কীভাবে ব্যবহার করবেন ইনহেলারশীতকালে বেড়ে যায় হাঁপানি রোগীর শ্বাসকষ্ট। আর তাই ঘন ঘন বা বলতে গেলে রোজই ব্যবহার করতে হয় ইনহেলার। তাই জেনে নেওয়া উচিত, সর্বোচ্চ উপকার পেতে কীভাবে ইনহেলার ব্যবহার করতে হয়।
-বেশির ভাগ ইনহেলার হলো মিটার ডোজ ইনহেলার, অর্থাৎ প্রতি চাপে নির্দিষ্ট মাত্রার ওষুধ নির্গত হয় এ থেকে। চিকিৎসকের কাছে জেনে নিন প্রতিদিন কয়বার কত চাপ ব্যবহার করতে হবে আপনাকে।
-মুখ থেকে দেড় থেকে দুই ইঞ্চি দূরে রাখুন। এবার মাথাটা একটু পেছনে হেলে দিয়ে যতটা সম্ভব বুকের বাতাস আগে প্রশ্বাসের মাধ্যমে বের করে দিন।
-বাতাস বের করে দেওয়ার পর হা করে মুখের ভেতর ইনহেলার চেপে ওষুধটি টেনে নিন। ওষুধ খেয়ে ফেলবেন না, বরং শ্বাসের সঙ্গে বুকের ভেতর টেনে নিন তিন থেকে পাঁচ সেকেন্ড ধরে। তারপর মুখ বন্ধ করে ১০ সেকেন্ড শ্বাস ধরে রাখুন। ইতিমধ্যে ওষুধ ফুসফুসের আনাচকানাচে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে।
-দ্বিতীয় চাপ নেওয়ার আগে কমপক্ষে এক মিনিট অপেক্ষা করুন। স্পেসার ওষুধের অপচয় রোধ করে।
আরও কিছু পরামর্শ
-স্টেরয়েড ইনহেলার ব্যবহারের পর মুখ ভালো করে কুলকুচি করে পরিষ্কার করে নিন, নয়তো জিভে বা মুখে ছত্রাক সংক্রমণের ভয় থাকে। কখনো গলার স্বর ভারী হয়ে যায়। সবচেয়ে ভালো, রাতে ইনহেলার ব্যবহারের পর দাঁত ব্রাশ করে কুলি করে নেওয়া।
-খুব উষ্ণ ও আর্দ্র স্থানে ইনহেলার রাখবেন না। অপেক্ষাকৃত শীতল ও শুষ্ক জায়গায় রাখুন। বাথরুম বা রান্নাঘর ইনহেলার সংরক্ষণের জন্য ভালো জায়গা নয়।
১: ইনহেলারটি ঝাঁকুনি দিন।
২: ঢাকনা খুলুনণ
৩: ইনহেলারটি ব্যবহারের পূর্ণ উপযুক্ত করতে বাতাসে কয়েকবার স্প্রে করুন।
৪: প্রশ্বাসের মাধ্যমে বুকের বাতাস যতটা সম্ভব বের করে দিন।
৫: মুখ বন্ধ করে একবার স্প্রে করুন।
৬: ওষুধসহ শ্বাস টেনে নিন এবং ৬ থেকে ১০ সেকেন্ড নিঃশ্বাস বন্ধ রাখুন। এরপর নিঃশ্বাস ছাড়ুন। সবশেষে সময়ের দিকে খেয়াল করুন।
সূত্র: মেডিসিন নেট। ডিসেম্বর ২৭, ২০১৩
Leave a Reply