পেটে খুব গ্যাস হয়। ৮০ শতাংশ মানুষ এমন অভিযোগ করে থাকে অনেক সময়। অধিকাংশ লোকই জানে না এর মানে কী আর কেনই বা এমন হয়।
অনেকের শাক-সবজি বেশি খেলে পেটে গ্যাস হয়। অন্ত্রের মধ্যে কিছু ব্যাকটেরিয়া ও রাসায়নিক পদার্থ আছে, যা বিভিন্ন খাদ্য উপাদানের সঙ্গে বিক্রিয়া করে নানা ধরনের গ্যাস উৎপন্ন করে। যেমন কার্বন ডাই-অক্সাইড, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, মিথেন ইত্যাদি। আবার কিছু গ্যাস দেহের রক্ত থেকে উৎপাদিত হয়ে পেটে আসে। ল্যাকটুলোজ-জাতীয় খাবার ও বিভিন্ন ধরনের ওষুধ পেটের রাসায়নিক বা অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে বেশি গ্যাস তৈরি করে থাকে।
স্বাভাবিকভাবে আমাদের শরীরে সাধারণত ২০০ মিলিলিটার বা গড়ে ৪৭৬ মিলিলিটার থেকে ৬০০ মিলিলিটার পর্যন্ত গ্যাস উৎপন্ন হতে পারে, যা ঊর্ধ্বগামী বা নিম্নগামী হয়ে ১৮ থেকে ২০ বার পর্যন্ত শরীর থেকে বের হতে পারে।
যাদের পেটে বেশি গ্যাস সৃষ্টি হয়, তাদের কিছু নিয়ম পালন করা দরকার।
খাওয়ার সময় তাড়াহুড়া করে না খেয়ে ধীরস্থিরভাবে খাবার চিবিয়ে খেতে হবে, যাতে খাবারটা ভালোভাবে পরিপাকরসের সঙ্গে মেশে এবং হজম হয়। ধূমপান বর্জন করুন। কেন ও কোন খাবারে গ্যাস হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখুন ও তা থেকে বিরত থাকুন। বারবার ঢেকুর তুলবেন না। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা ও অস্থিরতা থেকে দূরে থাকুন। এই বিষয়টি নিয়ে বেশি চিন্তা না করে নিজের কাজে বেশি করে মনোনিবেশ করুন।
অধ্যাপক ডা. মো. জুলফিকার আলী
মেডিসিন ও পরিপাকতন্ত্র বিভাগ, খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, অক্টোবর ১০, ২০১৩
Leave a Reply