মাঝেমধ্যে আমাদের চোখ শুকনো খটখটে হয়ে যায়, অস্বস্তি লাগে। কখনো জ্বালাও করে। যখন চোখের পানি যথেষ্ট পরিমাণে তৈরি হয়ে চোখকে আর্দ্র রাখতে পারে না, তখনই এ ধরনের সমস্যা হয়। অনেকক্ষণ শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ঘরে বা বিমানের ভেতর থাকলে, হেলমেট বা সানগ্লাস ছাড়া মোটরসাইকেল চালালে বা দীর্ঘ সময় ধরে কম্পিউটার স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে কাজ করলে এমন হতে পারে।
চোখের পানি তৈরি করে যে গ্রন্থি, তাতে সমস্যা হলেও চোখ শুষ্ক হয়ে যায়। বয়স বাড়ার সঙ্গে, নারীদের মেনোপোজের পর, ভিটামিন এ-এর অভাবে, ডায়াবেটিস বা থাইরয়েডের সমস্যায়, কোনো কারণে আঘাতপ্রাপ্ত হলে গ্রন্থির অকার্যকারিতা দেখা দিতে পারে। কিছু ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেও হতে পারে এটি। চিকিৎসা করার পাশাপাশি শুষ্ক চোখের চিকিৎসায় কৃত্রিম চোখের পানি বা আর্টিফিশিয়াল টিয়ার ব্যবহার করা হয়।
গ্রন্থির মুখ আটকে গেলে অস্ত্রোপচার লাগতে পারে। শুষ্কতা রোধ করতে কিছু বিষয় মেনে চলুন। টেবিল ফ্যান বা এসির বাতাস, হেয়ার ড্রায়ার, হিটার ইত্যাদি সরাসরি চোখের দিকে তাক করে রাখবেন না। বাইক বা মোটরসাইকেল চালানোর সময় চোখে সানগ্লাস পরুন। কম্পিউটার স্ক্রিনের সামনে কাজ করার সময় মাঝেমধ্যে বিরতি নিন। চোখ খুব ক্লান্ত হয়ে এলে একটা নরম পরিষ্কার কাপড় হালকা গরম পানিতে ভিজিয়ে চোখ পাঁচ মিনিট ঢেকে রাখুন ও আঙুল দিয়ে চোখের পাতা ঘষুন।
সূত্র: মায়ো ক্লিনিক।
Leave a Reply