সকালে ঘুম যখন ভাঙলো, তখন শয্যা ছেড়ে উঠতে কি দারুণ ক্লান্তি! সকালের এই আলসেমি, কাজে মন্থর গতি- এক কাপ ধূমায়িত কড়া চা পানে কি সবটা দূর হয়?
Fight fatigue : Sex simple steps to maximize your energy– এই গ্রন্থটি লিখে খ্যাত ডাঃ মেরি এন বউম্যান বলেন, সকালের মানুষ শক্তিতে ভরপুর, প্রাণবন্ত ভেতরের এই মানুষটাকে বের করে আনতে হয়। এজন্য আছে তার পরামর্শ।
সকালে জেগে ঘুমে ঢুলুঢুলু হয়ে থাকা নয়ঃ
ঘড়ির এলার্ম বাজলো এরপর জেগে আবার ঘুমিয়ে পড়া স্বল্পক্ষণের জন্য হলেও এতে শরীর উজ্জীবিত হয় না। তাই এলার্ম বাজার পর আবার বিশ মিনিট ঘুমানোর চেয়ে, ঘুম যখন ভাঙবে বলে মনে হয় সে সময় এলার্ম ক্লক সেট করে রাখা ভালো।
শরীরকে ঝেড়ে ঝুড়ে, শিথিল করে উঠা ভালোঃ
আমরা যখন নিদ্রায় যাই তখন অনেক সময় পিঠের পেশীগুলো শক্ত দৃঢ় হয়ে যায়। কি সমাধান তাহলে? এসব পেশীতে যদি অক্সিজেন জোগান দেয়া যায় তাহলে হয়। কোষে এনার্জি তৈরি করার জন্য প্রয়োজন হয় অক্সিজেনের। শয্যায় উঠে বসুন অথবা পা দুটো বেশ ফাঁক করে দাঁড়ান, ডান হাত থাকবে কোমরে। বাম হাত মাথার ওপর উঠান আর ডানদিকে যতদূর সম্ভব টান টান করে নিন। ডান হাত দিয়েও সেরকম চর্চাই করুন।
নিজেই উপভোগ করুন সকালে জাগরণের কিছুটা সময়ঃ
সকালে উঠে কিছুটা সময় ধরুন মিনিট দশেক, প্রশ্রয় দিন নিজেকে। রাতে পড়েছেন এমন একটি উপন্যাসের কয়েকটা পাতা পড় ন। শুনতে পারেন প্রিয় কোনও গানের সুর। মন ভালো হবে। আর মনে স্ফূর্তি এলে শরীরেও শক্তি এসে যায়।
চা বা কফি যে কোন একটি বেছে নিনঃ
কফি পানে শরীর-মন চনমনে হয়, কিন্তু শরীরে চাই পানি-চাই জলপূর্ণ হয়ে উঠুক শরীর। সারারাতের নিদ্রার পর তাইতো চাই। কফি পানে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায় তাই এক-দু’গস্নাস পানি খালি পেটে পান করা ভালো।
গান শুনুন, নয়ত যন্ত্রসঙ্গীত কোনও রেকর্ড প্লেয়ারে
যার যা ইচ্ছা। হতে পারে রবীন্দ্র সঙ্গীত। আমার সবচেয়ে পছন্দ। নয়ত যে কোনো ভালো গান। নয়ত যন্ত্রসঙ্গীত। সরোদ বাদন। নয়ত রবিশংকরের সেতার। অপূর্ব।
বউম্যান বলেন, গান শুনলে মগজ যে নিঃসৃত হয় যে রাসায়নিক তা মন ভালো করে দেয় এরপর উপচে পড়ে রাসায়নিক এড্রিনালিন।
শীতল হনঃ
উষ্ণ ধারাজলে স্নান করার পর, দু-এক মিনিট শীতল জল ঢালুন শরীরে। শরীরে রুদ্ধ রক্ত প্রবাহ সচল হবে এতে। দেখবেন শরীর হবে উজ্জীবিত ।
———————
দৈনিক ইত্তেফাক, ১০ মে ২০০৮
অধ্যাপক ডাঃ শুভাগত চৌধুরী
ডাইরেক্টর, ল্যাবরেটরী সার্ভিসেস,
বারডেম, ঢাকা।
Leave a Reply