গতকাল ৬ মে বিশ্বজুড়ে পালিত হলো বিশ্ব হাঁপানি দিবস ২০০৮। গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ ফর অ্যাজমা (জিআইএনএ) প্রতিবছর এ দিবস পালনের আয়োজন করে থাকে। উদ্দেশ্য হলো, বিশ্বজুড়ে হাঁপানি সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি ও এর পরিচর্যাকে জোরদার করা। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় হলো-‘নিজের হাঁপানি নিজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়’। বিশ্ব হাঁপানি দিবস উপলক্ষে স্বাস্থ্যকুশল-এর বিশেষ আয়োজন
অ্যাজমা বা হাঁপানি হলো শ্বাসনালির দীর্ঘস্থায়ী ও প্রদাহজনিত একটি রোগ। এ রোগটি বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিস্তৃত। বিশ্বের প্রায় ২০ কোটি লোক এতে আক্রান্ত। প্রতিবছর প্রায় দুই লাখ লোক এ রোগে মৃত্যুবরণ করে। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, আমাদের দেশে ৭০ লাখ লোক এ রোগে ভুগছে। তাদের ৫০ শতাংশের বয়সই ১৫ বছরের নিচে। যদিও গত দুই দশকে অ্যাজমা রোগের চিকিৎসায় অনেক সাফল্য অর্জিত হয়েছে, এর প্রদুর্ভাব ও তীব্রতা এবং এ রোগের কারণে মৃত্যুর ঝুঁকি দিন দিন বেড়েই চলেছে। যদিও দারিদ্র্য, অশিক্ষা, পরিবেশদূষণ ও অপর্যাপ্ত চিকিৎসাব্যবস্থাকে দায়ী করা হয় কিন্তু রোগের সঠিক নির্ণয় না হওয়া, রোগের তীব্রতা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ না করা, অপর্যাপ্ত বা ভুল চিকিৎসা এবং চিকিৎসায় রোগীর অনীহা যথেষ্ট দায়ী। যদিও আপাতদৃষ্টিতে এ রোগের প্রাদুর্ভাব উন্নত দেশেই বেশি, তবে জনসংখ্যার অনুপাতে এ রোগ আমাদের দেশেও কম নয়।
হাঁপানি কেন হয়
হাঁপানি যেকোনো বয়সের নারী বা পুরুষের হতে পারে। এটা শ্বাসনালির একটা প্রদাহজনিত রোগ। সংক্রামক বা ছোঁয়াচে নয়। প্রদাহজনিত কারণে শ্বাসনালির সংবেদনশীলতা বেড়ে যায়। ফলে ঘন ঘন কাশি, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, আওয়াজ, বুকে চাপ বা দম নিতে কষ্ট হওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যদি সঠিকভাবে উপযুক্ত চিকিৎসা না নেওয়া হয়, তাহলে এ রোগে অনেক সময় মৃত্যুও হতে পারে।
হাঁপানির সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি। এ রোগের জন্য কোনো কিছুকে এককভাবে দায়ী করা যায় না। গবেষণায় দেখা গেছে, কারও কারও বংশগত কারণে বা পরিবেশগত কারণেও এ রোগ হতে পারে। কারও নিকটাত্মীয় যদি এতে আক্রান্ত থাকে বা কেউ যদি বিভিন্ন দ্রব্যের প্রতি অতিমাত্রায় অ্যালার্জিক হয় তাহলে তার হাঁপানি হতে পারে। এ ছাড়া শ্বাসনালি যদি অতিমাত্রায় সংবেদনশীল হয়, এ রোগ হতে পারে।
এ ছাড়া ধুলোবালির মধ্যে থাকা মাইট নামের ক্ষুদ্র কীট, ফুলের পরাগরেণু থেকে; পশুপাখির পালক, ছত্রাক, মল্ট, ইস্ট, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সিগারেটের ধোঁয়ার মধ্যে যারা থাকে তাদের এ রোগ হতে পারে। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সিগারেটের ধোঁয়া শুধু শ্বাসকষ্টের কারণই নয়, বরং অনেক ক্ষেত্রেই এটা হাঁপানির তীব্রতা বাড়িয়ে দেয়। হাঁপানির ওষুধের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়, কখনো কখনো ফুসফুসের দীর্ঘস্থায়ী কার্যক্ষমতাও কমে যায়।
কখনো কখনো ব্যক্তির পেশাগত কারণেও এ রোগটি হতে পারে। কিছু উত্তেজক উপাদান বা ট্রিগার ফ্যাক্টর অনেক সময় সংবেদনশীল রোগীর শ্বাসকষ্ট শুরু করতে পারে-যেমন শ্বাসনালির সংক্রমণ, অ্যালার্জি-জাতীয় বস্তুর সংস্পর্শ, বায়ুদূষণ, সিগারেটের ধোঁয়ার কারণেও এটি হতে পারে। কোনো কোনো ড্রাগ, যেমন বিটা ব্লকার, যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহৃত হয়, এনএসএআইডি (ব্যথা নিরাময়কারী ওষুধ) এসপিরিন কোনো কোনো ক্ষেত্রে হাঁপানির কারণ হতে পারে।
