয়ে অনেক ফালাফালি করি। ভিক্ষুক বেচারা কী দোষ করল? ইংরেজির গুণে দুটো টাকা বেশি পেলে ক্ষতি কী?’
একলা নয় দোকলা
নগরের লোকাল বাসের চালকেরা বাড়তি যাত্রী পাওয়ার জন্য মোটামুটি ইচ্ছে করেই জ্যামে পড়তে চায়। সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকেরা যাত্রী পেলে দ্রুত পৌঁছে দিতে চেষ্টা করে। মালিবাগ রেলগেটের দিক থেকে দ্রুতগতিতে ছুটে আসা দুটো সিএনজিচালিত অটোরিকশা মৌচাক সিগন্যালে বিকট শব্দে ধাক্কা খেয়ে পেছনের বাম্পারে গেঁথে গেল। চালক দুজন একে অন্যের ওপর দোষ চাপিয়ে হম্বিতম্বি করতে লাগলেন। অনেক চেষ্টা করেও সিএনজি দুটোকে আলাদা করা যাচ্ছিল না। কোথা থেকে এক রসিক বললেন, ‘ভাইরে, একলা আর কত দিন? ওরা দোকলা হতে চায়।’ চালক দুজন হাসতে হাসতে যাত্রীদের সহায়তায় সিএনজি দুটোকে আলাদা করে যে যার গন্তব্যে গেল।-শামসুদ্দীন হাবিব
বেরসিক পাগল!
ঘটনাটি ঘটেছিল সদরঘাটের ভিক্টোরিয়া পার্কে। একটি নাটকের শুটিং চলছে। পরিচালক গোছের একজন লোক বারবার ঘটনা বুঝিয়ে দিচ্ছেন, ‘ক্যামেরা, অ্যাকশন•••।’ আশপাশে দর্শকের অভাব নেই। হঠাৎ সবাইকে ঠেলে জোর করে সামনের দিকে চলে এল ঝাঁকড়া চুলের এক পাগল। এসেই বলল, ‘স্যার, আমাকে ভিডিও করেন।’ পরিচালকসহ অন্য লোকজন তো রেগেমেগে একেবারে আগুন। তাকে বাধা দিতে উদ্যত হলো তাঁরা। কিন্তু সেই লোক কোনো কথাই শুনবে না। বলল, ‘ভিডিও না করলে ক্যামেরা ভেঙে ফেলবে।’
নাটক করতে আসা লোকজন বুঝতে পারল একে রাগ দেখিয়ে কাজ হবে না। তাই তারা বাধ্য হয়ে পাগলের ভিডিও করতে লাগলেন। পাগলটিও বেশ নেচেগেয়ে পোজ দিচ্ছে। প্রায় পাঁচ মিনিটের ভিডিও হলো। এরপর পাগল সরে পড়ল। যাওয়ার সময় বলে গেল, ‘টিভিতে দেখাবেন।’ এমন একটি ঘটনা উপস্থিত দর্শক বেশ উপভোগ করল।-মোছাব্বের রিবন
রাজপথের নতুন রাজা
সেদিন মগবাজারের জ্যামে ভরদুপুরে দেখা হয়ে গিয়েছিল রাজপথের নতুন এক রাজার সঙ্গে। রাজার ছিল বিশাল থাম্বার মতো চার-চারটি পা, দুটি কুলার মতো কান, বিশাল বপু আর একটা ইয়া লম্বা ‘শুঁড়’। তো নতুন রাজাটা কে? একটা হাতি! কী! মগবাজারের যানজটে হাতি? ঠিক তা-ই। একটি এফএম রেডিও স্টেশনের প্রচারে নেমেছিল হাতিটি। অবশ্য নিজে থেকে নামেনি, নামানো হয়েছিল। কারণ, হাতি তো আর এফএম শোনে না। যাই হোক, এমন প্রচারে আশপাশের মানুষ কিন্তু বেশ মজা পেয়েছে। তবে বর্ণিল সাজে সজ্জিত হাতিটি বোধহয় খুব একটা মজা পাচ্ছিল না। অবশ্য মজা পাওয়ার কথাও নয়, কারণ যানজটে আটকে থাকতে কার বা ভালো লাগে বলুন?-ফয়সাল হাসান সন্ধী
‘সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিকে ভোট দিন’
মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর ওভারব্রিজ থেকে নামতেই একজন লোককে চোখে পড়ল। তাঁর পিঠে কাগজে বড় লালকালিতে লেখা, ‘সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিকে ভোট দিন’। তাঁর এই প্রচারে উৎসাহ জাগল। কিন্তু তাঁর সঙ্গে কথা বলার আগেই তিনি একটি ছেলেকে ধরার জন্য পিছু নিলেন। দুষ্টু ছেলেটি খারাপ মন্তব্য করায় তিনি বিরক্ত। আসন্ন নির্বাচনে যাতে অসৎ, অযোগ্য, দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি জয়ী হতে না পারে সে জন্যই সবার সচেতনতা দৃষ্টির লক্ষ্যে তিনি প্রচার চালাচ্ছেন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী দু-একজন ওই ব্যক্তির প্রশংসা করলেন।-রিমন রাহী
ফ্লাস্কের কেরামতি
চা-ওয়ালা ছেলেটা এসে দাঁড়িয়ে পড়ে। তারপর ফ্লাস্কে একটা ঝাঁকুনি দেয়। ফ্লাস্কের ভেতর থেকে ভাঙা কাচের ঝনঝন আওয়াজ আসে। ছেলেটা বলে, ‘ভাইয়া, ফ্লাস্কটা গাছের লগে বাড়ি খাইয়া ভাইঙা গেছে। কিছু সাহায্য করেন, একটা নতুন ফ্লাস্ক কিনমু।’ ছেলেটার চেহারা করুণ। তার ওপর ভাইয়ার সঙ্গে একটা আপুও ছিলেন কিনা, তাই ইজ্জতের সাওয়াল। মানিব্যাগ খুলে তিনি গোটা পাঁচেক টাকা বের করে দিলেন। ছেলেটা খুশি মনে চলে গেল। খানিক বাদে গণ্ডগোলের আওয়াজ পাওয়া গেল। কয়েকজন মিলে ঘিরে রেখেছে সেই চা-ওয়ালা ছেলেটাকে। একজন বলছিল, ‘ভালোই ব্যবসা পাইছ, না? ওই, তর বয়স কত অ্যা? এই বয়সেই এই কাম শুরু করছ?’
জানা গেল, চা-ওয়ালা সেই ছোকরা নাকি প্রায়ই এ রকম ভাঙা ফ্লাস্ক দেখিয়ে লোকজনের কাছ থেকে পয়সা তোলে। আগে যাদের কাছ থেকে টাকা তুলেছে তাদেরই একজন তাকে চিনে ফেলেছে। তার জেরার মুখে ছেলেটা সব স্বীকার করে। ফ্লাস্ক ফেলে দিতে গেলে আরও মজার কাণ্ড ঘটল। কোত্থেকে ভাঙা ফ্লাস্কের মালিক এসে হাজির। সেও চা বিক্রি করে আর বয়সও প্রায় কাছাকাছি। তার কাছ থেকে জানা গেল, এক দুর্ঘটনায় এই ফ্লাস্কটা ভেঙে গেছে বহু দিন হলো। তেমন কোনো কাজে আসে না বলে এটা পড়েছিল ঘরের কোণে। শেষে বুদ্ধি করে এই ভাঙা ফ্লাস্ক সে ভাড়া দিচ্ছে দৈনিক ৩০ টাকায়। যে ভাড়া নেয় সে বিভিন্ন জায়গায় ওটা দেখিয়ে সাহায্য তোলে। ৩০ টাকা দিয়ে বাকি যা থাকে সেটাই লাভ থাকে। এ কথা শুনে অনেকেরই চোখ কপালে ওঠে। শেষে কয়েক দফা দুজনকে কান ধরে উঠবস করানোর পর ছাড়া হয়। আর ফ্লাস্কটা জায়গা নেয় ডোবার তলে।-কাওছার শাকিল
পকেটমারের বুদ্ধি
