ধূমপান না করেও পরোক্ষ ধূমপানে যে কারোরই ক্ষতি হতে পারে ধূমপানের ক্ষতিকারক দিকের তো অভাব নেই। যিনি ধূমপান করেন, তিনি নিজের যেমন ক্ষতি করেন, ঠিক তেমনি অন্যেরও ক্ষতি করে চলেন সমানে। একজন ধূমপায়ী কেমন করে একজন অধূমপায়ীর ক্ষতি করেন? খুব সহজ কথায়, অধূমপায়ী ব্যক্তিটি পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন। পরোক্ষ ধূমপানে ব্যক্তি যেসব সমস্যায় পড়তে পারেন তা জেনে নেওয়া যাক—
যাঁরা ধূমপান করেন না কিন্তু আশপাশের মানুষের কাছ থেকে নিত্যদিন সিগারেটের ধোঁয়া গ্রহণ করেন, তাঁদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যায় অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি।
যাঁরা বহু দিন ধরে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার, তাঁদের ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
হূৎপিণ্ডের পাকাপাকি ক্ষতিতে পরোক্ষ ধূমপানের প্রভাব অনেক বেশি।
পরোক্ষ ধূমপান কখনো কখনো স্ট্রোকের জন্য দায়ী।
শ্বাসকষ্টজনিত রোগের একটি বড় কারণ পরোক্ষ ধূমপান।
পরোক্ষ ধূমপানে কখনো বুকে কফ জমে যায়, হয় কাশি।
নিউমোনিয়া হয় কখনো পরোক্ষ ধূমপানে।
ব্রঙ্কাইটিস আর হাঁপানির জন্যও অনেকাংশে দায়ী পরোক্ষ ধূমপান।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, যিনি বা যাঁরা পেশাদার ধূমপায়ীদের সঙ্গে বসবাস করেন, তাঁদের হূদেরাগ এবং ফুসফুস ক্যানসার হওয়ার প্রবণতা অন্যদের তুলনায় অন্তত বেড়ে যায় ৩০ গুণ।
শিশুদের বেলায় এই ক্ষতিটা হয় আরও মারাত্মক। শিশুদের বাড়ন্ত শরীরে পরোক্ষ ধূমপান বড় খারাপ প্রভাব ফেলে।
তাঁদের হূৎপিণ্ড স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠে না।
পরোক্ষ ধূমপানে শিশুর ফুসফুস মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
শিশুদের ক্ষেত্রে ব্রঙ্কাইটিস আর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার হার বেড়ে যায় দ্বিগুণ।
অবাক হলেও সত্য, পরোক্ষ ধূমপানে শিশু কানের সমস্যায়ও ভোগে কখনো কখনো।
আস্তে-ধীরে শিশুর রোগ প্রতিরোধক্ষমতাও কমতে থাকে।
একজন ধূমপায়ী নিজে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তেমনি তাঁর পরিবারের সদস্যটিকেও টেনে আনছেন ক্ষতির মধ্যে।
অথবা তিনি ক্ষতি করছেন তাঁর পাশের মানুষটির। নিজের জন্য, তাঁর পরিবারের জন্য, তাঁর ছোট্ট শিশুটির জন্য অথবা তাঁর পাশে বসা অচেনা মানুষটির ক্ষতি এড়াতে তাঁর যেমন ধূমপান ছাড়া উচিত, ঠিক তেমনি অধূমপায়ীদেরও সচেতন হতে হবে পরোক্ষ ধূমপানে।
সিদ্ধার্থ মজুমদার
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মে ৩০, ২০১২
প্রিন্স
স্যার,
আমি আগে আনেক ধূমপান করতাম। কন্তু এখন আনেক কম করি। আতি শিগ্রই ধূমপান সম্পুর্ন রুপে ত্যগ কারব।
আমার সমস্যা হল যে, অতিরিক্ত ধূমপানের কারনে আমার ঠেট কালো হয়ে গেছে। যে কেউ হটাৎ করে দেখলে বলে “তুমিকি ধূমপান কর?”।
আমি চাই আমি ধূমপান ছারার সাথে সাথে যেন আমার ঠোঁটের সাভাবিক রং ফিরে আশুক। ঠোঁটের সাভাবিক রং ফিরিএ আনতে কি করতে পারি ?
দয়া করে পরামস্যা দিয়ে আমাকে সাহাজ করিবেন।
Bangla Health
এটা একটু সময় লাগবে। ধূমপান ত্যাগ করার পাশাপাশি আপনাকে ভালো খেতে হবে এবং রাতে অনেক ঘুমাতে হবে। এই দুইটা ঠিক মতো হলে তখন ব্যায়াম শুরু করবেন। ধীরে ধীরে সব ঠিক হয়ে যাবে।