এ ছাড়া মানসিক চাপে থাকলে হাঁপানির তীব্রতা বেড়ে যেতে পারে। কোনো কোনো খাবারের প্রতি সংবেদনশীল বা চিংড়ি মাছ, হাঁসের ডিম, গরুর মাংস, বেগুন, পুঁইশাক, মিষ্টিকুমড়া, ইলিশ মাছ প্রভৃতি খেলে চুলকায়, নাক দিয়ে পানি পড়ে কারও কারও-অর্থাৎ অ্যালার্জি হয়। তবে খাবারের মাধ্যমে যে অ্যালার্জি হয় তাতে খুব কম লোকের অ্যালার্জি বা শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। কারও কারও বিভিন্ন সুগন্ধি, মশার কয়েল বা কারও কারও কীটনাশকের গন্ধ থেকেও শ্বাসকষ্ট বেড়ে যেতে পারে।
রোগ নির্ণয়
রোগ নির্ণয়ের প্রথম ধাপ হচ্ছে রোগীর মুখে রোগের বিস্তারিত ইতিহাস জানা।
হাঁপানির প্রধান উপসর্গগুলো হলো শ্বাসকষ্ট, কাশি, বুকের মধ্যে দপ দপ শব্দ হওয়া, বুকে চাপ অনুভব করা, বা অল্পতেই দম ফুরিয়ে যাওয়া। তবে কখনো কখনো দুবার অ্যাটাকের মধ্যে রোগীর হাঁপানির কোনো উপসর্গ নাও থাকতে পারে। অল্প যেকোনো একটি বা তারও বেশি উপসর্গ থাকতে পারে।
সাধারণত এ উপসর্গগুলো রাতে বা খুব সকালে বেশি হয় এবং শ্বাসনালিতে কোনো ধরনের অ্যালজেন প্রবাহ প্রবেশ করলে বা অল্পমাত্রায় পরিবর্তন হলে এ উপসর্গের তীব্রতা বেড়ে যায়। কারও কারও ক্ষেত্রে কাশি বা শ্বাসকষ্ট শুরুর আগে নাক চুলকায়, হাঁচি হয়, নাক দিয়ে পানি পড়ে, চোখ লাল হয়ে যায়। ওপরের উপসর্গগুলোর সঙ্গে বংশে কারও যদি হাঁপানিতে আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস থাকে, তাহলে ধরে নেওয়া যায় তার হাঁপানি রয়েছে।
হাঁপানি নির্ণয়ে সহায়ক পরীক্ষা
-লাং ফাংশন টেস্ট বা স্পাইরোমেট্রি, যা দিয়ে শ্বাসনালির কতটুকু সরু হয়েছে তা বোঝা যায়।
-কফের মধ্যে থাকা ইয়োসোনোফিলের সংখ্যা থেকে বোঝা যায়, শ্বাসনালিতে কোনো ক্ষত হয়েছে কি না।
-কখনো কখনো স্কিন অ্যালার্জি পরীক্ষা করে কোন বিশেষ উত্তেজক জিনিস হাঁপানির জন্য দায়ী তা শনাক্ত করা হয়।
-পিক ফ্লো মিটার পরীক্ষাঃ রোগী কত তাড়াতাড়ি ও কত জোরে ফুঁ দিতে পারে সেটি এ যন্ত্রের মাধ্যমে পরিমাপ করা যায়। শ্বাসনালি সরু হলে পিক ফ্লো কমে যায়। হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা এ যন্ত্রের সাহায্যে পরিমাপ করা যায়।
চিকিৎসা
হাঁপানি সম্পূর্ণ নিরাময়ের জন্য এখনো কোনো ওষুধ আবিষ্কৃত হয়নি। তবে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে এ রোগ সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। হাঁপানি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রোগী পুরো সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে। অনিয়ন্ত্রিত হাঁপানি হার্ট-অ্যাটাকের মতোই ভয়াবহ। এতে মৃত্যুও হতে পারে।
হাঁপানি নিয়ন্ত্রণের একটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলো সতর্কভাবে খেয়াল রাখা, কোন কোন উপসর্গে রোগীর শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায় তা নির্ণয় করা এবং তা থেকে দূরে থাকা। কারণ সব হাঁপানি রোগীর রোগের উপসর্গ কমা বা বাড়ার জন্য একই উত্তেজক বা ট্রিগার ফ্যাক্টর দায়ী নয়। এ ছাড়া অনেক সময় পরিবেশের ওপর মানুষের কোনো হাত থাকে না। অনেক সময় পারিপার্শ্বিক অবস্থার ওপরও আমাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। বাজারে হাঁপানির যেসব ওষুধ পাওয়া যায় তা সঠিকভাবে ব্যবহার করলে সম্পূর্ণ সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন যাপন সম্ভব।
