পায়ুপথ দিয়ে রক্তক্ষরণ একটি পরিচিত রোগ। আমাদের দেশে শিশু ও বড়দের নানা কারণে মলদ্বার দিয়ে রক্তক্ষরণ হতে দেখা যায়। মলদ্বার দিয়ে রক্তক্ষরণই কোনো রোগ নয় বরং বিভিন্ন রোগের লক্ষণ মাত্র। এটি একটি অতিগুরুত্বপূর্ণ উপসর্গ। অনেক সময় একে শুধু পাইলস অনুমান করে ভুল চিকিৎসা দেয়া হয়ে থাকে। ফলে অনেক সময় রোগ জটিলতর হয়ে থাকে।
আমাশয়ের সময় রক্ত যেতে পারে। শিশুদের বেলায় রেকটাল পলিপ, একটি বড় ধরনের কারণ। মলত্যাগের সময় টকটকে আমের গুটির মতো এ অংশ বেরিয়ে আসতে পারে। এনাল ফিসার, ইনটাসসেপশন, আঘাতজনিত কারণে। বড়দের ক্ষেত্রে হেমোরেডডার্স, পাইলস বা অর্শ এলাকাভেদে বাউশী বলে থাকে একে। মলত্যাগের সময়/পরে টাটকা রক্ত পড়তে থাকে। অনেক রোগী এসে বলেন, দিনে প্রায় হাফ আউন্স পরিমাণে রক্ত যায়। আবার কারো দু-এক সপ্তাহ পরে বা এক মাস পরেও রক্ত যেতে পারে।
সমাধানঃ প্রাথমিক পর্যায় থেকে রোগী নিজে ইচ্ছা করলে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সম্পূর্ণ ভালো হতে পারেন। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, তৈলাক্ত, চর্বিজাতীয় গরুর গোশত, রিচ ফুড কম খেয়ে, ইসুবগুলের ভুসি, প্রচুর পানি পান, শাকসবজি, ফলমূল ইত্যাদি বেশি খেয়ে ভালো থাকতে পারেন।
প্রথমে ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করতে হবে।
লক্ষণসহ কিছু হোমিও ওষুধের বর্ণনা দেখেন।
– কোনো প্রকার যন্ত্রণা থাকে না, মলদ্বার থেকে টকটকে লাল রক্ত যায়, এতে ওষুধটি খুবই ভালো কাজ করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য, শুকনা মল, অতিকষ্টে নির্গত হয়। মলদ্বারে মনে হয় যে কতগুলো কাচের টুকরা রয়েছে। খোঁচা লাগে, রক্ত পড়ে, জ্বলে, ক্রম উচ্চশক্তি ভালো ফলপ্রসূ।
মলত্যাগের আগে ও পরে মলদ্বারে অত্যন্ত জ্বালা, মল নরম শক্ত যা-ই থাকুক না যদি রোগী খিটখিটে স্বভাবের হয়, শীতকাতর থাকে, প্রস্রাবে তীব্র গন্ধ থাকে সহজে ঠাণ্ডা লেগে যায় তবে অবশ্যই ফলপ্রসূ হয়।
অর্শ বড় হয়ে মলদ্বার বন্ধ হয়ে গেছে। গন্ধহীন রসে কাপড় ভিজে যায়, মালদ্বার জ্বলে, রোগী কাজকর্মে অত্যন্ত ব্যস্ত থাকে তবে এতে আরোগ্য সাধিত হয়।
মলদ্বার থেকে গোশত ধোয়া পানির মতো দুর্গন্ধ, রস ঝরলে মেডোরিনাম অব্যর্থ।
অনেক দিন পর পর অল্প রক্ত পড়ে মলদ্বারে খোঁচানি, টাটানি ব্যথা, চুলকায়, জ্বলে এবং কোমরে ব্যথা থাকে তবে এতে আরোগ্য লাভ করে থাকে।
মলদ্বারের রক্ত যাওয়ার ভালো ওষুধ যদি মল কঠিন থাকে, অতৃপ্তিকর মলত্যাগ হয়।
রাত্রি জাগরণ, অনিয়ম এবং সুচিবায়ুগ্রস্ত রোগী থাকে।
মলদ্বারে ব্যথাসহ রক্তস্রাবে কার্যকর।
এ ছাড়া বিভিন্ন মেডিসিন লক্ষণ ভেদে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। মনে রাখবেন হোমিওপ্যাথিক ওষুধের মাত্রা, পাওয়ার এবং সঠিক ওষুধ বাছাই কেবল একজন ভালো চিকিৎসকই আপনাকে দিতে পারেন। ওষুধ দ্বারা মেডিক্যাল চিকিৎসা ব্যর্থ হলে সার্জারির সাহায্য নেবেন। যেমন স্টেপল হেমোরয়ডেক্টমি, ব্যান্ড লাইগেশন ইত্যাদি।
——————————-
ডা. হাসিনা বেগম
লেখিকাঃ প্রভাষক, ময়মনসিংহ হোমিওপ্যাথিক ডিগ্রি কলেজ ও হাসপাতাল
চেম্বারঃ দি সিটি হোমিও ইন্টারন্যাশনাল, ২৩ জয়কালী মন্দির রোড, ঢাকা
দৈনিক নয়া দিগন্ত, ২৭ এপ্রিল ২০০৮
hernia-r cikitsa ki homeopathic-e ace?
হোমিওপ্যাথি একটা জটিল বিষয়। এর নির্দিষ্ট কোন ফর্মূলা নেই। তাই এটা কখন কার কিভাবে কাজ করবে, বা আদৌ করবে কিনা, কেউ বলতে পারে না। তাই আপনার প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারছি না।
প্রথমে আমার পায়খানা মাঝে মাঝে কড়া হত*এক দিন সকালে এরকম কড়া হয় এবং পরের দিন সকালে পায়খানা করার সময় রক্ত পড়ে*এটা ৪/৫ দিন হয়ে গেছে*আমি মনে মনে খুব ভয় পায়*আমার মাঝে মাঝে আমশায় হয়* আমি এজন্য এখন একটি ক্রিম মলদারে ব্যবহার করছি নাম ইকোমেট এবং সামান্য উপকার পেয়েছি*আমি আপনার কাছ থেকে এর সুষ্ঠু সমাধান চাচ্ছি যাতে পরে আমার সমসা না হয়* আমার বয়স ১৭-১৮ আমি ছেলে এবং ছাত্র*
আপনি কিছুদিন প্রচুর শাকসবজি খেয়ে ও পানি পান করে দেখুন তো সমস্যা কমে কিনা।
আমার পায়ু পথ দিয়ে রক্ত রক্ত পরে টাটকা রক্ত এবং পায়ু পথে একটা মাংস পিনড। মত বের হয়েছে এন্ড মাজে মাজে অনেক চুলকাই। আমার বয়স ১৯ student plz. a bepar. a amy akto help korben plz plzz
ডাক্তার দেখাবেন অবশ্যই।