ত্বক
শরীরের সবচেয়ে বড় তন্ত্র। ত্বক মাংসপেশির স্তরসমূহ, অস্থি, স্নায়ু, রক্তনালি এবং দেহের অভ্যন্তরে যা কিছু আছে সবটা আবৃত করে প্রতিরোধক ভূমিকা নেয়। চোখের পাতার ত্বক সবচেয়ে মসৃণ আর পায়ের পাতার ত্বক হলো সবচেয়ে বেশি পুরু।
চুল
চুল আসলে পরিবর্তিত ত্বক। হাত ও পায়ের পাতা, চোখের পাতা এবং ঠোঁট বাদে সবখানে চুল গজায়। গ্রীষ্মকালে চুল শীতকালের তুলনায় দ্রুত বাড়ে এবং দিনের চেয়ে রাতে বাড়ে কম।
নখ
চুলের মতো নখও একপ্রকারের বদলে যাওয়া ত্বক। হাত ও পায়ের আঙুলের অত্যন্ত স্পর্শকাতর অগ্রভাগের সুরক্ষা সাধন করে থাকে নখ। ছোট ছোট বস্তুকণা কুড়িয়ে নেওয়ার জন্যও নখের প্রয়োজন। নখ না থাকলে ত্বক চুলকানোতে সমস্যায় পড়তে হতো এবং টাইয়ের নট খোলাও কষ্টকর হতো। শিশুর সুস্বাস্থ্য ও অসুখের প্রভাব নখে নানা বৈশিষ্ট্য নিয়ে আসে।
ত্বকের সংক্রমণ
ইমপেটিগো-ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ, মধু রঙের খসখসে র্যাশ শিশুর মুখমণ্ডলে, ঠোঁট ও নাকের কাছে দেখা যায়।
সেলুলাইটিস-ত্বক এবং ত্বকের নিচের টিস্যুর ইনফেকশনস। ত্বক তপ্ত ও লালচে বর্ণের হয়ে যায়। ত্বকের ইনফেকশনে স্ট্রেপটো ও স্টেফাইলো ব্যাকটেরিয়া জীবাণুদ্বয় জড়িত থাকে।
ত্বক ও নখের ফানগ্যাল ইনফেকশনস
ক্যানডিডেল ডারমাটাইটিস—বিশেষত, শিশুর ডায়াপার এরিয়ায় বেশি হয়।
রিং ওয়ার্ম সংক্রমণ-ত্বক, নখ, মাথায় বেশি হয়।
টিনিয়া পেডিস-অন্য নাম এথলেট, সু ফুট বয়ঃসন্ধির শিশুতে ও গরমকালে বেশি হয়ে থাকে।
শিশুর অন্যান্য ত্বক সমস্যা
পরজীবী সংক্রমণ, যেমন স্কাবিস, অত্যন্ত চুলকায়। উকুন সংক্রমণ।
ভাইরাসজনিত ইনফেকশন-চিকেনপক্স, সিঙ্গেলস, হারস্পেস সিমপ্লেক্স, ওয়ার্ট (আব)
একনি (ব্রণ)-বয়ঃসন্ধির বাচ্চাদের প্রায় ৮৫ শতাংশে এটা দেখা যায়।
ত্বকের ক্যানসার-ফরসা ত্বকের শিশু বেশি বেশি রোদের সংস্পর্শে না এলে ঝুঁকি কমে আসে।
মাথার ও চুলের সমস্যা
মাথার চুলে গোলাকৃতি ফ্যানগ্যানল ইনফেকশন। স্কুলে সহপাঠীদের মধ্যে খুব ছড়াতে পারে।
এলোপেসিয়া-মাথায় চুল কোনোখানে ঝরে গিয়ে খালি দেখায়। বেশ জোরে চুল বাঁধা বা চুলের নানা অযত্নে এটা হতে পারে।
প্রণব কুমার চৌধুরী
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, আগস্ট ০৮, ২০১২
Leave a Reply