ওষুধ-পথ্য
হাঁপানির চিকিৎসায় প্রধানত দুই ধরনের ওষুধ ব্যবহৃত হয়।
-উপশমকারী ওষুধ বা রিলিভার এবং
-রোগ নিরাময় বা প্রতিরোধকারী ওষুধ।
উপশমকারী ওষুধের আরেক নাম হলো ব্রংকোডায়ালেটর, যা সরু শ্বাসনালির পথ প্রসারিত করে তাৎক্ষণিকভাবে শ্বাসকষ্ট কমিয়ে দেয়। যেহেতু এটি শ্বাসনালির প্রদাহ বা ক্ষত সারাতে সাহায্য করে না, তাই এটি নিয়মিত অবিরাম ব্যবহার করা উচিত নয়। শুধু প্রয়োজন হলেই ব্যবহার করা উচিত। বাজারে বিভিন্ন নামে ও বিভিন্ন আকারে এটি পাওয়া যায়। ইনহেলার বা ট্যাবলেট হিসেবে পাওয়া যায়। যেমন ভেনটোলিন, সালটোলিন, অ্যাজমাসোল, সালমোলিন ও সেলোমেন্স। নিরাময়কারী ওষুধ হলো স্টেরয়েডজাতীয় ওষুধ, যা অনেক সময় জীবন বাঁচায়। এটা অ্যালার্জিনাশক ও প্রদাহবিরোধী। স্টেরয়েড ইনহেলার শ্বাসনালির প্রদাহ কমিয়ে শ্বাসনালির সংবেদনশীলতা কমায়। স্টেরয়েড এমন একটা ওষুধ, যার পরিমিত ব্যবহারে হাঁপানি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
অন্যদিকে এর অপরিমিত ব্যবহার হলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে ক্ষতিকর উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তাই ইনহেলারের মাধ্যমে চিকিৎসা করলে যথাযথ ইনহেলার ব্যবহার করবেন এবং এর সঠিক মাত্রা জেনে ব্যবহার করবেন। কোনোভাবেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এটি ব্যবহার করবেন না। বাজারে বিভিন্ন ধরনের স্টেরয়েড ইনহেলার পাওয়া যায়, যেমন সেরেটাইড ইভোহেলার বা ইকোহেলার, বেক্সিটোন এফ, টিকামেট প্রভৃতি।
হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে রোগীর ভূমিকা
হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে রোগীর ভূমিকাও কম নয়। রোগীকে জানতে হবে তার রোগটির প্রকৃতি কী, এর চিকিৎসা কী, তিনি ইনহেলার ব্যবহার করবেন কি না, ইনহেলারের কাজ কী প্রভৃতি। গুরুত্বপূর্ণ হলো সঠিকভাবে ইনহেলার ব্যবহার করতে জানা। রোগীকে জানতে হবে কী চিকিৎসা তার প্রয়োজন, তার হাঁপানির উপসর্গ কখন বাড়ে, কখন ইনহেলার ব্যবহার করবে, কখন রোগটি তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে এবং কখন রোগী চিকিৎসকের পরামর্শ নেবে।
হাঁপানি নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষা
পাশের বক্সটি হাঁপানি রোগীদের (১২ বছর বা এর চেয়ে বেশি বয়সের) হাঁপানি নিয়ন্ত্রণের অবস্থা মূল্যায়নে সাহায্য করতে পারে। প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক উত্তরের ডান পাশের নম্বরের ওপর টিকচিহ্ন দিন। পাঁচটি প্রশ্নের উত্তরের জন্য প্রাপ্ত নম্বর যোগ করে আপনি আপনার হাঁপানি নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষার মোট নম্বর আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করতে ভুলবেন না। আপনার নম্বর কী অর্থ বহন করে তা জানার জন্য স্কোর মিলিয়ে দেখুন।
আপনার হাঁপানির মাত্রা জানুন
প্রথম ধাপঃ প্রতিটি প্রশ্নের জন্য আপনার প্রাপ্ত নম্বরের ওপর একটি টিক চিহ্ন দিন এবং ডান পাশের ঘরে নম্বরটি লিখুন। অনুগ্রহ করে যতটা সম্ভব সঠিক উত্তর দিন। এটি আপনাকে আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে হাঁপানি বিষয়ে আলোচনায় সাহায্য করবে।
প্রশ্ন-১: গত চার সপ্তাহে আপনার হাঁপানি আপনাকে কী পরিমাণ সময় কর্মক্ষেত্রে, স্কুলে বা বাসায় স্বাভাবিক কাজকর্ম করা থেকে বিরত রেখেছে?
