অনেকের, বিশেষ করে নারীদের, মুখে, থুতনিতে, কপালে ও গালে হালকা বাদামি, কালো বা লালচে ছোপ দেখা যায়। এটি মেছতা নামে পরিচিত। ত্বকের রঞ্জক পদার্থ মেলানিনের পরিমাণ বেড়ে যাওয়াই এর কারণ। দিন যত যায়, রঙের গাঢ়ত্ব তত বাড়ে এবং রোগী এক বিব্রতকর সমস্যায় পড়ে যান। ২০ থেকে ৫০ বছর বয়সী নারীরা বিশেষ করে চল্লিশোর্ধ্ব নারীদের এটি এক বিরাট সমস্যা।
মেছতার কারণটি এখনো অজানা। তবে ধারণা করা হয়, যাঁরা রোদে বেশি কাজ করেন বা রান্নাঘরে গরম আঁচে কাজ করেন, তাঁদের এই সমস্যা বেশি হয়। গর্ভবতী নারীদের হরমোনের মাত্রার ওঠানামা, জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি বা পারিবারিক ইতিহাস এর জন্য দায়ী হতে পারে।
মেছতার চিকিৎসা বেশ জটিল। তবে প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা শুরু হলে সুফল বেশি পাওয়া যাবে। রোদে বের হলে অবশ্যই সানব্লক ব্যবহার করা উচিত। এ ছাড়া ২% হাইড্রোকুইনোন ত্বকে দুই বেলা লাগালে উপকার হতে পারে। ট্রেটিনয়েন, গ্লাইকোলিক অ্যাসিড, কোজিক অ্যাসিড ইত্যাদিও ব্যবহূত হয়। তবে মেছতা বারবার হয়। তাই কারণগুলো দূর করার বিষয়ে বেশি জোর দিতে হবে। লেজার চিকিৎসায় খুব একটা ভালো ফল হয় না, বরং দাগ বেড়ে যেতে পারে।
ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান
চর্ম বিভাগ, বারডেম হাসপাতাল
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৩
Leave a Reply