ডায়াবেটিসের রোগীদের খাদ্য নিয়ন্ত্রণে খাবারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বা জিআই পরিমাপ করাটা গুরুত্বপূর্ণ। জি আই হলো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স। কোনো খাবার পেটে যাওয়ার পর রক্তে মিশে গিয়ে ঠিক কী হারে রক্তের সুগার বাড়িয়ে দেয়, তারই ইনডেক্স বা সূচক এটি। যে খাবারের জিআই যত কম, তা তত ধীরে ও তত দেরিতে রক্তে মেশে এবং তত কম হারে রক্তের শর্করা বাড়ায়। আবার হাই জিআই খাবার দ্রুত রক্তে মিশে গিয়ে দ্রুত রক্তে শর্করা বাড়িয়ে দেয়, যা ডায়াবেটিক ও ওজনাধিক্য রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। জিআই ৭০ বা তার বেশি হলে সেই খাবারটি হাই জিআই বা উচ্চমাত্রার জিআই খাবার বলা হয়ে থাকে। তবে সুখের বিষয়, বেশির ভাগ ফলমূলই মধ্যম জিআই (৫৬ থেকে ৬৯) বা নিম্ন জিআই (৫৫ বা তার নিচে) মাত্রার। জিআই হিসাব করে একজন ডায়াবেটিক রোগী প্রতিদিন পরিমিত ফল খেতে পারেন।
উচ্চ জিআই ফল: তরমুজ (৮০), খেজুর (১০০)।
মধ্যম জিআই ফল: আম (৬০), পেঁপে (৬০), আনারস (৬৬), কলা (৫৮)।
নিম্ন জিআই ফল: আপেল (৩৪), নাশপাতি (৪১), কমলা (৪০), আঙুর (৪৩), স্ট্রবেরি (৪০)।
জিআই বৃত্তান্ত
বাজারে আজকাল লো জিআই চাল, লো জিআই আটা ইত্যাদি পাওয়া যাচ্ছে। লো জিআই খাবারের দিকে ঝুঁকছেন ইদানীং সবাই। কিন্তু লো জিআই খাবার মানে কী?
জিআই ৫৫ বা তার কম হলে সেটাকে লো জিআই বলা হয়। মধ্যম জিআই হলো ৫৬ থেকে ৬৯। আর ৭০ বা তার বেশি জিআই হলে সেটি হাই জিআই খাবার।
উচ্চ জিআই: সাদা ভাত, আলু, কর্নফ্লেক্স, ময়দা বা সাদা আটা, যেকোনো মিষ্টি খাবার।
মধ্যম জিআই: পরিজ, ভুট্টার তৈরি সিরিয়াল, বাসমতী চাল, সেঁকা আলু, ডাল।
নিম্ন জিআই: বাদাম, পাস্তা, লাল চাল, লাল আটা, দুধ, দই, বেশির ভাগ সবজি, গোটা বীজ ও শস্য।
ডা. তানজিনা হোসেন
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জানুয়ারি ৩০, ২০১৩
Leave a Reply