কিশোরী থেকে বয়স্ক নারীদের বিভিন্ন বয়সে প্রস্রাবে সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি সব সময়ই বেশি। গঠনগত ও শারীরবৃত্তীয় নানা কারণ মেয়েদের প্রস্রাবে সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। বারবার সংক্রমণ হলে বারবার অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করতে হয়। কিন্তু একটু সচেতনতা অবলম্বন করলে এই ঝুঁকি কমানো যায় অনেকটাই।
—প্রতিদিন অন্তত দুই লিটার পানি পান করুন। প্রস্রাবের পরিমাণ পর্যাপ্ত হলে মূত্রনালি থেকে ক্ষতিকর জীবাণু সহজেই বেরিয়ে যেতে পারে।
—আমাদের দেশে নারীরা অনেক সময় বাইরে গেলে প্রস্রাবের বেগ চেপে রাখেন ও কর্মস্থলে শৌচাগার ব্যবহারে সংকোচ বোধ করেন। এই অভ্যাস থাকা ঠিক নয়।
—ঘুমাতে যাওয়ার আগে প্রয়োজনে দুবার শৌচাগারে যাবেন। সহবাসের আগে ও পরে প্রস্রাব করা উচিত।
—ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা জরুরি। বিশেষ করে, মাসিকের সময় নিয়মিত ন্যাপকিন পরিবর্তন করা, ঘন ঘন অন্তর্বাস বদল ও পরিষ্কার রাখা দরকার। বেশির ভাগ জীবাণু মলদ্বার থেকে সংক্রমিত হয়। তাই মলত্যাগের পর প্রচুর পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে, যাতে কোনো জীবাণু মূত্রনালিতে প্রবেশ না করে।
—সিনথেটিক ও আঁটসাঁট অন্তর্বাস পরবেন না। ত্বক যেন ভিজে বা আর্দ্র হয়ে না থাকে। কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে মূত্রথলি খালি করতে সমস্যা হয়। তাই কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসা নিন।
ডা. মৌসুমী মরিয়ম সুলতানা
মেডিসিন বিভাগ, ইউনাইটেড হাসপাতাল
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, আগস্ট ১৮, ২০১৩
Leave a Reply