সব সময় (১) বেশির ভাগ সময় (২) কিছু সময় (৩) অল্প কিছু সময় (৪) কখনোই নয় (৫)
প্রশ্ন-২: গত চার সপ্তাহে কত ঘন ঘন আপনার শ্বাসকষ্ট হয়েছে?
দিনে একবারের বেশি (১) দিনে একবার (২) সপ্তাহে তিন থেকে ছয়বার (৩) সপ্তাহে এক বা দুবার (৪) কখনোই নয় (৫)
প্রশ্ন-৩: গত চার সপ্তাহে আপনার হাঁপানির উপসর্গ (ফোঁস ফোঁস করে শ্বাস গ্রহণ, কাশি, শ্বাসকষ্ট, বুকে আড়ষ্টতা বা ব্যথা) কত ঘন ঘন আপনাকে রাতে বা সকালে নিয়মিত সময়ের আগে ঘুম থেকে জাগিয়ে দিয়েছে?
সপ্তাহে চার রাত বা বেশি (১) সপ্তাহে দুই থেকে তিন রাত (২) সপ্তাহে একবার (৩) এক বা দুবার (৪) কখনোই নয় (৫)
প্রশ্ন-৪: গত চার সপ্তাহে কত ঘন ঘন আপনি দ্রুত উপশমকারী ইনহেলার ব্যবহার করেছেন, যেমন স্যালবিউটামল অথবা টারবিউটালিন?
দিনে তিনবার বা তার চেয়ে বেশি (১) দিনে এক বা দুবার (২) সপ্তাহে দুই বা তিনবার (৩) সপ্তাহে এক বা তার চেয়ে কম (৪) কখনোই নয় (৫)
প্রশ্ন-৫: গত চার সপ্তাহে আপনি কীভাবে আপনার হাঁপানি নিয়ন্ত্রণকে মূল্যায়ন করবেন?
একেবারেই নিয়ন্ত্রণ নয় (১) দুর্বলভাবে নিয়ন্ত্রণ (২) কিছুটা নিয়ন্ত্রণ (৩) ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ (৪) সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ (৫) নম্বর
দ্বিতীয় ধাপঃ আপনার মোট নম্বর জানার জন্য আপনার প্রাপ্ত সব নম্বর যোগ করুন।
তৃতীয় ধাপঃ আপনার নম্বর কী অর্থ বহন করে তা জানার জন্য নিচে দেখুন।
নম্বরঃ ২৫-আপনাকে অভিনন্দন
গত চার সপ্তাহে আপনার হাঁপানি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে ছিল। আপনার হাঁপানির কোনো লক্ষণ ছিল না এবং হাঁপানিসংক্রান্ত কোনো সীমাবদ্ধতা ছিল না। এ অবস্থার পরিবর্তন হলে আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ করুন।
নম্বরঃ ২০ থেকে ২৪-আপনি ভালো করেছেন
গত চার সপ্তাহে আপনার হাঁপানি হয়তো ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণে ছিল কিন্তু সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে ছিল না। হাঁপানি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য আপনার চিকিৎসক হয়তো আপনাকে সাহায্য করতে সক্ষম হতে পারেন।
নম্বরঃ ২০-এর কম-আপনি ভালো করতে পারছেন না
গত চার সপ্তাহে আপনার হাঁপানি হয়তো ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে ছিল না। হাঁপানির ওপর নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে আপনাকে সাহায্য করার জন্য আপনার চিকিৎসক একটি হাঁপানি নিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনা প্রদান করতে পারেন।
তথ্যসূত্রঃ বাংলাদেশ লাং ফাউন্ডেশন ও অ্যাজমা অ্যাসোসিয়েশন
————————–
দৈনিক প্রথম আলো, ০৭ মে ২০০৮
ডা. মো: দেলোয়ার হোসেন
মেডিসিন ও বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ
ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ ও বারডেম হাসপাতাল, ঢাকা
Leave a Reply