যুক্তরাষ্ট্রে নতুন এক চিকিৎসাপদ্ধতির সহায়তায় রক্তের ক্যানসারকে (লিউকেমিয়া) পরাজিত করেছে সাত বছর বয়সী মার্কিন শিশু এমিলি হোয়াইটহেড।
বহু দশকের গবেষণালব্ধ এ চিকিৎসাপদ্ধতিতে এমিলিই প্রথম সেরে উঠেছে এবং ১১ মাস ধরে সুস্থ রয়েছে। তবে ক্যানসারের চিকিৎসা নেওয়ার পর পাঁচ বছরের মধ্যে রোগের পুনরাবৃত্তি বন্ধ থাকলেই রোগীকে পুরোপুরি সুস্থ বলে চিকিৎসাশাস্ত্র অনুযায়ী স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এমিলির জীবন বাঁচাতে নিরুপায় চিকিৎসকেরা ওই চিকিৎসাপদ্ধতি ব্যবহার করেছিলেন। নিউ লন্ডন জার্নাল অব মেডিকেল সায়েন্স সাময়িকীতে এ-সংক্রান্ত একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট গবেষক মাইকেল ক্যালোস বলেন, নতুন পদ্ধতিতে চিকিৎসার শুরুতেই রোগীর শরীর থেকে ‘টি সেল’ নামে পরিচিত শ্বেত রক্তকণিকা সংগ্রহ করে জিনগত পরিবর্তনের মাধ্যমে তাকে ক্যানসার কোষবিধ্বংসী রূপ দেওয়া হয়। পদ্ধতিটি ৫০ বছর ধরে গবেষকদের কাছে পরিচিত হলেও এতে সাফল্যের হার সীমিত। কারণ, রূপান্তরিত টি সেল রোগীর শরীরে বেশি সময় বেঁচে থাকতে পারে না।
সুইজারল্যান্ডের ওষুধ উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠান নোভারটিসের অর্থায়নে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা ক্যানসারের চিকিৎসার নতুন পদ্ধতিটি নিয়ে গবেষণা করছেন। আরও তিনটি শিশু এবং কয়েকজন পূর্ণ বয়স্ক ব্যক্তির ওপর পদ্ধতিটি প্রয়োগ করা হচ্ছে।
ক্যানসার গবেষকেরা বর্তমানে কাজ করছেন আগামী প্রজন্মের ক্যানসারের চিকিৎসাপদ্ধতি নিয়ে। এতে বর্তমানে প্রচলিত কেমোথেরাপি ও অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের বিকল্প অনুসন্ধান চলছে।
সূত্র:
এএফপি।
দৈনিক প্রথম আলো, মার্চ ২৭, ২০১৩
Leave a Reply