বিশ্বের প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষ বিভিন্ন ধরনের দাপ্তরিক বা অফিসের কাজে নিয়োজিত থাকেন। এর মধ্যে ৪০ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষই জীবনে কোনো না কোনো সময় হাড়, সন্ধি, পেশির সমস্যায় আক্রান্ত হন যা তাঁদের দাপ্তরিক কাজের সঙ্গে জড়িত। স্বাস্থ্যকর উপায়ে কী করে দাপ্তরিক কাজ সম্পাদন করা যায়, তা নিয়ে চিকিৎসাবিজ্ঞানের বিশেষ শাখা রয়েছে। একে বলা হয় অকুপেশনাল থেরাপি। একজন মানুষ তাঁর কর্মক্ষেত্রে কী ধরনের সমস্যার কারণে নানা ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েন এবং কীভাবে তাঁর শারীরিক গড়ন অনুযায়ী কর্মক্ষেত্রকে বিজ্ঞানভিত্তিকভাবে উপযোগী করা যায়, সেটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
যাঁরা দীর্ঘক্ষণ অফিসে চেয়ারে বসে বা কম্পিউটারে এবং বিভিন্ন ধরনের কাউন্টারে কাজ করেন, তাঁরা কিছু অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন
১. আপনার অফিসের চেয়ার-টেবিল ও কম্পিউটারের অবস্থান এমন হওয়া চাই যেন ঘাড় ৯০ ডিগ্রির বেশি এবং কোমর ৪৫ ডিগ্রির বেশি না ঝুঁকে থাকে।
২. টেবিলে কাজ করার সময় কোমর, হাঁটু, পায়ের গোড়ালি মেঝের সঙ্গে ৯০ ডিগ্রি কোণে থাকবে। কবজি সোজা অবস্থায় টেবিলের ওপর থাকবে এবং ঘাড় শিথিল থাকবে।
৩. প্রতি এক ঘণ্টা কাজ করার পর চার-পাঁচ মিনিটের জন্য বিশ্রাম নিন এবং বিভিন্ন অংশ স্ট্রেচিং করুন। ঘাড় সামনে-পেছনে স্ট্রেচ করুন ৬০ ডিগ্রি পর্যন্ত, দুই দিকে ২৫ ডিগ্রি পর্যন্ত। কোমর পেছনে ২৫ ডিগ্রি পর্যন্ত। দুই কাঁধ, গোড়ালি ও কবজিরও স্ট্রেচিং করতে পারেন।
প্রতি আধা ঘণ্টা পর পর চোখ স্ক্রিন থেকে দূরে সরিয়ে নিন, ১০-১৫ সেকেন্ডের জন্য হাতের তালু দিয়ে ঢেকে রাখতে পারেন।
মো. মনজুরুল হাবীব, আরিফা জাহান
অকুপেশনাল থেরাপি বিভাগ,
পক্ষাঘাত পুনর্বাসনকেন্দ্র (সিআরপি)
Leave a Reply