স্টেরয়েড জীবন রক্ষাকারী ওষুধ হিসেবে প্রচলিত। কিন্তু স্টেরয়েড দীর্ঘদিন উচ্চ মাত্রায় ব্যবহার করার কুফল আছে বলেই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এটি স্বল্পমাত্রায় ও স্বল্পমেয়াদে দেওয়া হয়। যেমন হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট যখন খুব জটিল হয়ে যায়, প্রচণ্ড কোনো ব্যথা বা বেদনা কমাতে বা ত্বকের নানা সমস্যায় সাত থেকে ১০ দিনের জন্য স্টেরয়েড ব্যবহূত হতে পারে।
কেউ যদি ৭.৫ মিলিগ্রামের বেশি মাত্রায় প্রেডনিসোলন বা সমমাত্রার অন্য কোনো স্টেরয়েড টানা তিন সপ্তাহের বেশি সেবন করেন তবে তার নানা জটিলতা তৈরি হতে পারে। যেমন: ওজন বৃদ্ধি, রক্তে শর্করা বৃদ্ধি, লবণের অসাম্য, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস, হাড় ক্ষয়, পেশির দুর্বলতা, ত্বকে ফাটা দাগ, চোখে সমস্যা ইত্যাদি।
বাজারে প্রচলিত অধিকাংশ ভেষজ, টোটকা বা কবিরাজি ওষুধে উচ্চমাত্রার স্টেরয়েড থাকে এবং হাঁপানি, ব্যথা ও ত্বক সমস্যার রোগীরা এতে উপশম পান বলে দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহার করতে থাকেন। মনে রাখবেন দীর্ঘমেয়াদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অত্যন্ত জটিল ও প্রাণঘাতী।
ডা. তানজিনা হোসেন
হরমোন ও ডায়াবেটিস বিভাগ বারডেম হাসপাতাল।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জুলাই ০৩, ২০১৩
Ma’am , Is there any problem with Gintex by square ltd.
যে কোনো ওষুধ মানেই কিছু না কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।