আজকাল প্রায় প্রত্যেকেই ছেলে-বুড়ো, যুবক-যুবতী, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা সবাই পার্লারে যাবার ব্যাপারে খুবই আগ্রহী; যাতে নিজেকে সুন্দর থেকে সুন্দরতম করে তোলা যায়। কিন্তু একথা একবারও খেয়াল হয় না যে, বাহ্যিক সৌন্দর্যই (শুধু মুখের মেকআপ) আসল নয়। হাসলে যদি তাতে সৌন্দর্য না থাকে, মিষ্টতা না থাকে তাতে লাভ কি? সাজগোজের সৌন্দর্যকে বাড়ানোর জন্য দাঁতের সৌন্দর্য অপরিহার্য। কিছু কিছু বিজ্ঞাপনে দেখা যায় (দেশী ও বিদেশী) মডেলের দাঁতের রং হলুদ বর্ণের এবং মাড়িতে ঘা, ফোলা এবং লাল টকটকে। তখন দর্শকদের তার (মডেলের) সৌন্দর্য দেখার বদলে ঐ ময়লা দাঁত এবং ফোলা মাড়ি নিয়ে সমালোচনায় ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তুলতে দরকার-
২. প্রতি ৬ মাস অন্তর একবার, বছরে দু’বার ভাল অভিজ্ঞ ডেন্টাল সার্জনের পরামর্শ মোতাবেক চিকিৎসা নেয়া।
৩. নিয়মিত দাঁত ঝপধষরহম ও চড়ষরংযরহম করানো।
৪. দাঁতে হঠাৎ কোন গর্ত হওয়া দেখলে প্রাথমিক পর্যায়ে তা ফিলিং-এর মাধ্যমে পূরণ করা।
৫. প্রতিদিন নিয়ম করে সকালে নাস্তার পর এবং রাতে ঘুমের আগে দাঁত ব্রাশ করা।
৬. নিয়মিত মাউথওয়াশ ব্যবহার করা।
৭. সঠিক নিয়মে দাঁত ব্রাশ করতে হবে নচেৎ দাঁতের ক্ষয় বৃদ্ধি পাবে।
৮. ফ্লুরাইডযুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করা।
৯. দাঁত ব্রাশ করার পরও যখন দু’দাঁতের মাঝে ময়লা থেকে যায় সেগুলো ডেন্টাল ফ্লস-এর মাধ্যমে পরিষ্কার করতে হবে।
১০. প্রতিবার দাঁত ব্রাশ করার পর মাড়ি ম্যাসাজ করতে হবে।
১১. যাদের দাঁতে শিরশির ভাব আছে তাদের উচিত অভিজ্ঞ ডেন্টাল সার্জনের পরামর্শ নিয়ে বিশেষ ধরনের ফ্লুরাইডযুক্ত টুথপেষ্ট ব্যবহার করা।
১২. মাঝে মাঝে হালকা লবণ গরম পানি দিয়ে কুলকুচি করা।
১৩. পূর্বে দাঁত ফেলে দিয়ে থাকলে ঐ ফাঁকা জায়গায় স্থায়ী/অস্থায়ী পদ্ধতিতে দাঁত বাঁধিয়ে নিতে হবে।
১৪. উঁচু-নিচু দাঁতের যথাযথ চিকিৎসা করাতে হবে।
১৫. ছোটবেলা থেকে দুধ দাঁতের যথাযথ যত্ন নিতে হবে। নচেৎ ভবিষ্যতে স্থায়ী দাঁতের সমস্যা দেখা দেবে।
১৬. পান-সুপারি, সিগারেট, তামাক পাতা ইত্যাদি গ্রহণের অভ্যেস থাকলে তা থেকে বিরত থাকতে হবে।
—————————-
ডাঃ নাহিদ ফারজানা
কনসালটেন্ট, নাহিদ ডেন্টাল কেয়ার, ২১৬/বি, এলিফেন্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
দৈনিক ইত্তেফাক, ০৩ মে ২০০৮
Leave a Reply