শুক্রাণু উৎপাদনে সক্ষম এমন একটি জিন আবিষ্কার করেছেন এডিনবার্গের গবেষকেরা। এর ফলে ভবিষ্যতে পুরুষের জন্য জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি তৈরি সম্ভব হবে বলে গবেষকেরা দাবি করেছেন।
ইঁদুরের ওপর গবেষণা করে দেখা গেছে, শুক্রাণু তৈরির চূড়ান্ত পর্যায়ে ‘কাটনাল১’ নামের একটি জিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
গবেষকেরা বলেছেন, ‘কাটনাল১’ প্রতিরোধ করে এমন ওষুধই হতে পারে বিপরীত জন্মনিয়ন্ত্রক।
নতুন এই জিন আবিষ্কারের খবরে শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রজনন বিশেষজ্ঞ অ্যালান পেইসি বলেন, এমন একটি ওষুধের আসলেই দরকার আছে।
এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর রিপ্রোডাকটিভ হেলথের গবেষক দল এখন পুরুষের বন্ধ্যত্বের কারণগুলো গবেষণা করে দেখছেন। তাঁরা ইঁদুরের জেনেটিক কোডগুলো এলোপাতাড়িভাবে পরিবর্তন করে কোনটি অনুর্বর তা শনাক্ত করেন। এরপর তাঁরা এগুলোর রূপান্তর শনাক্ত করেন, যা কিনা বন্ধ্যত্ব ও ‘কাটনাল১’ তৈরি করে।
এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক লি স্মিথ বলেন, ‘আমরা পরীক্ষা করে এই জিনকে শনাক্ত করার একটা পথ খুঁজে বের করতে পারলে হরমোনবিহীন জন্মরোধক তৈরি করতে পারব।’
বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, একই কৌশল মানুষের ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা যায় এবং কোনো রকম স্থায়ী ক্ষতি ছাড়াই তাঁদের শুক্রাণু তৈরি বন্ধ করা সম্ভব।
লি স্মিথ বলেন, এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এ ধরনের ওষুধের প্রভাব হবে উল্টো। কেননা, শুক্রাণু তৈরির শেষ মুহূর্তে ‘কাটনাল১’ কাজ করে। অতএব, এটি শুক্রাণু তৈরির প্রাথমিক কিংবা সামগ্রিক কোনো স্তরেই বাধা সৃষ্টি করবে না। তবে কোষের ভেতরে প্রোটিনের বসবাস থাকায় এটা সফল হওয়াটা তুলনামূলক কঠিন বলে তিনি মন্তব্য করেন। বিসিসি।
দিপু
তাহলে ওই ওষুধ কবে থেকে পাওয়া যাবে?? মেয়েরা এবার একটু শান্তি পাবে।
আর কিভাবে খেতে হবে মনে হ্য়? কারন পুরুষদের তো মাসিক হয় না??
Bangla Health
ব্যাপারটা এখনো গবেষণাধীন রয়েছে।