প্রায়ই এমন মনে হয় যে মুখ-গলা শুকিয়ে কাঠ, জিবে মুখে কোনো লালা নেই। প্রচণ্ড পিপাসা পেলে, বিভিন্ন ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় বা অনেক সময় উদ্বেগ কিংবা দুশ্চিন্তায় এমনটা হয়। কিন্তু প্রায়ই আপনার মুখ-জিব শুকিয়ে খটখটে হয়ে এলে একটু ভাবতে হয় বৈকি। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে বলে জেরোস্টোমিয়া। মুখের লালাগ্রন্থি থেকে লালা নিঃসরণ কমে গেলেই এটা হয়।
লালার কাজ কেবল মুখ আর্দ্র রাখাই নয়, খাবারের স্বাদ গ্রহণ ও হজমে এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তা ছাড়া লালা না থাকলে জিবে ঘা বা জ্বালাপোড়া হয়, মুখে, মাড়িতে ও দাঁতে সংক্রমণ হয়। অ্যালার্জি, উচ্চ রক্তচাপ, বিষণ্নতা, ঘুমের ওষুধসহ প্রায় ৪০০ রকমের ওষুধে মুখে লালা নিঃসরণ কমে যায়। ডায়াবেটিস, পারকিনসন রোগ, স্ট্রোকের পর, রক্তশূন্যতা ও নানা ধরনের রোগে বারবার মুখ শুকায়। হাঁপানি বা ব্রঙ্কাইটিসের রোগীরা মুখে শ্বাস নেন বলে বারবার মুখ শুকিয়ে যায়।
বারবার মুখ শুকানোর প্রবণতা রোধে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যায়। চা-কফি মুখের আর্দ্রতা কমিয়ে দেয়, তাই এগুলো বেশি খাবেন না। তামাক ও সিগারেট বন্ধ করুন। প্রচুর পানি পান করুন। চিনিহীন ক্যান্ডি বা চুইংগাম ব্যাগে রাখতে পারেন, প্রয়োজনে মুখে দিলে লালা নিঃসরণ বাড়বে। ফ্লুরাইডযুক্ত টুথপেস্ট এদের জন্য ভালো। মুখে শ্বাস নেবেন না, নাক বন্ধ থাকলে নাকে ড্রপ দিন। ঘর যথেষ্ট আর্দ্র রাখবেন, বিশেষ করে রাতে। মুখ শুকিয়ে যাওয়ার মতো কোনো রোগ থাকলে শনাক্ত করে চিকিৎসা নিন।
সূত্র: ওয়েবমেড।
Leave a Reply