পরিপাকতন্ত্রের ঘা গ্যাস্ট্রিক আলসার বা পেপটিক আলসার নামে পরিচিত। পাকস্থলী ছাড়াও এটি পরিপাকতন্ত্রের যেকোনো অংশেই হতে পারে। সাধারণ অ্যাসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিক দিনে দিনে জটিল হয়ে প্রথমে আলসার ও পরে আরও জটিল অবস্থার সৃষ্টি করে। সমস্যাটি সাধারণ হলেও সঠিক সময়ে সুচিকিৎসা দরকার।
সাধারণত পেটের উপরিভাগের মাঝখানে বক্ষপিঞ্জরের ঠিক নিচে পেপটিক আলসারের ব্যথা অনুভূত হয়। ব্যথাটা পেছনের দিকেও যেতে পারে। ক্ষুধার্ত হলে ব্যথা বাড়ে এবং খাবার খেলে ব্যথা কিছুটা কমে। অনেক সময় রাতে পেটব্যথার কারণে রোগী ঘুম থেকে জেগে ওঠে। কিছু খেলে ব্যথা কমে যায় এবং রোগী আবার ঘুমিয়ে পড়ে। পেপটিক আলসারের ব্যথা সব সময় থাকে না। একাধারে ব্যথা কয়েক সপ্তাহ চলতে থাকে। এ ছাড়া বুক জ্বালা, অরুচি, বমি ভাব, ক্ষুধামান্দ্য ইত্যাদি উপসর্গ থাকে।
পেপটিক আলসারের ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার জরুরি নয়। তবে পরিপাকনালির কোনো অংশ সরু হয়ে গেলে অস্ত্রোপচারের দরকার হতে পারে। এ ক্ষেত্রে রোগীর বারবার বমি হতে পারে। প্রচুর বমি থেকে লবণ ও পানিশূন্যতা হতে পারে। পায়খানার সঙ্গে রক্ত গেলেও রক্তশূন্যতা হতে পারে।
নিরাময় পেতে ধূমপান বন্ধ করুন। ব্যথানাশক ওষুধ সেবন থেকে যথাসম্ভব বিরত থাকুন। খাদ্যগ্রহণে শৃঙ্খলা বজায় রাখুন। সাধারণত অ্যাসিড নিঃসরণ রোধকারী ওষুধ সেবনে উপকার হয়।
ডা. ইকরামুল হক
সার্জারি বিভাগ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৩
Leave a Reply