নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত হলো বিতর্ক প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতার শিরোনাম নির্ধারিত ছিল, ‘নারীর ক্ষমতায়নে সামাজিক দায়বদ্ধতার চেয়ে রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা বেশি গুরুত্বপূর্ণ’। এ ধরনের স্লোগান সামনে রেখে সাধারণত সেমিনার বা মতবিনিময় সভা আয়োজিত হলেও বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির আয়োজনে ও সেভ দ্য চিলড্রেন, সুইডেন-ডেনমার্কের সহযোগিতায় বিতর্ক আয়োজন নতুন একটি ধারণা। নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে বর্তমান সময়ে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের গুরুত্ব অনুধাবন করেই এ আয়োজন। বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট অডিটরিয়ামে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির বিতার্কিকেরা এ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
বিপক্ষদলীয় নেতারা মনে করেন, সামাজিক দায়বদ্ধতা বেশি। তাঁরা বলেন, তাঁরা রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের বিপক্ষে নয়। তবে সামাজিক সূত্রেই শুরু হয় প্রতিরোধের মূল ভিত্তি। সামাজিকভাবে প্রতিটি মানুষ যদি পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার বলয় থেকে বের না হয়ে আসে, তবে রাষ্ট্রযন্ত্রও ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। সে ক্ষেত্রে সামাজিক অবস্থান সুদৃঢ় করতে হবে।
সরকারপক্ষীয় দলের নেতারা বলেন, উন্নত বিশ্বে যেকোনো বিল পাসের জন্য রাষ্ট্রযন্ত্রই উপযুক্ত হাতিয়ার। রাষ্ট্রীয় বিধি প্রণয়ন করে সামাজিক বৈষম্যগুলো দূর করা হয়। আইন প্রণয়নের মাধ্যমেই বন্ধ করতে হয় সব অনাচার। তর্কবিতর্ক এভাবে জমে ওঠে। প্রতিযোগিতায় প্যানেল বিচারক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড· মাহবুবা নাসরিন, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের গবেষক খালেদা আক্তার রোজী, উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক দেবাশীষ কুণ্ডু কাকন। প্রতিযোগিতায় সামাজিক দায়বদ্ধতার গুরুত্ব ফুটিয়ে তোলার জন্য বিরোধীদলীয় নেতাদের বিল পাস হয়। বিজয়ী বিতার্কিকদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন বিশেষ অতিথি সাংবাদিক বেবী মওদুদ।
জিনাত রিপা
সূত্রঃ প্রথম আলো, ডিসেম্বর ০২, ২০০৮
Leave a Reply