বাড়তি ওজন শরীরের জন্য ভালো নয় মোটেই। সৌন্দর্য, স্বাস্থ্য—সবদিকেই বাড়তি ওজন বড় যন্ত্রণা। তাই বলে ওজন কমাতে গিয়ে না খেয়ে থাকাও যে কাজের কথা নয়। অনেকই ওজন কমাতে গিয়ে না খেয়ে থাকেন, কিংবা এতটাই কম খান যে সারা দিন চলার মতো শক্তিটুকু থাকে না। তাই খেতে হবে। তবে খাওয়াটা হবে হিসাব করে, পরিমাণমতো আর জেনে-বুঝে।
বারডেম জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টি ও পথ্যবিদ শামুন্নাহার নাহিদ বলেন, ওজন কমাতে হলে খাওয়া-দাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে ঠিকই, তাই বলে খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দেওয়া যাবে না একেবারেই। খাওয়া ছাড়লে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে। তাই খেতে হবে নিয়ম করে।
যেসব খাবার নিয়ন্ত্রিতভাবে খেলে ওজন বাড়ে না, দেখে নেওয়া যাক সেগুলো:
সকাল: রুটি, কুসুম ছাড়া ডিম ও অল্প তেলে রান্না সবজি খেতে পারেন। এই খাবারগুলো শরীরে শক্তি জোগাবে ঠিকই, কিন্তু মেদ জমবে না।
মধ্যসকাল: সকালের খাবার শেষে যখন কর্মব্যস্ত দিন শুরু হবে, চলতে-ফিরতে কিছু একটা খেতে ইচ্ছে করলে ফলেই তৃপ্ত থাকুন। নানা বর্ণ-গন্ধের ফল আছে বাজারে। সেই ক্ষেত্রে টক ফলকেই বেছে নিন।
দুপুর: দুপুরে পরিমাণমতো ভাত, এক টুকরো মাছ, পাতলা ডাল আর সবজি রাখুন। তবে অনেক ভাত খাওয়া ঠিক হবে না। ওজন কমাতে চাইলে ভাত কমিয়ে দিন। ভাত দিয়ে সবজি নয়, সবজি দিয়ে অল্প ভাত খান। মাছ খাওয়া যাবে। কারণ, এর প্রোটিন শরীরের জন্য খুব দরকারি।ছবি: নকশা
বিকেল: বিকেলে খিদে তো লাগবেই। আর ওজন কমাতে খিদে পেটে মুখ গোমড়া করে বসে থাকবেন, তা কী করে হয়! তার চেয়ে বরং মুড়ি-মুড়কি খান। এতে ওজন বাড়বে না, আবার খিদেও মিটবে।
রাত: রাতে রুটি খেতে পারেন, সঙ্গে মাছ। মাঝেমধ্যে স্বাদের পরিবর্তন আনতে অল্প তেল-মসলায় রান্না কচি মুরগি নিন। অল্প করে এ খাবারগুলো খাওয়ায় পেট তো ভরবে না! আবার খালি পেটে ঘুমও যে আসবে না। তাই পেট ভরাতে সালাদ খান।
সিদ্ধার্থ মজুমদার
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৩
Leave a Reply