ফুলকপিতে রয়েছে ভিটামিন ‘বি’, ‘সি’ ও ‘কে’, যা ঠান্ডাজনিত সর্দি, হাঁচি, কাশি, জ্বর জ্বর ভাব, সারা শরীরে ব্যথা ভাব, নাক দিয়ে পানি পড়া, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া ও ঠান্ডায় কান বন্ধ হয়ে যাওয়া—এসব সমস্যা দূর করে।
অকালে দাঁত লালচে হয়ে যাওয়া ও দাঁতের মাড়ি দুর্বল হওয়া—এই অবস্থা দূর করে ক্যালসিয়াম ও ফ্লুরাইড, যেগুলোর বসতি ফুলকপিতে। দাঁতের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি ও বাড়ন্ত শিশুদের দাঁতের পূর্ণ বিকাশের জন্য ক্যালসিয়াম যথেষ্ট উপকারী।
এই সবজিতে আয়রন রয়েছে উচ্চমাত্রায়। রক্ত তৈরিতে আয়রন রাখে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। গর্ভবতী মা, বাড়ন্ত শিশু ও অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম করা মানুষের জন্য ফুলকপি জরুরি।
ফুলকপিতে নেই কোনো চর্বি, রয়েছে পর্যাপ্ত আমিষ। দেহ গঠনের জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত আমিষ। কোলেস্টেরলমুক্ত ফুলকপি তাই বৃদ্ধি ও বর্ধনের জন্য প্রয়োজন।
প্রচুর পরিমাণে আমিষ বা প্রোটিন থাকার জন্য কিডনির জটিলতায় ভোগা ব্যক্তিরা চিকিৎসকের পরামর্শে ফুলকপি খাবেন। কারণ, এতে আমিষ ও পটাশিয়াম রয়েছে অনেক বেশি, যা কিডনির জন্য উপযোগী নয়।
জিবে ঘা হয় ভিটামিন ‘বি’ ও ‘সি’র অভাবে। তালুর (ওপর ও নিচের অংশের) চামড়া উঠে যাওয়া বা ছিঁড়ে যাওয়ার জন্যও এই দুটি ভিটামিনের ঘাটতিই দায়ী। এই ঘাটতিগুলো পূরণ করবে ফুলকপি।
ক্যানসারের জীবাণুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ফুলকপি। স্তন ক্যানসার, কোলন ও মূত্রথলির ক্যানসারের জীবাণুকে ধ্বংস করে এই সবজি। ক্যানসারের জীবাণুকে দেহ থেকে বাইরে বের করে দেওয়ার জন্য রয়েছে ফুলকপির যথেষ্ট অবদান।
গ্রন্থনা: ডা. ফারহানা মোবিন
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, ডিসেম্বর ১২, ২০১২
Leave a Reply