২০তম বিসিএস পরীক্ষায় নিরীক্ষা ও হিসাব ক্যাডারের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েই সহকারী মহাহিসাবনিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করছেন তানভির আক্তার হোসেন খান। এই বিসিএস কর্মকর্তার পুরো একটি দিন কীভাবে কাটে তা জানিয়েছেন তিনি।
কাজের পুরো দিন
দিনের কর্মব্যস্ততা শুরু হয় সকাল নয়টায়। অফিসে পৌঁছে সহকর্মী এবং আমার দলের কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করি। একনজরে দিনের কাজের তালিকায় চোখ বুলিয়ে নিতে চেষ্টা করি। বেশির ভাগ দিনই সকালবেলায় দ্বিপক্ষীয় বা ত্রিপক্ষীয় সভা থাকে, নির্দিষ্ট সময়ে এসব সভায় অংশ নিই।
বছরের সব সময়ই বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীনে আমাকে আমার দলসহ নিরীক্ষার কাজ করতে হয়। মন্ত্রণালয় যেকোনো প্রকল্পের অধীনে বাজেট অনুমোদন করে। বাজেট অনুযায়ী টাকা, টাকার পরিমাণসহ প্রকল্পের কাজগুলো সব ঠিকঠাকমতো হচ্ছে কি না তা আমাকে খতিয়ে দেখে একটি প্রতিবেদন তৈরি করতে হয়। প্রতিদিনই নিরীক্ষার কাজ করে তার একটা প্রতিবেদন জমা দিতে হয়। ফিনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট রিফর্মস প্রকল্পের জাতীয় পরামর্শক (ন্যাশনাল কনসালট্যান্ট) দিনের নিরীক্ষার হিসাব এবং প্রতিবেদনের সবকিছু বুঝিয়ে দিতে হয়।
নিরীক্ষার সভা ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমাকে সভা করতে হয়। সেই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরকারের চুক্তির সব ধরনের কর্মকাণ্ড সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন হলো কি না তা নিয়েও পর্যালোচনা করে একটি প্রতিবেদন তৈরি করতে হয়।
এ ছাড়া নিরীক্ষার দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রতিনিয়তই বিষয়টি নিয়ে পড়াশোনা করতে হয় এবং ছোট ছোট কাজের মাধ্যমে এর একটা পর্যবেক্ষণ চালাতে হয়।
বেলা শেষে
বিভিন্ন প্রকল্পের প্রতিদিনের নিরীক্ষা ও প্রতিবেদন তৈরির মতো একেবারে শেষ পর্যায়ে গিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করতে হয় এবং নিরীক্ষা শেষে তা ওই বিষয়ের ওপর ভারপ্রাপ্ত সচিবকে পেশ করতে হয়। এর ওপরই নির্ভর করে কোনো প্রতিষ্ঠানের বাজেটের সুষ্ঠু বণ্টন এবং তার যথাযথ ব্যবহার।
গ্রন্থনাঃ নাজমুল হাসান
সূত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো, নভেম্বর ২২, ২০০৮
Leave a Reply