অনিয়মিত ঋতুচক্র বা মাসিক এর কারণে তীব্র ব্যথাসহ কতরকম সমস্যাই থাকে একে কেন্দ্র করে। এর প্রভাব পড়ে মনের উপর। ফলে মনমেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে আয়ুর্বেদিক প্রতিকারের কথা যা এই সমস্যাকে পুরোপুরি দূর করতে না পারলেও পিরিয়ডের ব্যথা ও অস্বস্তির প্রভাব অনেকটাই কমিয়ে আনতে সাহায্য করে।
ডিম্বাশয়ের পলিসিস্টিক রোগের জন্য: ‘পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ’ এক ধরনের শারীরিক অবস্থা যা প্রতি ১০ জন মহিলার মধ্যে দেখা যায়। নারীদের একটি হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে এটি হয়। যার পরিণতিতে শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বেড়ে যায় এবং এর নানা রকমের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া শরীরে দেখা যায়। ফলে নারীদের ওজন বৃদ্ধি, পেলভিসে ব্যথা, ব্রণ, হতাশা এবং রজঃচক্রের অনিয়ম দেখা যায়। আবার অনেক ক্ষেত্রে এই রোগে আক্রান্ত নারীদের গর্ভধারণ বিষয়ক নানা রকমের জটিলতাও দেখা দেয়।
তবে সঠিক চিকিৎসা, ডায়েট এবং শরীরচর্চার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।
অতিরিক্ত রক্ত প্রবাহ: অনেকেরই টানা ছয় থেকে সাত দিন অতিরিক্ত রক্ত প্রবাহ বা ‘ম্যানোরাজিয়া’ থাকায় দুর্বলতাসহ নানা রকমের শারীরিক সমস্যা দেখা যায়। এই রোগের জন্য নিরাঞ্জন ফল নামক একটি চায়না ফল বেশ কার্যকর।
নিরাঞ্জন ফল এক থেকে দেড় ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন যেন তা ফুলে লেবুর আকৃতি ধারণ করে। এরপর তা ভালোভাবে চিপে নিয়ে এর ভিতরের অংশ সামান্য চিনি মিশিয়ে পান করুন। এটা রক্ত প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
লিউকোরিয়া: সাদাস্রাব বেশি হয়ে থাকে রজঃচক্রের আগে আগে। এটা শারীরিক মিলন উত্তেজনা বৃদ্ধি করে। তবে এর অতিরিক্ত ক্ষরণ মোটেও স্বাভাবিক কোনো বিষয় নয়।
অতিরিক্ত প্রবাহ, রংয়ের পরিবর্তন ও ঘনত্বের পুরুত্ব এর সংক্রমণ নির্দেশ করে।
প্রতিদিন দুএকটি কলা খাওয়ার মাধ্যমে এই সমস্যা কমিয়ে আনা যায়।
মনে রাখতে হবে, এটা কেবল আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার সাধারণ কিছু উপকারিতার কথা বলা হয়েছে। তবে যে কারও শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
(সৌজন্যে : জাগরণীয়া)
Jahan
Amr masik clear hoy nah..2 mas hoise akhno hocce nh…ki krbo?