–অপারেশনের পর পুষ্টিকর খাবার খাবেন। অপারেশনের পরের দিন থেকেই রোগী সব ধরনের খাবার খেতে পারবেন। অনভ্যস্ত কোনো খাবার না খাওয়াই ভালো। দুধ, ডিম, টক জাতীয় ফল ক্ষত শুকাতে সাহায্য করে। অনেকে উল্টো ভাবেন এবং রোগীর খাওয়া-দাওয়ায় অনেক বিধিনিষেধ দিয়ে দেন। ফলে ভালোর চেয়ে মন্দই বেশি হয়। তাই রোগীর পছন্দমত, পুষ্টিকর খাবার খেতে দিন।
–অপারেশনের পরের দিন থেকেই হালকা হাঁটাচলা করবেন। দেড় মাস পর থেকে স্বাভাবিক হাঁটাচলা করবে ন।
–ডাক্তারের দেয়া ওষুধ ও চেকআপের নির্দেশনা মেনে চলুন।
–পেটে বেল্ট বা বাইন্ডার ব্যবহার করবেন না। এতে প্রাথমিক অবস্হায় ঘেমে এবং বাতাস চলাচল বিঘ্নিত হওয়ার কারণে ইনফেকশন হতে পারে। অনেকদিন ব্যবহার করলে আপনার পেট ঢিলা হয়ে যাবে এবং হার্নিয়াও হতে পারে।
–সাতদিন পর থেকে আপনার ব্যান্ডেজ খুলে এবং যদি সেলাই থাকে সে সেলাই খোলার পর সাবান ও পানি দিয়ে আপনার ক্ষতস্হান পরিষ্কার করে ধুয়ে গোসল করবেন নিয়মিত। খেয়াল রাখবেন ক্ষতস্হানে যেন কোনো ময়লা না জমে। তবে ক্ষতস্হানে কোনো স্যাভলন, ডেটল ও মলমের প্রয়োজন হয় না।
–অপারেশনের পর ১ম দেড় মাস আপনি মোটামুটি বিশ্রামেই থাকবেন। তারপর থেকে সাধারণ কাজকর্ম, জার্নি শুরু করতে পারবেন।
–তিন মাস কোনো ভারি কাজ করবেন না। তিন মাসের মধ্যে কাশি বা কোষ্ঠকাঠিন্য যেন না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। আর হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা নিন।
—————-
আমার স্বাস্হ্য ডেস্ক
আমার দেশ, ০৬ মে ২০০৮
Leave a Reply