সব ওষুধেই কমবেশি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে, কিন্তু কোনো কোনো বিশেষ ওষুধ বা রাসায়নিকের প্রতি ব্যক্তিবিশেষের থাকতে পারে অতিসংবেদনশীলতা। যার ফলে দেখা দিতে পারে গুরুতর অ্যালার্জি। এ থেকে জীবন বিপন্নও হতে পারে কখনো কখনো। এ বিষয়ে লিখেছেন ডা. নাজমুল কবীর কোরেশী
ঝুঁকিপূর্ণ ওষুধসমূহ
কিছু ওষুধে প্রতিক্রিয়া বেশি ঘটে। যেমন: পেনিসিলিন, সেফালোস্পোরিন-জাতীয় অ্যান্টিবায়োটিক, সালফারযুক্ত ওষুধ, ভ্যাকসিন, এলুপিউরিনল, উচ্চ রক্তচাপের কিছু ওষুধ যেমন এসিই ইনহিবিটর, কিছু খিঁচুনি প্রতিরোধক ওষুধ ইত্যাদি। তবে ব্যক্তিবিশেষের ওপর নির্ভর করে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার তীব্রতা।
কারণ কী?
কোনো ধরনের একটি ওষুধে আগে যদি কারও অ্যালার্জি হয়ে থাকে, তবে একই শ্রেণীর বা কাছাকাছি রাসায়নিক গড়নের অন্য ওষুধ ব্যবহারেও অ্যালার্জির ঝুঁকি থাকে। কিছু ওষুধ যেমন পেনিসিলিনে অ্যালার্জির পারিবারিক ইতিহাস থাকতে পারে। স্বল্প সময়ে একই ওষুধ বারবার ব্যবহার এর ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
কীভাবে বুঝবেন
ওষুধে অ্যালার্জির সাধারণ লক্ষণ হলো: ত্বকে লালচে দানা বা র্যাশ, চুলকানি, ত্বক চাকা চাকা হয়ে ওঠা, শ্বাসকষ্ট, মুখ-গলা ফুলে যাওয়া ইত্যাদি। জ্বর বা কাঁপুনি হতে পারে। সবচেয়ে গুরুতর ধরনের অ্যালার্জিতে ত্বক, মুখগহ্বর ও অন্যান্য স্থানে ফোসকা বা ঘা হতে পারে।
কী করে সতর্ক হবেন
কোনো ওষুধে অ্যালার্জি হয়ে থাকলে তার নাম সংরক্ষণ করুন এবং যখনই আপনি চিকিৎসকের কাছে যাবেন, তা জানিয়ে রাখুন। একই শ্রেণীভুক্ত বা কাছাকাছি শ্রেণীর ওষুধ এড়িয়ে চলতে হবে। কোনো অ্যান্টিবায়োটিক বা ওষুধ সেবনের পর চুলকানি, র্যাশ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে তা বন্ধ করে চিকিৎসককে অবহিত করুন।
ডা. নাজমুল কবীর কোরেশী
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, নভেম্বর ১৪, ২০১৩
Leave a Reply