খাদ্যনালীর রের অবস্হানভেদে বিভিন্ন ক্যান্সারের নামকরণ হয়েছে। খাদ্যনালীর নিচের অংশ (সিকাম, কোলন, রেকটাম) ও পায়ুপথের ক্যান্সারকে কলোরেকটাল ক্যান্সার হিসেবে ধরা হয়। বাংলাদেশে এই ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক, তবে কোনো পরিসংখ্যান নেই।
বিভিন্ন কারণে এ রোগ হতে পারে। যেমন-খাদ্যাভাস, রোগের পারিবারিক ইতিহাস, জীবাণুঘটিত, অন্ত্রের নিজস্ব কিছু রোগ থেকে, ইনফ্লামাটরি বাওয়েল ডিজিস ইত্যাদি।
কীভাবে বুঝবেন কলোরেকটাল ক্যান্সার
* মলদ্বারে রক্তক্ষরণ বা পায়খানার সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
* মলত্যাগের অভ্যাস পরিবর্তন। যেমন-আগে যে রোগী স্বাভাবিক মলত্যাগ করত সেই রোগী কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়ারিয়া হওয়া।
* পেটে চাকা বা টিউমার হওয়া।
* বমি, পেটব্যথা, শারীরিক দুর্বলতা, রক্তশুন্যতা বা খাবারে অরুচি ইত্যাদি।
* কখনো কখনো কলোরেকটাল ক্যান্সার প্রাথমিক অবস্হায় ধরা পড়ে না এবং যখন এই ক্যান্সার লিভার, ফুসফুস এবং হাড়ে ছড়িয়ে পড়ে তখন ধরা পড়ে। এ অবস্হায় রোগটির অবস্হান ভেদে উপসর্গ দেখা দেয়।
* কীভাবে এই রোগ প্রতিরোধ করবেন?
শাক-সবজি, লাল আটা, কাঁচা ফল-মুল খেলে এই ক্যান্সার কম হয়। তাই এ জাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে। অন্যদিকে চর্বিজাতীয় খাবার, ফাষ্টফুড ইত্যাদি কম খেতে হবে। বেশি করে পানি পান করতে হবে।
চিকিৎসা
অপারেশনের মাধ্যমেই এই রোগের চিকিৎসা করতে হবে। বিশেষ করে রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে সার্জারি করলে সাফল্যের হার বেশি।
————————-
ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ
দৈনিক আমার দেশ, ১৩ মে ২০০৮
Leave a Reply