চঞ্চলতা শিশুর স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য। কিন্তু স্বাভাবিক চঞ্চলতা ছাপিয়ে শিশু যখন অতিমাত্রায় অমনোযোগী হয়ে পড়ে, বাড়ি বা স্কুল কোথাও মনোসংযোগের সঙ্গে কোনো কাজ না করতে পারে, সব সময় অস্থিরতা ও দুর্ঘটনাপ্রবণ হয়ে থাকে, তাহলে সে অমনোযোগী অতি-চঞ্চলতাজনিত সমস্যায় ভুগছে কি না, তা লক্ষ করুন। এতে আক্রান্ত শিশুদের একটি অংশের শুধু অমনোযোগিতার লক্ষণ প্রকাশ পায়, একটি অংশের অতিচঞ্চলতা দেখা দেয়। কারও কারও দুই ধরনের সমস্যাই দেখা দেয়। পড়াশোনা বা অন্যান্য কাজে ছোটখাটো ভুল হতে থাকে। প্রায়ই তারা পেনসিল, বই, খেলনা হারিয়ে ফেলে। শান্তভাবে বসে লেখাপড়া বা খেলাধুলা করতে পারে না। লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে পারে না। প্রশ্ন শেষ করার আগেই উত্তর দেয়। কথা বেশি বলে। তবে দু-একটি উপসর্গ থাকলেই শিশুটিকে সমস্যাগ্রস্ত হিসেবে চিহ্নিত না করে শিশুরোগ বা মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে রোগ বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে।
এ ধরনের শিশুদের রুটিন তৈরি করে সে অনুযায়ী কাজ করার জন্য উৎসাহিত করতে হবে। বাড়ির সবার জন্য সাধারণ পালনীয় কিছু নিয়ম তৈরি করতে হবে। যেমন স্থির হয়ে হাত ধুয়ে খেতে বসা, সবটুকু শেষ না করে না ওঠা ইত্যাদি। যেকোনো নির্দেশনা শিশুকে ভালোভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে। শিশুর প্রত্যাশিত আচরণের জন্য তাকে পুরস্কৃত করতে হবে, কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণের জন্য মারধর বা বকাঝকা করা যাবে না।
ডা. মুনতাসীর মারুফ
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মে ২৯, ২০১৩
Leave a Reply