পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি। পানিতে ডোবা ব্যক্তিকে উদ্ধার করার পর পরই প্রাথমিক চিকিত্সা দিতে পারলে মৃত্যুর হার অনেক কমে যাবে। যেকোনো শিক্ষিত ও সচেতন মানুষই এই চিকিত্সা দিতে পারেন।
—শ্বাসযন্ত্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে বেশির ভাগ মৃত্যু ঘটে। তাই প্রথমেই শ্বাসযন্ত্র চালু করতে হবে।
—পর পর দুবার এভাবে শ্বাস দেওয়ার পর নাড়ি পরীক্ষা করুন। নাড়ি না পাওয়া গেলে দুই হাত একসঙ্গে করে বুকের ওপর জোরে চাপ দিন। চাপ দেওয়ার সময় আপনার এক হাত অপর হাতের ওপর থাকবে।
—ছন্দবদ্ধ নিয়মে এ দুটি কাজ চালিয়ে যান। ৩০ বার বুকে চাপ, তারপর দুবার শ্বাস—এই হলো একটি ছন্দ। এভাবে টানা পাঁচবার দিতে হবে।
—নাড়ির স্পন্দন ফিরে এলে আর বুকে চাপ দেওয়ার দরকার নেই।
—এই চিকিত্সা করার সময় রোগী বমি করতে পারে। সে ক্ষেত্রে তাকে একদিকে কাত করে দিন ও নাক-মুখ পরিষ্কার করে দিন।
—রোগীর জ্ঞান ফিরে এলেও তাকে হাসপাতালে নিতে হবে। কেননা, তাকে অতি দ্রুত অক্সিজেন দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন, বারডেম।
ডা. মৌসুমী মরিয়ম সুলতানা
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, এপ্রিল ০৩, ২০১৩
Leave a Reply