আমাদের দেশে জুন-জুলাই অর্থাৎ বর্ষা থেকে শুরু হয়ে যায় ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ। ডেঙ্গু ছড়াতে সাহায্য করে এডিস মশা। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
লক্ষণ
হঠাৎ উচ্চমাত্রার জ্বর। কাঁপুনি দিয়ে জ্বর। তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠতে পারে। সারা শরীরে, মাংসপেশি ও হাড়ে ব্যথা। চোখের পেছন দিকে ব্যথা। জ্বর আসার তিন বা চার দিন পর শরীরে লালচে দাগ বা র্যাশ দেখা দিতে পারে। অরুচি, প্রচণ্ড দুর্বলতা, মাথা ঘোরা, পেটে ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদিও থাকতে পারে। সাধারণত এসব লক্ষণ বিবেচনা করে এ সময় সহজেই ডেঙ্গু জ্বর শনাক্ত করা যায়। অযথা অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন পড়ে না।
চিকিৎসা ও প্রতিরোধ
ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা কেবল উপসর্গভিত্তিক। জ্বর হলে পূর্ণ বিশ্রামে থাকুন। প্রচুর পানি পান করুন। স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানিতে ভেজানো কাপড় দিয়ে বারবার শরীর মুছে দিতে পারেন। জ্বর কমাতে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট খাওয়া যাবে। তবে কোনো অবস্থায়ই অ্যাসপিরিন খাওয়া যাবে না। ডেঙ্গু হেমোরেজিক জ্বর দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান।
মশার বংশবৃদ্ধি রোধ, মশা নিধন ও প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। ঘরের আঙিনা, ফুলের টব, বারান্দা, এসির নিচে জমানো পানি নিয়মিত পরিষ্কার করা উচিত। দিনের বেলা এডিস মশা কামড়ায় বলে দিনে সেপ্র দিয়ে বা মশারি ব্যবহার করে বিশ্রাম নিন। শিশুদের ফুলপ্যান্ট পরান। আক্রান্ত ব্যক্তিকে আলাদা বিছানায় মশারির ভেতর রাখুন।
অধ্যাপক এ বি এম আব্দুল্লাহ
মেডিসিন অনুষদের ডিন,
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জুন ১৯, ২০১৩
Leave a Reply