ফুড পয়জনিং মানে খাদ্যে বিষ নয়। ওই খাদ্যে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা পরজীবীর বংশ বৃদ্ধির ফলে ক্ষতিকর রাসায়নিক তৈরি করেছিল, যা পেটে গিয়ে অসুস্থতার সৃষ্টি করে।
খাদ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাত ও বাজারজাত বা পরিবেশনের যেকোনো পর্যায়ে খাদ্য দূষিত হতে পারে। বাড়িতে তৈরি খাবারেও এই সমস্যা হতে পারে, যদি তা স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে প্রস্তুত বা পরিবেশন না করা হয়। তবে বাইরের খাবারে বিশেষত আগে থেকে তৈরি ও সংরক্ষিত খাবারে এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারে ফুড পয়জনিংয়ের ঝুঁকি বেশি।
কোনো নির্দিষ্ট খাবার গ্রহণের ছয় থেকে আট ঘণ্টা পর থেকে বমি, জ্বর, পাতলা পায়খানা, পেট ব্যথা, মলের সঙ্গে রক্ত ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিলে ফুড পয়জনিংয়ে আক্রান্ত বলে ধরে নেওয়া যাবে। রেস্তোরাঁ, পিকনিক বা নিমন্ত্রণ, স্কুল বা কলেজের ক্যানটিনের খাবার খেয়ে একসঙ্গে অনেকে আক্রান্ত হলে এটি হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া যায়।
প্রক্রিয়াজাত বা টিনজাত খাবার গ্রহণের আগে সতর্ক হোন। মেয়াদোত্তীর্ণ কি না দেখে কিনুন। টিনজাত বা হিমায়িত খাবার গরম বা রান্না করার সময় যদি ঠিকমতো দীর্ঘ সময় ধরে সঠিক তাপমাত্রায় না করা হয়, তবে ক্ষতিকর উপাদান (টক্সিন) সক্রিয় থেকে যায়। বাইরের খোলা খাবার, বিশেষত কাঁচা খাবার যেমন কাটা ফলমূল, সালাদ, বরফ ও পানি থেকে সাবধান। ফলমূল বা তাজা সবজি ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার ছুরি দিয়ে এবং হাত ধুয়ে কেটে খাবেন। চায়নিজ রেস্তোরাঁ বা ফাস্টফুডের দোকানের খাবারের বিষয়ে সতর্ক হোন।
ডা. মৌসুমী মরিয়ম সুলতানা
মেডিসিন বিভাগ ইউ-নাইটেড হাসপাতাল।
Leave a Reply