গুলিস্তানে মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামসংলগ্ন বাস স্টপেজ। ঘড়িতে তখন সন্ধ্যা সাতটা। স্বাভাবিক কারণেই কর্মজীবী মানুষের কাছে সময়টা বাড়ি ফেরার। ভিড়টাও কম হয় না। ধাক্কাধাক্কি আর গুঁতোগুঁতির মধ্য দিয়েই মানুষ চেষ্টা করে যানবাহনে উঠতে। আর এই সময়টাই কাজে লাগায় পকেটমারেরা। ভিড়ের মধ্যে যাত্রী সেজে বাসে ওঠার চেষ্টা করে, সুবিধামতো নিজের দুই আঙুলের কারিশমা দেখিয়ে অন্যের মানিব্যাগ নিজের করে নেয়। যানবাহনে ওঠার লড়াইয়ের উত্তেজনায় অনেক যাত্রী বুঝতে পারে না, তার পকেট শূন্য হয়ে গেছে। তবে কখনো কখনো এর ব্যতিক্রমও হয়। ধরা পড়ে পকেটমার। সেদিনও ধরা পড়েছিল এক পকেটমার। তাকে ধরে পথচারীরা বিনা বাক্যব্যয়ে উত্তম-মধ্যম দেওয়া শুরু করেছে। উৎসাহী লোকজনও তাদের সঙ্গে ভিড়তে শুরু করেছে। আর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলে পকেটমারের আর নিস্তার নেই। পকেটমার নিজেও সেটা বুঝতে পেরেছে। এবার সে নিজের অভিনয়গুণ প্রয়োগ করল। ডানে-বাঁয়ে হাত-পা ছুড়ে উত্তেজিত ভঙ্গিতে নিজের শার্ট খুলে পকেট থেকে বের করল বাঁটবিহীন তিন ইঞ্চি দৈর্ঘেøর একটি ছুরি। ছুরি দেখিয়ে সে উত্তেজিত পথচারীকে হুমকি দিল সামনে আসার জন্য। সেটি দেখে পথচারীরা খানিকটা হতভম্ব-কী করবে তারা! ব্যস, এতটুকুই প্রয়োজন ছিল পকেটমারের। তাকে ঘিরে থাকা পথচারীদের বৃত্ত থেকে বের হয়ে সোজা দৌড় লাগাল। তবে বেশি দূরে গেল না-একটু সামনে গিয়ে খুলে ফেলা শার্টটা আবার পরে জনতার ভিড়ে হারিয়ে গেল। হয়তো নতুন কোনো শিকারের খোঁজে! এসব দেখে এক পথচারী বললেন, ‘দেখলেন, দিনকাল কেমুন বদলাইয়া গ্যাছে গা। পকেটমারও এহোন পকেট থাইকা ছুরি বাইর করে। সামনের দিনে আর কত কিছু যে দেখমু!’- রিদওয়ান আক্রাম
চোর প্রতিরোধে কমিটি!
দুপুর গড়িয়ে বিকেল প্রায়। গ্রিন রোডে রিকশার প্রচণ্ড ভিড়। সিগন্যালে পড়ে বিশাল যানজট লেগে গেল। রিকশার যাত্রীরা নানা ধরনের আলাপে ব্যস্ত। হঠাৎ এক রিকশার দুই যাত্রী তাঁদের সামনের রিকশার দিকে তাকিয়ে উচ্চ স্বরে হেসে উঠলেন। আশপাশের রিকশার যাত্রীরা ওই দুই যাত্রীর কাছে কারণ জানতে চাইলেন। কিছু না বলে দুই যাত্রীর একজন সামনের রিকশার পেছনে লাগানো ছোট সাইনবোর্ডটি দেখিয়ে দিলেন। ছোট সাইনবোর্ডে লেখা, ‘ঢাকা মহানগরী রিকশা চোর প্রতিরোধ কমিটি!!’ সঙ্গে রয়েছে সদস্য নম্বরসহ কয়েকটি মোবাইল নম্বর। আশপাশের রিকশার যাত্রীরা এটা পড়ে নানা ধরনের মন্তব্য করতে লাগলেন। একজন বলে উঠলেন, কী আর করার আছে, আমাদের যে স্বভাব, আমরা চুরি করার ক্ষেত্রে কোনো কিছুই ছাড় দিতে রাজি নই! কিছুটা গম্ভীর হয়ে আরেক মধ্যবয়সী যাত্রী মন্তব্য করলেন, ‘সবচেয়ে দুঃখজনক হচ্ছে, আমরা এমনই এক দেশের রাজধানীতে বাস করি, যেখানে আমাদের রিকশা চুরি প্রতিরোধ করার জন্যও কমিটির প্রয়োজন হয়।’ ভদ্রলোকের এ মন্তব্য শুনে অন্যরাও চুপ হয়ে গেলেন। সিগন্যাল ছাড়তেই যে যার পথে চলে গেলেন।
বিকট আওয়াজ!
