কৃমির প্রধান কারণ অপরিচ্ছন্নতা ও অসচেতনতা। আমাদের দেশে স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগারের অভাব, পয়োনিষ্কাশনের সমস্যা, বিশুদ্ধ পানির অভাব ইত্যাদি কারণে অধিকাংশ শিশু ও বড়রা কৃমি সংক্রমণে ভোগেন। খালি পায়ে অপরিষ্কার জায়গায় হাঁটলেও কৃমির লার্ভা পায়ের ত্বকের মধ্য দিয়ে দেহে প্রবেশ করতে পারে।
কৃমির আক্রমণে শিশুদের অপুষ্টি ও রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। এটি বড়দেরও হতে পারে। বমি ভাব ও বমি, পেট ভারী বোধ হওয়া, পেট ফোলা, মুখে থুথু ওঠা, মলদ্বারে চুলকানি ইত্যাদি কৃমির আক্রমণের লক্ষণ। অনেক সময় এর কারণে কাশি ও অ্যালার্জিও হতে পারে। কখনো বক্র কৃমির এক মুখ শিশুদের অ্যাপেনডিক্সের মধ্যে প্রবেশ করে আর বেরোতে পারে না। তখন অ্যাপনেডিসাইটিসের উপসর্গ দেখা দেয়। অন্ত্রনালি বন্ধ করে দিতে পারে বড় কৃমি এবং অনেক কৃমি অন্ত্র ফুটো করে দিতে পারে। এসব ক্ষেত্রে জরুরি অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন দেখা দেয়।
চিকিৎসা: চার মাস পর দুই বছরের বেশি বয়সী প্রত্যেকে কৃমিনাশক বড়ি সেবন করতে পারে। বাড়ির প্রতিটি সদস্যের একসঙ্গে এটি সেবন করা উচিত। কৃমির কারণে কোনো জটিলতা তৈরি হলে তার চিকিৎসা করতে হবে। তবে কৃমি প্রতিরোধে সবচেয়ে আগে চাই স্বাস্থ্যসম্মত পরিচ্ছন্ন জীবনযাপন। শিশুদের পরিচ্ছন্নতা শিক্ষার পাঠ দিতে হবে বাড়ি ও বিদ্যালয়-দুই জায়গাতেই। l
ডা. এ কে এম মুজিবুর রহমান
মেডিসিন বিভাগ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৩
Leave a Reply