জীবাণু সংক্রমণের কারণে জটিল হয়ে পড়ে। মাড়ি ফুলে যায় ও রক্তপাত হয়। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসে মাড়ির সংক্রমণ, পুঁজ জমা বা ফোড়া হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসে মুখ ও দাঁতের নানা জটিল সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার রক্তে শর্করা বেশি থাকলে দাঁত ও মাড়ির চিকিত্সা করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই ডায়াবেটিক রোগীদের মুখ, দাঁত ও মাড়ির সুস্বাস্থ্য নিয়ে দরকার বিশেষ সচেতনতা ও যত্ন।
ডায়াবেটিক রোগীদের মাড়ির জীবাণু সংক্রমণের কারণে জটিল হয়ে পড়ে। মাড়ি ফুলে যায় ও রক্তপাত হয়।
অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসে মাড়ির সংক্রমণ, পুঁজ জমা বা ফোড়া হওয়ার ঝুঁকি বেশি। এর চিকিত্সা করার আগে রক্তের শর্করা ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। তাই এসব ক্ষেত্রে এবং দাঁত তোলা বা মুখের যেকোনো অস্ত্রোপচারের আগে শর্করার মাত্রা অনুযায়ী প্রয়োজনে ইনসুলিন চিকিত্সার দরকার হতে পারে। আপনি যদি ডায়াবেটিসের রোগী হন, তবে দন্ত চিকিত্সকের কাছে গেলে অবশ্যই তা অবহিত করবেন।
দাঁতের যেকোনো অস্ত্রোপচারের আগে রক্তে শর্করা কেমন আছে তা পরীক্ষা করে নিন। রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে আগে তা নিয়ন্ত্রণ করে নিন। অস্ত্রোপচারের জন্য খাদ্যবিরতির প্রয়োজন হলে ওই সময় ওষুধ বা ইনসুলিনের মাত্রা বা সময় কী হবে তা আপনার চিকিত্সকের কাছ থেকে জেনে নিন।
মূল খাদ্য গ্রহণের মধ্যবর্তী সময়ে অতিরিক্ত শর্করাযুক্ত খাদ্য পরিহার করুন। আর খেলেও দ্রুত দাঁত পরিষ্কার করে নিন। মুখ ও দাঁতের যত্নে প্রতিদিন খাওয়ার পর নরম ব্রাশ দিয়ে দাঁত ব্রাশ করুন, দিনে অন্তত একবার ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করুন।
নকল দাঁত ব্যবহার করলে তা সর্বদা পরিষ্কার রাখুন। ধূমপান বর্জন করুন।
বছরে কমপক্ষে দুইবার দন্ত চিকিত্সকের পরামর্শ নিন। ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ ও বারডেম হাসপাতাল।
অধ্যাপক অরূপ রতন চৌধুরী
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মার্চ ২৭, ২০১৩
Leave a Reply