তখন সন্ধ্যা প্রায়। লোকে লোকারণ্য ফার্মগেট এলাকায় রিকশা, গাড়ির ভিড়। হঠাৎ বিকট কয়েকটি আওয়াজ হতেই পথচারী অনেকেই থমকে দাঁড়িয়ে পড়ল। কারণ জানতেই এদিক-ওদিক তাকাতে লাগল সবাই। একটু পরে দেখা গেল দায়িত্বরত কমিউনিটি পুলিশের সদস্য লাঠি নিয়ে যানজট কমাতে রিকশায় বাড়ি দিচ্ছেন। কারণ, অনেক রিকশা একসঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকার ফলে যানজট লেগেই থাকে। কমিউনিটি পুলিশের রিকশা তাড়ানোর এ অবস্থা দেখে এক পথচারী যেতে যেতে মন্তব্য করলেন, ‘শুধু রিকশা তাড়িয়েই এখানে যানজট কমানো যাবে না। সবার আগে প্রয়োজন পথচারীদের জন্য হাঁটার জায়গাটুকু ফাঁকা করা।’ অন্য এক পথচারী বলে উঠলেন, ‘ঠিকই বলেছেন। সবার আগে প্রয়োজন ফুটপাত খালি করা, যাতে পথচারীরা নিরাপদে হাঁটতে পারে।’ রিকশা তাড়ানোর মতো করে যদি ফুটপাত থেকে অবৈধ দখলদারদের তাড়ানো যেত! একসঙ্গে হেঁটে যাওয়া অন্য পথচারীরা এ কথার সমর্থন জানান। -নুরুন্নবী হাছিব
অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে
পুলিশ বক্সের শক্ত মেঝেতে তাঁরা তিনজনই পড়ে ছিলেন অজ্ঞান হয়ে। আজমেরি পরিবহন থেকে তাঁদের নামানো হলো অচেতন অবস্থায়। লক্ষণ দেখেই বুঝে নিয়েছিল সবাই-এ অজ্ঞান পার্টির কাজ। ভাগ্য ভালো, ঠিক সেখানেই হাজির ছিলেন পল্টন থানার এসআই মাজহারুল আমিন। এই তিনজনের একজনের মোবাইল বেজে উঠলে এসআই মাজহারুল সেটা রিসিভ করলেন এবং যে কল করেছেন, তাঁকে ঘটনাস্থলে আসতে বললেন। তাঁর কাছ থেকেই জানা গেল সঙ্গের এঁদের মধ্যে দুজনকে তিনি চেনেন। একজনের নাম রাজা আর অন্যজনের নাম বাদশাহ। এদিকে তৃতীয়জনের পরিচয় পাওয়া গেল তাঁর নিজের কাছ থেকেই। কারণ, তিনজনের মধ্যে একমাত্র তাঁরই কিছুটা চেতনা আছে। এ কারণে তাঁর পকেট থেকে টাকা বা মোবাইল কোনোটাই খোয়া যায়নি। জানালেন, তাঁর নাম জালাল এবং সঙ্গের দুজন তাঁর প্রতিবেশী। ব্যস, এটুকুই, আর তেমন কিছু বলতে পারলেন না জালাল। এসআই মাজহারুল আমিন ততক্ষণে গাড়ি খবর দিয়ে আনিয়েছেন। জনতা আর পুলিশের সদস্যরা মিলে ধরাধরি করে তাঁদের গাড়িতে তুলে দেয় ঢাকা মেডিকেলে যাওয়ার জন্য।- আহমেদ শাকিল
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, ডিসেম্বর ১৪, ২০০৮
Leave a Reply