নারীর মাইগ্রেন বেশি হয়। মাসিকের আগে-পরে হরমোনের ওঠানামা, জন্মবিরতিকরণ বড়ি, কিছু বিশেষ খাবার-দাবার যেমন চকোলেট, পনির ইত্যাদি নারীদের মাইগ্রেনে আক্রান্ত হওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে গর্ভধারণকালে এই নারীদের মাইগ্রেনের প্রকোপ অনেকটাই কমে আসে।
তার পরও যদি গর্ভাবস্থায় মাইগ্রেনে আক্রান্ত হয় তবে কিছু বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। কেননা এই সময় অনেক ওষুধ চাইলেও সেবন করা যাবে না। রক্তে শর্করাস্বল্পতা ও পানিশূন্যতা মাথাব্যথার পরিমাণ বাড়াবে। তাই এ সময় ঘন ঘন কম পরিমাণে আহার করতে হবে, প্রচুর পানি খেতে হবে এবং শর্করাজাতীয় খাদ্য অল্প পরিমাণে হলেও খেতে হবে। চাই প্রচুর বিশ্রাম।
ওষুধ যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে, বিশেষ করে প্রথম তিন মাসে। প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ নিরাপদ। তবে অন্য সময় মাইগ্রেনে যেসব ওষুধ দেওয়া হয় যেমন: কোডিন, ট্রিপট্যান বা আরগোটঅ্যামাইন ইত্যাদি খাওয়া নিষেধ। শিথিলায়ন পদ্ধতি কাজে আসতে পারে। মানসিক চাপ কমান, হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করুন।
অক্সফোর্ড হ্যান্ডবুক অব নিউরোলজি।
Leave a Reply